হার্টথ্রব জলির সাথে রোমান্স করবেন নিরব

‘এই সিনেমাটির গল্প দারুণ। ছবিতে আমার চরিত্র পুলিশ অফিসারের। চরিত্রের জন্য নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছি। আর জলির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমাদের কেমিস্ট্রি ভালো লাগবে দর্শকদের। কথাগুলো বলছিলেন ‘অফিসার রিটার্নস’ ছবির নায়ক নিরব।

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এ সিনেমার শুটিং। বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত এই ছবিতে নিরবের বিপরীতে থাকছেন জলি। গতকাল সন্ধ্যায় এফডিসির জহির রায়হান ভি আই পি প্রজেকশন হলে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।

মহরতে এ ছবিটির জন্য শুভকামনা জানান অতিথিরা। তরুণ নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশি একশন নির্ভর গল্পে নির্মিত হবে ‘অফিসার রিটার্নস’। আশা করছি দর্শক উপভোগ করবেন এমন একটি সিনেমা হবে এটি।’

জলি বলেন, ‘এই সিনেমায় কাজ করতে মুখিয়ে আছি। সুন্দর গল্প, তরুণ নির্মাতা এবং নিরবের সঙ্গে প্রথম ছবির অভিজ্ঞতা সাফল্যের হবে এই প্রত্যাশা করি।’

মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, ছবিটির প্রযোজক আব্দুল বাছেত ও এর কলাকুশলীরা।

জাতিসংঘ ভেঙে পড়েছে : এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ ও সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর রেডিও তেহরানের

গত সোমবার সব আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে মার্কিন সরকার তেল আবিব থেকে দূতাবাস বায়তুল মুকাদ্দাসে স্থানান্তর করেছে। এর প্রতিবাদে সেদিন গাজার মানুষ ব্যাপক বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ ও অন্তত তিন হাজার ব্যক্তি আহত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এরদোগান বলেন, জাতিসংঘ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। ভালো বন্ধুত্ব থাকার পরও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য কোথাও এমন হত্যাযজ্ঞ ঘটলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক বেশি সক্রিয় হতো।

ওআইসি’র সভাপতি হিসেবে এরদোগান আগামীকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে ওই সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

রমজানে নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করবেন ৪০ ম্যাজিস্ট্রেট

রমজানে জনসাধারণ যেন ন্যায্যমূল্যে নির্ভেজাল পণ্য ও ইফতারসামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। মাসজুড়ে চলবে এ অভিযান। কোথাও পুলিশি পোশাকে, কোথাও সাদা পোশাকে চলবে এ নজরদারি।

ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে এবার একসঙ্গে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, র‌্যাব ও পুলিশ। ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাজধানীসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজানে প্রতিদিনই অভিযান চালাবে র‌্যাব। মূলত অভিযানগুলো হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। অভিযানের সময় সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেউ যাতে ইফতার সামগ্রীতে কেমিকেল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। এছাড়া হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোও নজরদারিতে থাকবে।’

প্রতিবারের মতো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) সঙ্গে নিয়ে এবারও অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ইফতার তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ-দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবেন তারা।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজানজুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব অভিজাত এলাকায় অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন দুটি করে অভিযান চলবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা যাবে না, খাদ্যে ভেজাল দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে। এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে ছোলা, ডাল, তেল, চিনি ও খেঁজুরের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মিল ও আড়তে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এটি চলবে।

এদিকে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বাইরে কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালাবে।

বিএসটিআই জানায়, রমজানে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিংক পাউডার, ফ্রুট জুস, ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ইত্যাদি ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন। বাজারে এগুলোর মান যাচাই করা হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ ঘোষণা’ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত সোমবার রমজানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ইফতারে খাদ্য ভেজাল নিয়ে জরুরি বৈঠক করে ডিএমপি। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ জানায়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র মাহে রমজান ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে এবং খাবারে যে কোনো ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করবে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে রমজানে জনভোগান্তি কমাতে ইতোমধ্যে বাজার মনিটরিং শুরু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। সংগঠনের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের উপ-সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। রমজানে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’

পবিত্র রমজানে জনসাধারণ যাতে নিরাপদে ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে জন্য ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং, শপিং মলের সামনে বা আশপাশে যানবাহন পার্কিং বন্ধ রাখা, ফুটপাত হকারমুক্ত রাখা, ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং না করা এবং মোটরসাইকেল চলতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।

