সুস্থভাবে রোজা রাখতে ১০ পরামর্শ

রোজা প্রায় চলে এসেছে। রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর উপায়ে রোজা থাকতে কিছু পরামর্শ

১. রোজায় পানিশূন্যতা বেশি হয়। এ সমস্যা সমাধানে ইফতার ও সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। ইফতার থেকে সেহরির মাঝখানে বারবার পানি পান করতে হবে।

২. ইফতার ও সেহরিতে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে পানির পিপাসা বাড়ে। এ সময় ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। তাই আদর্শ, সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে দেশি ফল, ফলের শরবত ও শাকসবজি খান।

৩. হঠাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে ইফতার করবেন না। বেশি ঠান্ডা পানি রক্তনালি সংকোচন বাড়িয়ে হজমে সমস্যা করে। এ সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন।

৪. রোজায় খাদ্য তালিকায় ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার রাখবেন না। চর্বিজাতীয় খাবার শরীরকে গরম করে। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৫. ইফতার ও সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাবার খান। এ ছাড়া রোজার মাসে নিয়মিত ডিম, দুধ, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এতে ক্ষুধা কম লাগবে। এ ছাড়া অনেকক্ষণ শক্তিও থাকবে।

৬. রোজায় চা, কফি, কোমল পানীয় পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তোলে।

৭. রোজার সময় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলো শরীরকে পানিশূন্য করে।

৮. সেহরিতে কম না খেয়ে নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর খাবার খান। কোনো সেহরি বাদ দেওয়া যাবে না। মাঝরাতে সেহরি না খেয়ে শেষ মুহূর্তে সেহরি খেতে হবে। এতে সারা দিন শরীরে শক্তি থাকবে।

৯. রোজায় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন, গোসল করুন, পরিষ্কার কাপড় পরুন। সুতির সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। দিনের বেলা রোদের ভেতর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। বাইরে বের হলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।

১০. রোজায় অস্বাস্থ্যকর খাবার পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। তাই গরম গরম খাবার খান। খাদ্য রান্না ও সংরক্ষণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। এ ছাড়া রোজার দিনগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।

সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ হিসেবে বাংলাদেশে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। নিজের দেশকে বহিঃবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার প্রাপ্তির সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন পালক। কিন্তু সমাজে প্রতিনিয়ত যেসব ঘটে যাচ্ছে সেই বিষয়গুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে কিংবা সমাজের চোখে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েও নানা আলোচনার জন্ম দেন প্রিয়তি। মেয়েদের অপমানস্বরূপ যে বিষয়গুলো খুব সামান্য ভাবে দেখা হয় প্রিয়তি সেই বিষয়গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এই গুনটির জন্যই তাকে আলাদাভাবে চেনা যায়।

এবার নিজের বোনের স্বামীর কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রিয়তি। ১১ মে, শুক্রবার তার দেওয়া পোস্টে তিনি ব্যক্ত করেছেন তার বোনের দাম্পত্য জীবনের নানা দিক। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশি নাকি বাঙালি? কোন শব্দটা বেশি প্রযোজ্য এই মেয়ের বেলায়? বলতে চাই একটি সাধারণ মেয়ের কথা। যে স্বামীর মন রক্ষার্থে নিজের বোনের সঙ্গে ছয়-সাত বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে দ্বিধাবোধ করেনি। সংসারে দ্বিমত হলে অশান্তি হতে পারে তার জন্য নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে এক ঘরে পড়েছিল বছরের পর বছর। স্বামীর ভাষ্যমতে, কোনো ভদ্র ঘরের মেয়েরা ঘর থেকে বের হয় না, তাই চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে রেখেছে দিনের পর দিন। নিজের মগজে, মনে- প্রাণে বিশ্বাস করে রেখেছে স্বামী ছাড়া তার আর কোনো গতি নেই। আর স্বামীর থেকে পৃথিবীর আর কেউ আপন নেই (যেহেতু তার বাবা-মা বেঁচে নেই)। আর সেই মেয়ে নয় বছর স্বামীর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে, স্বামীর ভুল ও অন্যায় ঢাকার জন্য প্রস্তুত থাকে সর্বদা, সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

