রমজানের প্রথমদিনেই সবজির দাম চড়া

 সংযমের মাসে অসংযতভাবে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। রমজানের প্রথমদিনেই ক্রেতাদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার।

বাজারে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা, টমেটোসহ রমজানে অধিক প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ হারে। রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গড়ে প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত দাম বেড়েছে বেগুনে। রমজান মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে বেগুনের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচাবাজার গিয়ে কথা হয় ক্রেতা ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রোজা আসায় প্রায় সব ধরনের পণ্যেই গড়ে কেজিতে দাম বেড়েছে দশ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। রমজানে ভেজাল ও দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।

বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চাহিদা একটু বেশি থাকায় ৬০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ৬০, টমেটো ৭০, ভেণ্ডি ৫০, পটল ৬০, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ এবং কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।

কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা,  পেঁপে ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা এক আঁটি ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়াপাতা ১৫০ টাকা কেজি, কাচা কলা হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৭০ টাকা, এছাড়া কচুর ছড়া ৪০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা। বুট কেজি ৮০ টাকা, ইসব গুলের ভুষি ৪০০ টাকা কেজি।

এদিকে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি।

মাংস বিক্রিতেও মানা হচ্ছে না মূল্য তালিকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রোজা উপলক্ষে গরুর মাংসের দর প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা বিক্রেতারা মাংস বিক্রি করছেন ৫০০ টাকা দরে। যা কয়েক দিন আগের তুলনায় ২০ টাকা বেশি। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ক্রেতারা।

 

স্পাইডারম্যান ডি ভিলিয়ার্স!

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে তিনি যখন হাতটা একবার তুললেন, চিন্নাস্বামী গর্জে উঠল। মাঠে হাজির দর্শকদের কাছে তাঁর নামটাই তখন জপমন্ত্র। আর হবে নাই বা কেন এবি ডি ভিলিয়ার্সের অতিমানবীয় পারফরম্যান্স যে প্লে-অফের দৌড়ে রেখে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বৃহস্পতিবারের নাটকীয় ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তিন রানে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে চলে এল আরসিবি। দু’পয়েন্ট পাওয়াই নয়, ভাল নেট রানরেট থাকায় লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এলেন কোহলিরা। ১৯ তারিখ রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে পারলে প্লে-অফে ওঠার খুব ভাল সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যাবে তাঁদের।

চিন্নাস্বামীতে প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তোলে ৬ উইকেটে ২১৮। জবাবে হায়দরাবাদ শেষ করে তিন উইকেটে ২০৪ স্কোরে। এই ম্যাচ আরসিবি জিতে যাওয়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপরও চাপ তৈরি হয়ে গেল। শনিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কেকেআর শেষ ম্যাচে হেরে গেলে আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, আরসিবি নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলে কিন্তু ছিটকে যেতে পারেন দীনেশ কার্তিকেরা। নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকার কারণে।

বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামী দেখল তিন ব্যাটসম্যানের তাণ্ডব। এক দিকে ডি ভিলিয়ার্স-মইন আলি। অন্য দিকে কেন উইলিয়ামসন। শেষ হাসি অবশ্য হাসল কোহলির দলই। সৌজন্যে অবশ্যই ডি ভিলিয়ার্স (৩৯ বলে ৬৯)। তিনি সঙ্গে পান মইনকে (৩৪ বলে ৬৫)। তবে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর নেওয়া আলেক্স হেলসের ক্যাচও। যা নিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ ও সব করতে পারে না। ক্যাচটা নিল যেন একেবারে স্পাইডারম্যান!’’ পাশাপাশি এবি-র ব্যাটিং নিয়ে বলেন, ‘‘এবির শট আমাকে এখনও মুগ্ধ করে রেখেছে।’’ হেলসের মারা ওই শটটা ডিপ মিড উইকেট বাউন্ডারির ধারে শূন্যে লাফিয়ে উঠে ধরে নেন ডি ভিলিয়ার্স। ঠিক যে ভাবে চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করে। একশো গজের ওপর দৌড়ে এসে ডিভিলিয়ার্সকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি।

কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা সময় মনে হচ্ছিল, হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে যেতে পারে। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত ব্যাট করছিলেন উইলিয়ামসন (৪২ বলে ৮১)। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কিন্তু মহম্মদ সিরাজের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান হায়দরাবাদ অধিনায়ক। বাকি রানটা আর তুলতে পারেননি মণীশ পাণ্ডে (৩৮ বলে অপরাজিত ৬২)।

ম্যাচের পরে কোহলি বলছিলেন, ‘‘বিপক্ষ ভয় পেয়েছে দেখলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ছি। আমাদের শক্তি দেখে অন্য দলগুলো এখন চায় না, আমরা ম্যাচ জিতি। এটা আমাদের ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ ছিল। দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরে ভাল লাগছে।’’ ম্যাচের সেরা ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের মুখে আমার নাম শুনতে শুনতে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছিল। তবে আমি মানুষই! আমার লক্ষ্য থাকে বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করা।’’ আর ওই ক্যাচটা নিয়ে কী বলবেন? ডিভিলিয়ার্স বলেন, ‘‘ক্যাচটা কঠিন ছিল না। আমি যে ভাবে ধরলাম, তাতে কঠিন দেখাল। ভাগ্য ভাল যে, বলটা হাতে আটকে গিয়েছিল।’’

এই ম্যাচে একটা সময় লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল রশিদ খান বনাম আরসিবির মহাশক্তিশালী ব্যাটিংয়ের। ব্যক্তিগত লড়াইটা রশিদই জিতলেন। কিন্তু তাঁর দল হেরে গেল। আরসিবির সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার। প্রথমে কোহলি (১২) তার পর একই ওভারে ডি ভিলিয়ার্স এবং মইনকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আরসিবিকে দু’শো রানের আগে থামাতে পারেননি। যে রানটা তুলতে পারল না হায়দরাবাদ।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করল আর্জেন্টিনা

দিন যাচ্ছে আর এগিয়ে আসছে রাশিয়ার ফুটবল বিশ্বকাপ। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর নেইমার সমর্থকদের মাঝে বাড়ছে উত্তাপ। বিশ্ব সেরার মঞ্চে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে অনুশীলন শুরু করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। কোচ হোর্হে সাম্পাওলির অধীনে দেশের রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে ‘এজেইজা’তে ঘাম ঝড়াচ্ছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।

১৯৮৬ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ৩২ বছর ধরে শিরোপার জন্য হাহাকার চলছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। ব্রাজিলে গত বিশ্বকাপে (২০১৪) তো শিরোপা জয়ের খুব কাছেই চলে গিয়েছিল লিওনেল মেসির দল। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়।

এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই আক্ষেপটা ঘুচাতে চায় দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। বিশেষ করে লিওনেল মেসির মতো বিশ্বসেরা একজন ফুটবলার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতবেন না, সেটা মানতে কষ্ট হয় খোদ সমালোচকদেরও।

আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমি জানি ঈশ্বর চাইছে আমাকে একটি বিশ্বকাপ দিতে; কিন্তু গতবার খুব কাছে গিয়েও সেটি আমাকে দেননি। আমি আশা করব, ঈশ্বর এবার অন্তত আমাকে বিশ্বকাপটা দেবেন, যাতে করে কাঁটাটা সরিয়ে ফেলতে পারি।’

এবার সেই না পাওয়ার বেদনা ঘুচাতে সর্বস্ব দিয়ে লড়বেন মেসি। দলের সেরা তারকার আক্ষেপ দূর করতে নিশ্চয়ই এগিয়ে আসবেন সতীর্থরাও। সেই লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ‘এজেইজা’তে দিনভর ঘাম ঝরানো অনুশীলন করতেই দেখা গেছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্বপ্ন কাঁধে নিয়ে বেড়ানো ফুটবলারদের।

রোনালদোকে অধিনায়ক করে পর্তুগালের দল ঘোষণা

ফ্রান্সকে হারিয়ে ২০১৬ সালে ইউরো জিতেছিল পর্তুগাল। অতিরিক্ত সময়ে স্ট্রাইকার এডার গোল করে শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন পর্তুগালকে। সেই এডারকে স্থান দেওয়া হয়নি রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে। জায়গা হয়নি লাৎসিওর উইঙ্গার নানি, বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আন্দ্রে গোমেজ ও বায়ার্ন মিউনিখের রেনাটো সানচেজেরও।