এছাড়া ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে নতুন করে রাস্তা না খোঁড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনার। গত সোমবার ডিএমপি সদর দফতরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি ‘মিথ্যেবাদী দল’ : জয়

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে খালেককে অভিনন্দন জানান তিনি। একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিয়ে দলটিকে ‘মিথ্যেবাদী দল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাবে বলে বিএনপি যে মন্তব্য করেছিল তারও জবাব দিয়েছেন জয়।

‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনে গতকালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র তালুকদার খালেককে অভিনন্দন।

বিএনপি পুরোদস্তুর একটি মিথ্যেবাদী দল। তারা প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করে আর ভাবে মানুষ এতটাই বোকা যে তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করবে।

তারা এখন খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে, যদিও তাদের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় প্রায় অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছেন। মোট ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র তিনটি অর্থাৎ ১ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে এবং ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছিল। বিএনপি কর্মীরাই বরং কেন্দ্রগুলো ভাঙচুর করেছে, আবার এখন তারাই এটা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।

আসলে, বিএনপি-ই এতদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। সকল নির্বাচনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হতো তাহলে ভোট জালিয়াতি অসম্ভব হয়ে পড়তো। তারপরেও তারা এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়েও তারা ব্যাপক মিথ্যাচার করছে। প্রথমে তারা বোঝানোর চেষ্টা করলো। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের দেশের তথ্য বিদেশিদের কাছে পাচার হয়ে যাবে। এই ধারণা একমাত্র অশিক্ষিত, মূর্খ লোকদেরই হতে পারে। এখন আমরা অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করছি। এই স্যাটেলাইটগুলো বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন আমাদের নিজেদের স্যাটেলাইট থাকার কারণে বরং আমাদের তথ্য আরও নিরাপদ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, তারা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিকানাধীন, যা টেলিটক, বিটিসিএল এর মতো শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটার মালিকানা অন্য কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কথাটা আসলে টেলিটক বা বিমান বাংলাদেশকে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেওয়ার মতোই। আইনগতভাবে যা অসম্ভব। আবারও, শুধুই মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষেরাই এই ধরনের কথা বলতে বা বিশ্বাস করতে পারে।

বঙ্গবন্ধু-১ একটি বাণিজ্যিক টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটা অতিরিক্ত ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যাতে আমরা ট্রান্সপন্ডার বিক্রি করতে পারি এবং বাংলাদেশ সরকার এর থেকে আয় করতে পারে। যে কোনো প্রতিষ্ঠান এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার কিনতে পারবে। এটা অনেকটা বিটিসিএল বা টেলিটক এর কাছ থেকে সংযোগ ক্রয় করার মতো।

অবশ্য, যারা এতিমের টাকা চুরি করে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি। খালেদা জিয়ার বিচার হয়েছে, তিনি এখন জেল খাটছেন। তার জায়গায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন মনোনীত করেছে আরেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে। তাদের কোনো লজ্জা বা সততা নেই।

তারা শুধুই একদল বাটপার।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পান।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপণ্ন করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা শুরু করে নানামুখী ষড়যন্ত্র। বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন জীবন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের শহরে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সারাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা।

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃহত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ফিরে আসার দিন থেকে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম জীবন শুরু হয়। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন,পরিণত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মানন্নোয়ন করে এক সময়ের মঙ্গা কবলিত, দুর্ভিক্ষ জর্জরিত বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৩৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়। কিন্তু তিনি নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। বাঙালির ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে তৃতীয়বারের ন্যায় রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ মে দুপুর ২টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি। এছাড়া আরও আলোচনা করবেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জাতীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিবৃতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণে, গণতন্ত্রের উন্নয়নে ও আধুনিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্যে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী (ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে) দোয়া, মিলাদ মাহফিল, বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখোমুখি লড়াইয়ে ভাই-বোন

নানান জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা শেষে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় সম্পন্ন করেছেন সোনম কাপুর। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রেমিক আনন্দ আহুজাকে বিয়ে করেন বলিউডের এই হার্টথ্রুব নায়িকা। হাতে মেহেদীর রং এখনো শুকায়নি। চলে গেলেন কান চলচ্চিত্র উৎসব মাতাতে।