কোন নারী এভাবে নয় বছর মারধোর খেয়ে ঐ একই ঘরে থাকার পর জানতে পারে যে বাহিরে তার স্বামীর একাধিক নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, তারপরেও যেন স্বামীর আসল মুখোশ সমাজের সামনে না খুলে তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

একাডেমিক শিক্ষায় তার স্বামী বৈমানিক হতে পেরেছেন কিন্তু নৈতিকতা শিখতে পারেননি বিন্দুমাত্র। তার স্বামী তাকে বিয়ের পূর্বেই আরেকটি বিয়ে করে রেখেছিল কিন্তু তার স্বামী তাকে এবং তার পুরো পরিবারকেই অন্ধ বানিয়ে বোঝাতে সক্ষম হলো ঐ মেয়ে তার গরিব খালাতো বোন, অসুস্থ মাকে দেখাশুনা করার জন্য মেয়েটিকে তার বাসায় রাখা। চুল পরিমাণ কেউ বুঝতে পারেনি এতো নিখুঁত খেলা।

যখন কয়েক মাস পর হাতে-নাতে ধরা পড়ল, তখনও সমাজের কটাক্ষ চোখ থেকে বাঁচার জন্য মাফ করে দিলো তার সেই দুর্দান্ত স্বামীকে। তারপরেও তার স্বামী ক্ষান্ত নন। পাইলট পেশার ছায়া তলে যেকোনো মেয়েকে তার জন্য জোগার করাটা খুব বেশি কষ্টসাধ্য নয়। আর যদি মেয়েদের কাছে একটু ইনিয়ে বিনিয়ে চোখে দুফোঁটা জল এনে বলে, দাম্পত্য জীবন দুর্বিষহ, কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই, কয়েকদিনের মধ্যে ডিভোর্সও হয়ে যাবে। তাহলে তো এক শ্রেণীর মেয়েরা নিজেকে রানি ভাবতে শুরু করে দেয়।

তথ্য কতটুকু সত্য না মিথ্যা তা পর্যন্ত যাচাই করার প্রয়োজন মনে করে না কিন্তু শরীর বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি। আচ্ছা বলুনতো, নিজেদের এতো মূল্যহীন কেন ভাবেন? শর্টকাটে নিজের জীবন গুছানো পেতে গিয়ে নিজের বিবেকের সঙ্গে কতটা বেঈমানি করছেন তার কি কখনো হিসেব নিকেশ করেছেন?

উপরের যার কথা বললাম, সে বেশি দূরের কেউ না, আমারই বোন। কিন্তু আমরা নিষ্প্রাণ হয়ে শুধু দূর থেকেই দেখছি, কিছুই করার অধিকার নেই আমাদের। কারণ এই ভদ্রমহিলা কিছুই করতে আগেও দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না। সর্বশেষ যখন তার স্বামী তাকে মেরে বাসা থেকে চলে যায় এবং অন্য মেয়ের সঙ্গে থাকা শুরু করে, তখন আমার বোন পল্লবী থানাতে এফআইআর করতে গেলেও থানার কর্মরত কর্মকর্তারা তার স্বামীকে পূর্বপরিচিত থাকায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই এই কারণ দেখিয়ে কেসটি উনারা নেননি।

পরবর্তী সময়ে আমি প্রেস কনফারেন্স করে বিষয়টি সবার সামনে আনার কথা বলি, যাতে প্রশাসন এক তরফা অনুগ্রহ না করে। কিন্তু আমি বা আমরা আবারও হেরে যাই, তার জেদের কাছে। তার জেদ, তার স্বামীকে বাঁচানোর জেদ, তার স্বামীর নাম রক্ষার জেদ। তার সেই স্বামী, যেই স্বামী তাকে প্রতিদিন খুন করছে নতুন করে।

মজার ব্যাপার শুনুন, আমার বোনকে তার স্বামী এমনভাবে গত নয় বছরে তৈরি করেছে যে, তার বাসায় কোনো ইন্টারনেট ছিল না, এখন পর্যন্ত আমার বোনের হাতে কোন স্মার্ট ফোন নেই। সে জানে না, কীভাবে গুগল করতে হয়, কীভাবে ফেসবুক চালাতে হয়, কীভাবে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। এতটাই অজ্ঞ বানিয়ে রাখতে তার স্বামী ‘প্রাক্তন বিমান বাহিনী অফিসার’ সক্ষম হয়েছেন। উনি উনাদের ক্রিমিনাল ট্রেনিং পুরোদমে আয়ত্তে করতে পেরেছেন , তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (আমি এই বছর জানুয়ারিতে যখন বাংলাদেশে আসি তখন ওদের ইন্টারনেট নেয়ার অনুরোধ করে একটি রাউটার কিনে দিই। তারপরই আসে তাদের বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ, যা মাঝে আবার বিছিন্ন ছিল)।