অবশ্য পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তাদেরকে দলে রাখতে না পেরে ব্যথিও হয়েছেন, ‘ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের ক্ষেত্রে যেসব খেলোয়াড় আমাদের সঙ্গে ছিল তাদেরকে এই স্কোয়াডে যুক্ত করতে না পারায় খারাপ লাগছে। পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনার ক্ষেত্রে তাদের সকলের অসামান্য অবদান ছিল। কিন্তু আমাকে খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হয়েছে। যেটা আমার কাছে ধাঁধাঁর চেয়েও কঠিন মনে হয়।’

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অধিনায়ক করে বৃহস্পতিবার ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। তার আগে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল তারা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লুইস ফিগোর পর পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন নানি। তাকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তিনি অবশ্য গেল বছরের কনফেডারেশনস কাপের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলেননি। ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে চারজন খেলোয়াড় রাখা হয়েছে। তারা হলেন ম্যানসিটির ফরোয়ার্ড বার্নার্ডো সিলভা, লেস্টারসিটির মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন সিলভা, সাউদাম্পটনের রাইট ব্যাক সেডরিক সোয়ারেস এবং ওয়েস্টহ্যামের মিডফিল্ডার জোয়াও মারিও।

বিশ্বকাপে পর্তুগাল রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন, মরোস্কো ও ইরান। ১৬ জুন স্পেনের বিপক্ষে পর্তুগাল তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে। ২০ জুন মরোক্কোর বিপক্ষে খেলবে রোনালদোরা। আর ২৬ জুন শেষ ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ইরান।

পর্তুগালের ২৩ সদস্যের স্কোয়াড :
গোলরক্ষক : অ্যান্থনি লোপেজ, বেতো ও রুই প্যাট্রিসিও।

ডিফেন্ডার : ব্রুনো আলভেস, সেডরিক সোয়ারেস, হোসে ফন্তে, মারিও রুই, পেপে, রাফায়েল গুয়েরিও, রিকার্ডো পিরেইরা ও রুবেন দিয়াস।

মিডফিল্ডার : আন্দ্রিয়েন সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, জোয়াও মারিও, জোয়াও মৌতিনহো, ম্যানুয়েল ফার্ন্দান্দেস ও উইলিয়াম কারভালহো।
ফরোয়ার্ড : আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্ডো সিলভা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গেলসন মার্টিনস, গোনকালো গুইদেস ও রিকার্ডো কোয়ারেসমা।

সব মামলায় জামিনের পরই খালেদা জিয়ার মুক্তি: নৌমন্ত্রী

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, একাধিক মামলা থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো কারাগারে রয়েছেন। সবগুলো মামলায় জামিনের পরই তিনি মুক্তি পাবেন তিনি।

শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

শাজাহান খান আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অনেক অপরাধ করেছেন বলেই বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একদিকে যেমন এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, অন্যদিকে মানুষ পুড়িয়ে-পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এমনকি গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন। তাদের মালামাল ধ্বংস করেছেন। এসব মামলায় তাকে জামিন নিতে হবে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, শুধু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেই খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে আইনগতভাবে জামিনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। জামিন নেয়া ছাড়া খালেদা জিয়া কখনই কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান কালু খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার (জেলা শাখা) চেয়ারম্যান পল্লবী হাসানসহ অন্যরা।

মাকে তাড়িয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে

নিজের মাকে বের করে দিয়ে বাড়ি দখল করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। এমন অভিযোগ করেছেন তার গর্ভধারিণী মা। রাজধানীর উত্তরায় ভাইয়ের নামে মায়ের দেয়া ওই বহুতল বাড়িটি গত বছর জোর করে দখলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

দখল হওয়া বাড়ি উদ্ধারের জন্য ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন তুরিন আফরোজের আপন ছোটভাই শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির। মামলাটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন শিশির ও তুরিন আফরোজের মা শামসুন নাহার। তবে বাড়িটি নিজের দাবি করে তুরিন আফরোজও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একই আদালতে। আগামী ৭ জুন মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার উত্তরার বাড়িটি ছাড়াও গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকাতেও পৈতৃক সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ করেছেন তার মা শামসুন নাহার তসলিম। এই প্রেক্ষাপটে নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পত্র দিয়েছেন তুরিনের মা। মেয়ে তুরিন জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বরাবর গত বছরের ৭ জুলাই অভিযোগ দিয়েছেন শামসুন নাহার।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে দায়ের করা (মামলা নম্বর ১৩-২০১৮) মামলায় বাদি শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ভাই শিশির সম্পত্তিতে আসতে চাইলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হবে বলেও মাকে হুমকি দেন বিবাদি তুরিন।