আসছে এ নায়িকার নতুন ছবি ‘বীরে ডি ওয়েডিং’। এর চেয়ে বড় খবর নিজের ভাই হর্ষবর্ধন কাপুরের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের সামনে সোনম। একই দিনে মুক্তি পাবে হর্ষবর্ধনের ভবেশ জোশি। গতকাল টুইটারে সিনেমাটির নতুন একটি পোস্টার প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছেন হর্ষবর্ধন। ফলে বক্স অফিসে মুখোমুখি লড়াইয়ের সামনে অনিল কাপুরের কন্যা ও পুত্র।

সোনম অভিনীত ‘বীরে ডি ওয়েডিং’-এ অভিনয় করছেন কারিনা কাপুর খান, স্বরা ভাস্কর, শিখা তালসানিয়া, সুমীত ব্যাস। এটি পরিচালনা করেছেন শশাংক ঘোষ। এরই মধ্যে সিনেমাটির ট্রেইলার ও গান প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১ জুন সিনেমাটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করেছেন নির্মাতারা।

এদিকে একই দিনে মুক্তি পেতে যাওয়া হর্ষবর্ধন অভিনীত ‘ভবেশ জোশি’ পরিচালনা করেছেন লুটেরা সিনেমাখ্যাত নির্মাতা বিক্রমাদিত্য মতওয়ানি। এতে হর্ষবর্ধনকে সুপারহিরো চরিত্রে দেখা যাবে।

সুস্থভাবে রোজা রাখতে ১০ পরামর্শ

রোজা প্রায় চলে এসেছে। রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর উপায়ে রোজা থাকতে কিছু পরামর্শ

১. রোজায় পানিশূন্যতা বেশি হয়। এ সমস্যা সমাধানে ইফতার ও সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। ইফতার থেকে সেহরির মাঝখানে বারবার পানি পান করতে হবে।

২. ইফতার ও সেহরিতে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে পানির পিপাসা বাড়ে। এ সময় ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। তাই আদর্শ, সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে দেশি ফল, ফলের শরবত ও শাকসবজি খান।

৩. হঠাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে ইফতার করবেন না। বেশি ঠান্ডা পানি রক্তনালি সংকোচন বাড়িয়ে হজমে সমস্যা করে। এ সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন।

৪. রোজায় খাদ্য তালিকায় ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার রাখবেন না। চর্বিজাতীয় খাবার শরীরকে গরম করে। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৫. ইফতার ও সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাবার খান। এ ছাড়া রোজার মাসে নিয়মিত ডিম, দুধ, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এতে ক্ষুধা কম লাগবে। এ ছাড়া অনেকক্ষণ শক্তিও থাকবে।

৬. রোজায় চা, কফি, কোমল পানীয় পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তোলে।

৭. রোজার সময় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলো শরীরকে পানিশূন্য করে।

৮. সেহরিতে কম না খেয়ে নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর খাবার খান। কোনো সেহরি বাদ দেওয়া যাবে না। মাঝরাতে সেহরি না খেয়ে শেষ মুহূর্তে সেহরি খেতে হবে। এতে সারা দিন শরীরে শক্তি থাকবে।

৯. রোজায় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন, গোসল করুন, পরিষ্কার কাপড় পরুন। সুতির সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। দিনের বেলা রোদের ভেতর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। বাইরে বের হলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।

১০. রোজায় অস্বাস্থ্যকর খাবার পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। তাই গরম গরম খাবার খান। খাদ্য রান্না ও সংরক্ষণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। এ ছাড়া রোজার দিনগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।

সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ হিসেবে বাংলাদেশে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। নিজের দেশকে বহিঃবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার প্রাপ্তির সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন পালক। কিন্তু সমাজে প্রতিনিয়ত যেসব ঘটে যাচ্ছে সেই বিষয়গুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে কিংবা সমাজের চোখে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েও নানা আলোচনার জন্ম দেন প্রিয়তি। মেয়েদের অপমানস্বরূপ যে বিষয়গুলো খুব সামান্য ভাবে দেখা হয় প্রিয়তি সেই বিষয়গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এই গুনটির জন্যই তাকে আলাদাভাবে চেনা যায়।