যা হোক, উনি যে পরনারীর প্রতি আসক্ত বা শারীরিক সম্পর্ক করছেন, তার বিন্দুমাত্র আন্দাজ ছিল না আমার বোনের। কিন্তু দেখুন প্রকৃতির কি নির্মম পরিহাস, যেই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে, তার শরীর ভোগ করার পর তাকে ছেড়ে দিয়ে আবার অন্য মেয়ের কাছে চলে যায়, সেই মেয়েরাই আবার ফোন করে আমার বোনকে সব তথ্য দিতে থাকে। কিন্তু তার স্বামী বরাবর অস্বীকার করে আসে আর মারধোর করতে থাকে। সর্বশেষ, ৫ মে আমার বোন ভাবীকে নিয়ে ধানমন্ডি স্টার কাবাবে চা খেতে গেলে, মেয়েসহ তার স্বামীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। সেই নাটক দেখেছে রেস্টুরেন্টসহ অত্র এলাকা। বোনকে ঐ মেয়ে জানায়, একবছর পর তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে। নিজের স্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে ঐ লোক ব্যস্ত হয়ে যায় উনার প্রেমিকাকে সামলাতে এবং মানাতে। অথচ, এই একই লোক বাসায় তার স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত বলতেন হাদিস পড়তে, তাদের একমাত্র সন্তানকে হাদিস শোনাতে। পরবর্তী সময়ে ঐ লোকের পরিবারকে এইসব ঘটনা জানানো হলে, আমার বোন ঠিকমত রান্না করতে পারে না, এই দোষে সাব্যস্ত করে উনাদের পুত্রকে শাসন না করে ,পুরোপুরি সমর্থন করেন।

আর সমাজ? সমাজের দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। সমাজ তো আমরাই। আজ সমাজে আমার বোনের মতো মানুষেরা ঘটনাগুলো ঘটতে দিচ্ছে বলেই নারীর দুর্বলতা বাড়ছে, কটাক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও বাড়ছে। হ্যাঁ, স্বীকার করছি সবার মনোবল সমান নয় ,সবার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষমতাও সমান নয়। সেই ক্ষেত্রে নিজের আবেগের থেকে নিজের বিশ্বস্ত মানুষের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। আমি বিশ্বাস করি কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ থাকেই কথা শোনার, পাশে থাকার, সাপোর্ট করার, আর তার জন্য মনের দরজা খোলা রাখা জরুরি।

ডাটা প্রোটেকশনের কারণে আমি কারও নাম উল্লেখ করিনি। কনসেন্ট অ্যান্ড প্রুফ ছাড়া কারও নাম বা ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা আইনগত নিষিদ্ধ । আমার এতগুলো কথা বলার কারণ হলো, অন্যান্য সাধারণ মেয়েদের সতর্ক-সচেতন করে দেওয়া, আর সঙ্গে আমার যদি কখনো কিছু হয়ে যায়, পরবর্তী সময়ে এই স্টেটম্যানটি হয়তো কোনো কাজে লাগতেও পারে।

তবে, দুঃখ থেকে যাবে, আমি আমার বোনকে শক্ত করতে পারিনি। বাস্তবতার কাছে আগেই হার মেনেছে এই বাঙালি অথবা বাংলাদেশি নারী ।’

‘যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলা কঠিন কাজ’

কাস্টিং কাউচ শব্দটা নতুন নয়৷ হলিউড, বলিউড সর্বত্রই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই শব্দটি৷ তাই বিশ্বের প্রায় সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। প্রতিনিয়তই হলিউড-বলিউডের অভিনেত্রীরা যৌন হেনস্তা তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা মিডিয়ার সামনে শেয়ার করেছেন৷ এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন বলিউডের আরো এক অভিনেত্রী হুমা কুরায়েশি।