ঘটনার পর থেকেই মা শামসুন নাহার আর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ সড়কের ১৫ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রবেশ করতে চাইলে ভাই শিশিরকেও বাড়িতে ঢুকতে দেননি তুরিন, এমন অভিযোগ করেছেন মা শামসুন নাহার।

বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদকের কথা হয়, মামলা পরিচালনাকারী শামসুন নাহারের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার সব সুখ খানখান করে দিয়েছে পেটের মেয়ে তুরিন। ৫ তলা বিশিষ্ট দুই ইউনিটের বাড়িটি তুরিন দখলে নিয়েছে। তিনি জানান, তার স্বামী অর্থাৎ তুরিনের বাবা হাজী হাফেজ ইয়ার মোহাম্মদ তরফদারের ওয়ারিশদের কাছ থেকে বাড়িটি নিজ স্ত্রীর নামে ক্রয় করেন। পরে শামসুন নাহার ১৯৯৭ সালে ছেলের নামে বাড়িটি লিখে দেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী (তুরিন-শিশিরের বাবা) মারা যাওয়ার দুই মাস পরেই পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তুরিন। বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদেরও বের করে দেয়া হয়। নিজের অভিজাত বাড়ি থাকার পরও আজ আমি ফেরারি। আজ এ আত্মীয়ের বাসায় তো কাল আরেক আত্মীয়ের বাসায় রাত কাটছে। কানাডা প্রবাসী ছেলেও তুরিনের ভয়ে দেশে আসতে পারছে না।’

‘কথায় কথায় আমার মেয়ে তুরিন র‌্যাব ডিজি, পুলিশ, গোয়েন্দাদের ভয় দেখায়। জীবনের শেষ বেলায় বড়ই অসহায় লাগছে। নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছি। ব্যক্তি আর সংসারজীবনে উচ্ছৃঙ্খল তুরিন আজ আমাদের প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এমনটি বলছিলেন তুরিনের মা।

অভিযোগের ব্যাপারে কথা হয় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে আমার জন্মদাত্রী মা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে পারেন। আজকের এই আমি জীবনে যতটুকু অর্জন করেছি তার পেছনে এক বিশাল অবদান রয়েছে আমার মা আর বাবার। আমি আমার মরহুম বাবা এবং বিধবা মায়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’

শাহনওয়াজ আহমেদ শিশিরের দায়ের করা মামলার আইনজীবী মঈনুল হাসান লিপন বলেন, মামলার নিষ্পত্তিতে আমরা বিজয়ী হবো। জমি এবং বাড়ির সব দলিল বাদি শিশিরের পক্ষে। রাজউকের বরাদ্দ দেয়া প্লটে নির্মিত বাড়ি শামসুন নাহার তার ছেলেকে দান করেছেন এবং এর পক্ষে সব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।’

রমজানের প্রথন দিনে দাঁতন কিনতে দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

হাসান মাহমুদ : শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রোজা । আর ইফতারির পূর্বে দাঁতন (মেসওয়াক) করা সুন্নত এবং এর ফজিলতও অনেক। পবিত্র রমজান মাসে প্রথম রমজানে বাজারে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে দাঁতন। তাই লাইন ধরে রাজশাহী মহানগরীর দোকানগুলো থেকে দাঁতন ক্রয় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

সরেজমিনে নগরীর সাহেব বাজারে দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, দোকানে বিক্রি হচ্ছে তিন ধরনের দাঁতন (মেসওয়াক)। প্রতিটি দাঁতনের মূল্য কোনটি ১০ টাকা, কোনটি ১৫ আবার ২০ টাকা। পাকিস্তানের পিলু নামক এক ধরনের গাছের শিঁকড় থেকে এ মেসাওয়াক বা দাঁতন তৈরি করা হয়। সেখান থেকে পরে এটি এদেশে আসে বলে জানান দাঁতন বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন ।