এবার নিজের বোনের স্বামীর কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রিয়তি। ১১ মে, শুক্রবার তার দেওয়া পোস্টে তিনি ব্যক্ত করেছেন তার বোনের দাম্পত্য জীবনের নানা দিক। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশি নাকি বাঙালি? কোন শব্দটা বেশি প্রযোজ্য এই মেয়ের বেলায়? বলতে চাই একটি সাধারণ মেয়ের কথা। যে স্বামীর মন রক্ষার্থে নিজের বোনের সঙ্গে ছয়-সাত বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে দ্বিধাবোধ করেনি। সংসারে দ্বিমত হলে অশান্তি হতে পারে তার জন্য নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে এক ঘরে পড়েছিল বছরের পর বছর। স্বামীর ভাষ্যমতে, কোনো ভদ্র ঘরের মেয়েরা ঘর থেকে বের হয় না, তাই চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে রেখেছে দিনের পর দিন। নিজের মগজে, মনে- প্রাণে বিশ্বাস করে রেখেছে স্বামী ছাড়া তার আর কোনো গতি নেই। আর স্বামীর থেকে পৃথিবীর আর কেউ আপন নেই (যেহেতু তার বাবা-মা বেঁচে নেই)। আর সেই মেয়ে নয় বছর স্বামীর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে, স্বামীর ভুল ও অন্যায় ঢাকার জন্য প্রস্তুত থাকে সর্বদা, সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

কোন নারী এভাবে নয় বছর মারধোর খেয়ে ঐ একই ঘরে থাকার পর জানতে পারে যে বাহিরে তার স্বামীর একাধিক নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, তারপরেও যেন স্বামীর আসল মুখোশ সমাজের সামনে না খুলে তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, সেই মেয়েকে বাঙালি নারী ডাকবো নাকি বাংলাদেশি নারী?

একাডেমিক শিক্ষায় তার স্বামী বৈমানিক হতে পেরেছেন কিন্তু নৈতিকতা শিখতে পারেননি বিন্দুমাত্র। তার স্বামী তাকে বিয়ের পূর্বেই আরেকটি বিয়ে করে রেখেছিল কিন্তু তার স্বামী তাকে এবং তার পুরো পরিবারকেই অন্ধ বানিয়ে বোঝাতে সক্ষম হলো ঐ মেয়ে তার গরিব খালাতো বোন, অসুস্থ মাকে দেখাশুনা করার জন্য মেয়েটিকে তার বাসায় রাখা। চুল পরিমাণ কেউ বুঝতে পারেনি এতো নিখুঁত খেলা।

যখন কয়েক মাস পর হাতে-নাতে ধরা পড়ল, তখনও সমাজের কটাক্ষ চোখ থেকে বাঁচার জন্য মাফ করে দিলো তার সেই দুর্দান্ত স্বামীকে। তারপরেও তার স্বামী ক্ষান্ত নন। পাইলট পেশার ছায়া তলে যেকোনো মেয়েকে তার জন্য জোগার করাটা খুব বেশি কষ্টসাধ্য নয়। আর যদি মেয়েদের কাছে একটু ইনিয়ে বিনিয়ে চোখে দুফোঁটা জল এনে বলে, দাম্পত্য জীবন দুর্বিষহ, কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই, কয়েকদিনের মধ্যে ডিভোর্সও হয়ে যাবে। তাহলে তো এক শ্রেণীর মেয়েরা নিজেকে রানি ভাবতে শুরু করে দেয়।

তথ্য কতটুকু সত্য না মিথ্যা তা পর্যন্ত যাচাই করার প্রয়োজন মনে করে না কিন্তু শরীর বিলিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি। আচ্ছা বলুনতো, নিজেদের এতো মূল্যহীন কেন ভাবেন? শর্টকাটে নিজের জীবন গুছানো পেতে গিয়ে নিজের বিবেকের সঙ্গে কতটা বেঈমানি করছেন তার কি কখনো হিসেব নিকেশ করেছেন?