৭১তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। একটি ব্র্যান্ডের মুখপাত্র হিসেবে তিনি সেখানে যোগদান করেন। মি টু আন্দোলনকে সমর্থন করে ভারতীয় নারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও এসময় কথা বলেছেন তিনি।

একই সঙ্গে ‘যৌন হয়রানি’ শুধু চলচ্চিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন এই অভিনেত্রী। হুমা কুরায়েশি বলেন, ‘বেশিরভাগ নারীর জন্য যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলাটা বেশ কঠিন কাজ। আমরা ভারতে বসবাস করি। যদি কোনো মেয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলে, মানুষ তাকে খারাপ চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে।’

হুমা আরও বলেন, ‘যদি কোনো নারী কান্না করে, কোনো কিছু প্রকাশ করে এবং সাহায্য প্রত্যাশা করে। মানুষের কোনো অধিকার নেই তার চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করার। এ পরিস্থিতিতে সকলের উচিত তাকে সাহায্য করা। আমাদের উচিত আমাদের নারীদের এবং শিশুদের রক্ষা করা।’

উল্লেখ্য, হাইওয়ে, এক্স : পাস্ট ইজ প্রেজেন্ট, ডি-ডে এবং জলি এলএলবি-সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন হুমা। সম্প্রতি রজনীকান্তের সাথে ‘কালা’ চলচ্চিত্রে ফ্রেমবন্দি হতেও দেখা গেছে এ বলিউড নায়িকাকে। ছবিটি আগামী ৮ জুন মুক্তি পাবে।

‘রুশ মেয়েরা সুন্দরী, তাই বহু পুরুষ তাদের সঙ্গে শুতে চায়।’

কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শুরু হওয়ার আগে বিশ্বজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উন্মাদনা-উত্তেজনা। স্বাভাবিকভাবে জমজমাট এ খেলা দেখতে ইউরোপের দেশটিতে পাড়ি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। এদিকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা থেকে যেসব সাংবাদিক দেশটিতে যাচ্ছেন, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের হাতে একটি ম্যানুয়াল বই দিয়েছে। ওই বইয়ের একটি চ্যাপ্টারে লেখা আছে, ‘রুশ নারীদের কীভাবে পটাতে হবে’। এ লেখাটি নিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশটির ফুলবল অ্যাসোসিয়েশন।

ওই বইয়ে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রুশ নারীদের মনোরঞ্জন করতে হলে ‘নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন, আপনার শরীর সুগন্ধী রাখবেন এবং ভালো জামাকাপড় পরবেন।’

এতে নারীদের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা মনে করেন ‘তাদেরও একটা দাম আছে’।

বইটির এই পরামর্শ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠার পর আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এই পরিচ্ছেদটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে কয়েক মাস আগেই বিশাল এক নারী সমাবেশ হয়েছিল যেটি ছিল লাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় নারী সমাবেশ এবং সেখানে নারীদের প্রতি চরম বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং নারীদের ওপর নির্যাতনের অবসান দাবি করে বিক্ষোভ হয়েছিল। তার কয়েক মাসের মধ্যেই রুশ নারীদের মনোরঞ্জনের পরামর্শ সম্বলিত এই নির্দেশিকা বের হল।

আর্জেন্টিনার সাংবাদিক নাচো কাতুল্লো বলেছেন, রাশিয়ায় বিশ্বকাপে যাচ্ছেন যারা তাদের রুশ ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য এএফএ বিনা খরচে যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। তাতে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন।

কাতুল্লো তার টুইটার অ্যাকাউন্টে স্প্যানিশ ভাষায় বর্ণনা করেছেন, তাদের হাতে কীভাবে ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয় যেখানে একটা চ্যাপ্টারে বলা হয়েছে ‘রুশ মেয়েদের কীভাবে পটাতে হবে’। তিনি পুস্তিকার ওই চ্যাপ্টার টুইটারে পোস্ট করেন। যা লোকে শেয়ার করতে শুরু করে এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীনই ইন্টারনেটে এ নিয়ে হাসাহাসি চলতে থাকে।

কাতুল্লো বলেন, ‘কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের মাঝখানে এসে নির্দেশিকা বইগুলো ফেরত নিয়ে নেন এবং ওই পাতাগুলো ছিঁড়ে নিয়ে সেগুলো আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’

বইটির এ চ্যাপ্টারেই রাশিয়ার মেয়েদের পটানোর কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। ছবি: বিবিসি

