প্রচ্ছদ হেড লাইন ‘দেশেও করা হবে উন্মুক্ত কারাগার’

‘দেশেও করা হবে উন্মুক্ত কারাগার’

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।
পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- অ্যালকোটান (কাঁধে বহনযোগ্য রকেট লাঞ্চার) ৪০টি, এটিজিডব্লিউ (ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র) ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি (বিমানবিধ্বংসী মেশিনগান) ৩টি, এপিসি আমর্স ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিকেল (আরসিভি) ১০টি, আর্মর্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭টি, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯টি, ট্রাক ২১৮টি, জিপ ৩২৮টি, বাস ২৫টি, মাইক্রোবাস ১২টি, ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩টি। আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার তিনটি। জলযানের মধ্যে স্পিডবোট ৮৭টি, হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ারবোট ৪টি, লজিস্টিক শিপ ১টি, পন্টুন ৫টি, মোটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪টি, রেসকিউ বোট ১৫টি, ওয়াটার ক্যারিয়ার ভেসেল ২টি। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) জন্য ২টি স্পিডবোটের বডি (কাঠামো) কেনা হয়েছে।