প্রচ্ছদ খেলাধুলা আর্জেন্টিনাঃ ৪ – ০ঃ নাইজেরিয়া

আর্জেন্টিনাঃ ৪ – ০ঃ নাইজেরিয়া

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে আজ তাদের সামনে কঠিন সমীকরণ। আজকের ম্যাচে যেভাবেই হোক সুপার ঈগলদের হারাতেই হবে আর্জেন্টিনার। পাশাপাশি ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ম্যাচেও নজর দিতে হবে। যদি আইসল্যান্ড হেরে যায় তাহলে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে যে দল জিতবে সেই দলই যাবে নক-আউট পর্বে। আর যদি সেই ম্যাচটি ড্র হয় তাহলে ভাগ্য খুলবে সুপার ঈগলদের।

সবকিছু মিলিয়ে অনেক চাপ নিয়েই আজ মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। তবে এরপরেও এই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে মেসিরাই। আজ মেসিরদের অনুপ্রেরণা যোগাবে সুপার ঈগলদের বিপক্ষে বিগত ম্যাচ গুলো। বিশ্বকাপের মহড়ায় চারবার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। চারবারের দেখায়ই জয় পায় ল্যাটিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা। তবে সুপার ঈগলরাও সহজে হার মানেনি আর্জেন্টিনার কাছে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের মধ্যেই লড়াই করেছে দুই দল। যার কারণে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার-নাইজেরিয়া ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা।

এক নজরে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার দ্বৈরথ-

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ (১৯৯৪):

১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে প্রথম বার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। সেইবারও গ্রুপ পর্বে দুই দল মুখোমখি হয়। আর সেই বিশ্বকাপ ছিল ম্যারাডোনার শেষ বিশ্বকাপ। বোস্টনে ২৫ জুলাই সেই ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। তবে ম্যাচের ২১ ও ২৮ মিনিটে ক্লদিও ক্যানিজিয়ার জোড়া গোলে সেই ম্যাচটি ২-১ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেই আসরে দুই দলই অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল।

কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ (২০০২):

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা না হলেও ২০০২ সালে এশিয়ায় ফের একই গ্রুপে পড়ে দুই দল। ২ জুন দুই দলের সেই লড়াইয়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার একমাত্র গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। তবে সেই আসরের দুই দলই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০):

নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনার তৃতীয় দেখা দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেবার ‘বি’ গ্রুপে পড়েছিল দুই দল। ১২ জুনের ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় ল্যাটিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা। দলের পক্ষে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ।

ব্রাজিল বিশ্বকাপ (২০১৪):

২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বেই আহমেদ মুসা ও লিওনেল মেসির দ্বৈরথ হয়েছিল। সেদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে মেসিদের আনন্দে মাটি দিয়ে ৬০ সেকেন্ডই পাল্টা গোল করেন মুসা। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আবার ও দলকে এগিয়ে নেন মেসি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল শোধ করেন মুসা। এমন পাল্টা আক্রমণের শেষ হাসিটা অবশ্য মেসিদেরই ছিল। কেননা ৫০ মিনিটে আর্জেন্টিনার জয় সূচক গোলটি করেন মার্কোস রজো। সেই বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় নাইজেরিয়া এবং রানার্স আপ হয় আর্জেন্টিনা।