বইতে দেওয়া পরামর্শের চ্যাপ্টারটি আট ভাগে ভাগ করা ছিল এবং এতে সরাসরি কী করতে হবে তা বলা হয়েছিল।

নির্দেশিকার শুরুতেই বলা হয়েছিল, ‘রুশ মেয়েরা সুন্দরী, তাই বহু পুরুষ তাদের সঙ্গে শুতে চায়।’

‘হয়ত তারাও সেটা চায়, কিন্তু মনে রাখবেন ওরাও মানুষ, ওরাও গুরুত্ব চায়। তারা বিশেষ কেউ সেটা ভাবতে চায়। তাদের কাছে যৌনতা নিয়ে বোকার মতো প্রশ্ন করবেন না। যৌন সম্পর্ককে তারা একান্ত ব্যক্তিগত মনে করে এবং এটা নিয়ে সবার সামনে আলোচনা পছন্দ করে না।’

বইটিতে আর্জেন্টিনার পুরুষদের বলা হয়েছে, বিষয়টা শেষ মুহূর্তের জন্য ফেলে না রাখতে। বলা হয়, ‘রুশ মেয়েরা এমন পুরুষদের পছন্দ করে যারা নিজেরা প্রথম উদ্যোগ নেন। আপনার যদি আস্থার অভাব থাকে, তাহলে মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় তা নিয়ে আগে থেকে তালিম দিতে থাকুন।’

যেসব আর্জেন্টাইন পুরুষ নিজেদের নিয়ে সন্দেহে ভোগেন তাদের উৎসাহও দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পুরুষদেরকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ‘মনে রাখবেন, বেশিরভাগ রুশ নারী আপনার দেশ সম্পর্কে বেশি কিছু জানবেন না, আপনি তার কাছে নতুন এবং আলাদা, রুশ পুরুষদের থেকে এখানে আপনি কিন্তু এগিয়ে।’

পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ‘তেমন মেয়েকেই বেছে নেবেন যার আপনার দিকে ঝোঁকার একটা সুযোগ আছে।’

বলা হয়, ‘সাধারণত রুশ নারীরা একটু সিরিয়াস জিনিস পছন্দ করেন, কিন্তু অনেক মেয়েকেই পাবেন যারা অর্থ বা চটুল জিনিসও পছন্দ করেন, অনেকে আবার শুধু দেখে আপনি সুদর্শন কিনা। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, রাশিয়ায় সুন্দরী মেয়ের সংখ্যা প্রচুর এবং সবাইয়ের যে আপনাকে পছন্দ হবে তা নয়। আপনি আপনার পছন্দে বেছে নিন!’

এএফএর সূত্র থেকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিতর্কিত চ্যাপ্টারটি ইন্টারনেটের ব্লগ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ম্যানুয়াল বা নির্দেশিকায় এই চ্যাপ্টারটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল কার সিদ্ধান্তে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায় নি।

রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

আসন্ন রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট কর্তৃক ঘোষিত ২৩ সদস্যের চুড়ান্ত দলে নেই তারকা খেলোয়াড় জ্যাক উইলশায়ার, জো হার্ট এবং রায়ান বারট্রান্ড। চলতি মৌসুমে ওয়েস্টহ্যামের হয়ে দুর্বল পারফরমেন্স করায় দল থেকে বাদ পড়েছেন এক সময়ের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হার্ট। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন বার্নলির নিক পোপ। দল থেকে বাদ পড়েছেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার উইলশায়ারও।

দলের রক্ষণভাগ থেকে বিস্ময়করভাবে বাদ পড়েছেন সাউদাম্পটন লেফট ব্যাক বারট্রান্ড। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ছেন লিভারপুলে খেলা তরুণ টেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এ তারকা খেলোয়াড়।

রক্ষণাত্মক বিকল্প থেকে জন স্টোন, কাইল ওয়াকার, গ্যারি চাহিল, হ্যারি মাগুইরে, ড্যানি রোজ, ফিল জোন্স এবং অ্যাশলে ইয়াংকেও দলে রাখেননি সাউথগেট। ঘরোয়া মৌসুমে দারুণ পারফরর্ম করা সত্ত্বেও দলে জায়গা হয়নি শিরোপা জয়ী ফুলহামের রায়ান সেসেগনন। জর্ডান হেন্ডারসনের নেতৃত্বাধীন দলে মিডফিল্ডার হিসেবে আছেন ডেলে আলী, এরিক ডায়ার, রাহিম স্টার্লিং। ফরোয়ার্ড হিসেবে দলে আছেন হ্যারি কেন, জ্যামি ভার্ডি, ড্যানি ওয়েলব্যাক এবং মার্কাস রাশফোর্ড।