উপরের যার কথা বললাম, সে বেশি দূরের কেউ না, আমারই বোন। কিন্তু আমরা নিষ্প্রাণ হয়ে শুধু দূর থেকেই দেখছি, কিছুই করার অধিকার নেই আমাদের। কারণ এই ভদ্রমহিলা কিছুই করতে আগেও দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না। সর্বশেষ যখন তার স্বামী তাকে মেরে বাসা থেকে চলে যায় এবং অন্য মেয়ের সঙ্গে থাকা শুরু করে, তখন আমার বোন পল্লবী থানাতে এফআইআর করতে গেলেও থানার কর্মরত কর্মকর্তারা তার স্বামীকে পূর্বপরিচিত থাকায় যথেষ্ট প্রমাণ নেই এই কারণ দেখিয়ে কেসটি উনারা নেননি।

পরবর্তী সময়ে আমি প্রেস কনফারেন্স করে বিষয়টি সবার সামনে আনার কথা বলি, যাতে প্রশাসন এক তরফা অনুগ্রহ না করে। কিন্তু আমি বা আমরা আবারও হেরে যাই, তার জেদের কাছে। তার জেদ, তার স্বামীকে বাঁচানোর জেদ, তার স্বামীর নাম রক্ষার জেদ। তার সেই স্বামী, যেই স্বামী তাকে প্রতিদিন খুন করছে নতুন করে।

মজার ব্যাপার শুনুন, আমার বোনকে তার স্বামী এমনভাবে গত নয় বছরে তৈরি করেছে যে, তার বাসায় কোনো ইন্টারনেট ছিল না, এখন পর্যন্ত আমার বোনের হাতে কোন স্মার্ট ফোন নেই। সে জানে না, কীভাবে গুগল করতে হয়, কীভাবে ফেসবুক চালাতে হয়, কীভাবে একটা অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। এতটাই অজ্ঞ বানিয়ে রাখতে তার স্বামী ‘প্রাক্তন বিমান বাহিনী অফিসার’ সক্ষম হয়েছেন। উনি উনাদের ক্রিমিনাল ট্রেনিং পুরোদমে আয়ত্তে করতে পেরেছেন , তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (আমি এই বছর জানুয়ারিতে যখন বাংলাদেশে আসি তখন ওদের ইন্টারনেট নেয়ার অনুরোধ করে একটি রাউটার কিনে দিই। তারপরই আসে তাদের বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ, যা মাঝে আবার বিছিন্ন ছিল)।

যা হোক, উনি যে পরনারীর প্রতি আসক্ত বা শারীরিক সম্পর্ক করছেন, তার বিন্দুমাত্র আন্দাজ ছিল না আমার বোনের। কিন্তু দেখুন প্রকৃতির কি নির্মম পরিহাস, যেই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে, তার শরীর ভোগ করার পর তাকে ছেড়ে দিয়ে আবার অন্য মেয়ের কাছে চলে যায়, সেই মেয়েরাই আবার ফোন করে আমার বোনকে সব তথ্য দিতে থাকে। কিন্তু তার স্বামী বরাবর অস্বীকার করে আসে আর মারধোর করতে থাকে। সর্বশেষ, ৫ মে আমার বোন ভাবীকে নিয়ে ধানমন্ডি স্টার কাবাবে চা খেতে গেলে, মেয়েসহ তার স্বামীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। সেই নাটক দেখেছে রেস্টুরেন্টসহ অত্র এলাকা। বোনকে ঐ মেয়ে জানায়, একবছর পর তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে। নিজের স্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে ঐ লোক ব্যস্ত হয়ে যায় উনার প্রেমিকাকে সামলাতে এবং মানাতে। অথচ, এই একই লোক বাসায় তার স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত বলতেন হাদিস পড়তে, তাদের একমাত্র সন্তানকে হাদিস শোনাতে। পরবর্তী সময়ে ঐ লোকের পরিবারকে এইসব ঘটনা জানানো হলে, আমার বোন ঠিকমত রান্না করতে পারে না, এই দোষে সাব্যস্ত করে উনাদের পুত্রকে শাসন না করে ,পুরোপুরি সমর্থন করেন।

আর সমাজ? সমাজের দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। সমাজ তো আমরাই। আজ সমাজে আমার বোনের মতো মানুষেরা ঘটনাগুলো ঘটতে দিচ্ছে বলেই নারীর দুর্বলতা বাড়ছে, কটাক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও বাড়ছে। হ্যাঁ, স্বীকার করছি সবার মনোবল সমান নয় ,সবার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষমতাও সমান নয়। সেই ক্ষেত্রে নিজের আবেগের থেকে নিজের বিশ্বস্ত মানুষের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। আমি বিশ্বাস করি কোথাও না কোথাও কেউ না কেউ থাকেই কথা শোনার, পাশে থাকার, সাপোর্ট করার, আর তার জন্য মনের দরজা খোলা রাখা জরুরি।