নগরীর সাহেব বাজারের এই দোকানদার বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি প্রায় শতাধিক দাঁতন বা মেসওয়াক বিক্রি করেছেন। এটা এ বছরে তার সব থেকে বেশি বিক্রি বলে জানান তিনি।

আরেক দাঁতন বা মেসওয়াক বিক্রেতা রাব্বি বলেন, এ পর্যন্ত তার এক’শ থেকে দেড়’শ দাঁতন বিক্রি হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, রোজা ছাড়া দাঁতন কিনতে আসেন খুব কম মানুষই। রমজান ছাড়া বছরের বাকি সময় বিক্রি হয় খুব কম। আরেক বিক্রেতা আব্দুল মনির বলেন, আজ যে পরিমাণ দাঁতন বিক্রি হয়েছে এ কয়েকদিনে এর দ্বিগুণ দাঁতন বা মেসওয়াক বিক্রি হবে বলে তার বিশ্বাস।

বাসচাপায় পা হারানো আলাউদ্দিনও চলে গেলেন

রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে বাসচাপায় পা হারানো কমিউনিটি পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন সুমন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলাউদ্দিনের ভাই সালাউদ্দিন বলেন, গত শনিবার (১২ মে) সকালে ওয়ারীর জয় কালীমন্দির এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারে দায়িত্বপালন করার সময় তারাবো পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস আলাউদ্দিনকে ধাক্কা দিলে তার বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে থেঁতলে যায়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গত সোমবার (১৪ মে) তার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় ঢামেকে অানা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান।

আলাউদ্দিন সুমনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার নিতাইপুর গ্রামে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেছেন।

কিমের পরিণতি হবে গাদ্দাফির মতো: ট্রাম্প

আমেরিকা ও উত্তর কোরীয় নেতার মধ্যে লড়াই ক্রমশই ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে চলে যাচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভ করে বলেছেন, তার পরমাণু বোমার সুইচ উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং আনের বোমার সুইচের চেয়ে অনেক বড় এবং বেশি শক্তিশালী।

উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা না থামালে তাদের পরিণতি লিবিয়ার মতো হবে বলে হুশিয়ার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হলে কিম জং উন অবশ্যই ক্ষমতায় থাকবেন। তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ না মানলে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মতো তার অবস্থা হবে। খবর আলজাজিরা।

ট্রাম্প জানান, তিনি এখনও বিশ্বাস করেন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর খবরে আগামী মাসে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক পরিকল্পনামতো হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।

১২ জুন সিঙ্গাপুরে এ বৈঠক হওয়ার কথা।

ট্রাম্প বলেন, কিম জং তার দেশেই থাকবেন এবং দেশ পরিচালনা করবেন। তার দেশ অনেক ধনী হবে। আর যদি শর্ত না মানে, তবে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মতোই পরিণতি হবে তার।

তিনি বলেন, ‘লিবিয়ার দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে আমাদের সঙ্গে সমঝোতায় না আসার পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের অক্টোবরে পশ্চিমাদের সহায়তায় লিবিয়ার চার দশকের শাসক গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করে দেশটির বিদ্রোহীরা।

এতিমদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার, রোজা নেই খালেদা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাধারণের জন্য ইফতারির আয়োজন করেছেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন গরীব অসহায় এতিম শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও আলেম-ওলামাসহ আরও অনেক শ্রেনী পেশার মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তিনি এ ধারা চালু করেছেন। রমজানের প্রথমদিনটা তিনি সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ইফতারি করছে পছন্দ করেন। অনেক সময়ই দেখা যায়, ইফতার পর্ব শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী টেবিলে গিয়ে মায়ের মমতায় শিশুদের মুখে ইফতারি তুলে দেন। নিজ হাতে আগতদের যত্নআত্নী করেন।

অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ রোজা রাখেননি বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, তিনি গতরাতে সেহরিও করেননি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে ঔষধ খেতে হয়। এজন্য তিনি রোজা রাখবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাঁর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রমজানে কারাগারে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা নেই। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি বলে তার জন্য বিশেষভাবে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।