‘ই’ গ্রুপে ১৮ জুন তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ইংল্যান্ড। গ্রুপের অপর দুই দল পানামা ও বেলজিয়াম।

দল- গোলরক্ষক: জর্ডান পিকফোর্ড, নিক পোপ, জ্যাক বাটল্যান্ড। ডিফেন্ডার: কাইল ওয়াকার, কিয়েরান ট্রিপায়ার, ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্দার-আর্নল্ড, গ্যারি চাহিল, ড্যানি রোজ, জন স্টোনস, হ্যারি মাগুইরে, ফিল জোন্স, অ্যাশলে ইয়াং। মিডফিল্ডার: এরিক ডায়ার, ফ্যাবিয়ান ডেলফ, জর্ডান হেন্ডারসন, ডেলে আলি, রুবেন লোফটাস-চিক, রাহিম স্টারলিং, জেসে লিংগার্ড। ফরোয়ার্ড: হ্যারি কেন, জেমি ভার্ডি, মার্কাস রাসফোর্ড, ড্যানি ওয়েলব্যাক।

ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী ৩২৩ প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলবেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা ৩২৩ প্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতা হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে প্রার্থীদের রাজনৈতিক মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পরীক্ষা নিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি।

আগামী রবিবার (২০ মে) ও সোমবার (২১ মে) নেতা হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের গণভবনে ডাকা হতে পারে। এ কারণে এই সপ্তাহেও ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ঘোষণা হচ্ছে না। বুধবার (১৬ মে) রাতে গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জানা যায়, সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতা হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ১১১ ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যে ২১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ মাসের ১১ ও ১২ তারিখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দলটির শীর্ষ দুই পদে নতুন নেতা নির্বাচন করা ছাড়াই শেষ হয় সম্মেলন। এর আগে তিন দফা ভোটে মাধ্যমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বঅচন করে। তবে গত দুইবার ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলেও তাদের নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হয়।

সর্বশেষ দুই কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হতাশ করেছে। এরই পরিপ্রক্ষিতে সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়া বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান শেখ হাসিনা।এরপর ইলেকশন নয়, বরং সিলেকশনে নেতা বানানোর সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

তামিম ব্রাজিল,সাকিব-মাশরাফি আর্জেন্টিনা!

রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাস খানেক বাকি। ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসর আগামী ১৪ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ১৫ জুলাই। তবে, এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের উত্তেজনা। যেসব দল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে তারা ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করতে শুরু করেছে। সারা বিশ্বে যারা ফুটবলকে ভালোবাসেন তারাও বিশ্বকাপের সময়টুকু কীভাবে উদযাপন করবেন তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

বাংলাদেশে ফুটবল বিশ্বকাপ বরাবরই জনপ্রিয়। সকল বয়সী মানুষের পছন্দের খেলা ফুটবল। অন্যদের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করবেন। পছন্দের দলকে তারা সমর্থন করবেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ঢাকাটাইমস জানার চেষ্টা করেছে যে, টাইগার ক্রিকেটারদের কে কোন দল সমর্থন করেন। তাহলে আসুন জেনে নিই, এবারের বিশ্বকাপে টাইগার ক্রিকেটাররা কে কোন দলকে সমর্থন করবেন।

মাশরাফি বিন মুর্তজা: ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনার ম্যাড ফ্যান।

সাকিব আল হাসান: বর্তমানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ফুটবলে সমর্থন করেন আর্জেন্টিনাকে।

মুশফিকুর রহিম: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত। তবে, তিনি দল হিসাবে সমর্থন করেন নেদারল্যান্ডসকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডস এবার বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। তাই মুশফিকুর রহিম চান রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ভালো খেলুক। অনেক দূর এগিয়ে যাক যাতে করে তিনি মেসির খেলা বেশি করে দেখতে পারেন।

তামিম ইকবাল: টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল সমর্থন করেন ব্রাজিলকে।

এনামুল হক বিজয়: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই তরুণ তারকা স্পেনকে সমর্থন করেন। তবে, আর্জেন্টিনার প্রতি তার সফট কর্নার কাজ করে। বিশ্বকাপ আসলে আর্জেন্টিনাই তাকে বেশি টানে।

রুবেল হোসেন: টাইগার পেসার রুবেল হোসেন ছোট থেকেই ব্রাজিলের খেলা দেখতে পছন্দ করেন।

আবু জায়েদ রাহি: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সদ্য সুযোগ পাওয়া তরুণ পেসার আবু জায়েদ রাহি ওইভাবে ফুটবল খেলা দেখেন না। তাই বিশ্বকাপ নিয়েও তার আগ্রহ নেই। কোনো দলকেই তিনি সমর্থন করেন না।

তাসকিন আহমেদ: পেসার তাসকিন আহমেদ ব্রাজিলের সমর্থক।

সৌম্য সরকার: এই টাইগার ওপেনার সবসময় আর্জেন্টিনাকেই করেন।

আল-আমিন হোসেন: পেসার আল-আমিন হোসেন যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আর্জেন্টিনার ডাই হার্ড ফ্যান। ফুটবল মানে তার কাছে একটাই দল। সেটা হলো আর্জেন্টিনা। আর মেসির সাথে তিনি অন্য কাউকে তুলনা করেন না।

ঈদের আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে ফখরুলের আশা প্রকাশ

আসন্ন রমজানের ঈদের আগেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ঈদ পর্যন্ত আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে থাকবেন বলে মনে করি না। ঈদের আগেই তিনি মুক্তি পাবেন; এটা হওয়া উচিত।’

বুধবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক চা চক্রে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক; চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলোতে আপিল করলে জামিন পাওয়া সম্ভব। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে ওইসব মামলার জামিন চাইবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী যোশেফ, টাঙ্গাইলের সরকার দলীয় এমপি রানা, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও খালেদা জিয়া হাসপাতালের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি, চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যেসব সুপারিশ করেছে, তাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।’

আলাপকালে সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, নির্বাচন কমিশন এবং আসন্ন গাজীপুর নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আসন্ন গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাববো, নতুন কৌশল ঠিক করবো। খুলনা নির্বাচনে যা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা নতুন করে ভাববো।’

খুলনা সিটি নির্বাচন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুলনায় নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে সরকার। সেখানে দৃশত শান্ত আর ভেতরে ভেতরে গোলমাল ছিল অনেক আগে থেকেই। সরকার ইসিকে বশীকরণ করে রেখেছিল; তাদের পদত্যাগ করা উচিত।’

খুলনা নির্বাচনে দায়িত্ব অবহেলায় প্রত্যাহার করা হল ওসিকে

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেছে মহানগর পুলিশ (কেএমপি)।

ওই থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট ও ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার রাতে ওসি শফিকুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএমপির মুখপাত্র এডিসি সোনালী সেন।

১৫ মে (মঙ্গলবার) খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জাল ভোটের কারণে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল প্রার্থী হয়েছিলেন। এখানে একটি পক্ষ জাল ভোট দেয়ার পরও এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ হোসেন মিঠু ৩ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল ২ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান রাসেল ২ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ২টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

ভোটের দিন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে সাংবাদিকদের নিয়ে নৌকায় সিল মারা ব্যালট পেপার দেখান, যা গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়।

ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বুলবুল লেখেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে সিসিইউতে চার দিন ছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হার্টের বাইপাস সার্জারি করানোর জন্য প্রস্তুত আছি।’

এসময় মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে বুলবুল আরো লেখেন, ‘কোনো সাহায্য কিংবা শিল্পী, বন্ধুবান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নাই। আমি একাই যথেষ্ট। শুধু অপারেশনের আগে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা আর কোরআন শরিফ রাখতে চাই।’

ফেসবুকের এ পোস্টটি নজরে এলে বুলবুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবরেণ্য গীতিকবি, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাইয়ের ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে এই পোস্ট নিয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি দেশের গুণী এই ব্যক্তিত্বের খোঁজখবর নেন। এমনকি তার চিকিৎসায় যা যা করণীয় তিনি সবই করবেন।’