ডাটা প্রোটেকশনের কারণে আমি কারও নাম উল্লেখ করিনি। কনসেন্ট অ্যান্ড প্রুফ ছাড়া কারও নাম বা ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা আইনগত নিষিদ্ধ । আমার এতগুলো কথা বলার কারণ হলো, অন্যান্য সাধারণ মেয়েদের সতর্ক-সচেতন করে দেওয়া, আর সঙ্গে আমার যদি কখনো কিছু হয়ে যায়, পরবর্তী সময়ে এই স্টেটম্যানটি হয়তো কোনো কাজে লাগতেও পারে।

তবে, দুঃখ থেকে যাবে, আমি আমার বোনকে শক্ত করতে পারিনি। বাস্তবতার কাছে আগেই হার মেনেছে এই বাঙালি অথবা বাংলাদেশি নারী ।’

‘যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলা কঠিন কাজ’

কাস্টিং কাউচ শব্দটা নতুন নয়৷ হলিউড, বলিউড সর্বত্রই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই শব্দটি৷ তাই বিশ্বের প্রায় সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। প্রতিনিয়তই হলিউড-বলিউডের অভিনেত্রীরা যৌন হেনস্তা তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা মিডিয়ার সামনে শেয়ার করেছেন৷ এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন বলিউডের আরো এক অভিনেত্রী হুমা কুরায়েশি।

৭১তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী। একটি ব্র্যান্ডের মুখপাত্র হিসেবে তিনি সেখানে যোগদান করেন। মি টু আন্দোলনকে সমর্থন করে ভারতীয় নারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও এসময় কথা বলেছেন তিনি।

একই সঙ্গে ‘যৌন হয়রানি’ শুধু চলচ্চিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বলেও মন্তব্য করেছেন এই অভিনেত্রী। হুমা কুরায়েশি বলেন, ‘বেশিরভাগ নারীর জন্য যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলাটা বেশ কঠিন কাজ। আমরা ভারতে বসবাস করি। যদি কোনো মেয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কথা বলে, মানুষ তাকে খারাপ চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে।’

হুমা আরও বলেন, ‘যদি কোনো নারী কান্না করে, কোনো কিছু প্রকাশ করে এবং সাহায্য প্রত্যাশা করে। মানুষের কোনো অধিকার নেই তার চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করার। এ পরিস্থিতিতে সকলের উচিত তাকে সাহায্য করা। আমাদের উচিত আমাদের নারীদের এবং শিশুদের রক্ষা করা।’

উল্লেখ্য, হাইওয়ে, এক্স : পাস্ট ইজ প্রেজেন্ট, ডি-ডে এবং জলি এলএলবি-সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন হুমা। সম্প্রতি রজনীকান্তের সাথে ‘কালা’ চলচ্চিত্রে ফ্রেমবন্দি হতেও দেখা গেছে এ বলিউড নায়িকাকে। ছবিটি আগামী ৮ জুন মুক্তি পাবে।

‘রুশ মেয়েরা সুন্দরী, তাই বহু পুরুষ তাদের সঙ্গে শুতে চায়।’

কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শুরু হওয়ার আগে বিশ্বজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উন্মাদনা-উত্তেজনা। স্বাভাবিকভাবে জমজমাট এ খেলা দেখতে ইউরোপের দেশটিতে পাড়ি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। এদিকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা থেকে যেসব সাংবাদিক দেশটিতে যাচ্ছেন, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের হাতে একটি ম্যানুয়াল বই দিয়েছে। ওই বইয়ের একটি চ্যাপ্টারে লেখা আছে, ‘রুশ নারীদের কীভাবে পটাতে হবে’। এ লেখাটি নিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশটির ফুলবল অ্যাসোসিয়েশন।

ওই বইয়ে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রুশ নারীদের মনোরঞ্জন করতে হলে ‘নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন, আপনার শরীর সুগন্ধী রাখবেন এবং ভালো জামাকাপড় পরবেন।’

এতে নারীদের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা মনে করেন ‘তাদেরও একটা দাম আছে’।

বইটির এই পরামর্শ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠার পর আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এই পরিচ্ছেদটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে কয়েক মাস আগেই বিশাল এক নারী সমাবেশ হয়েছিল যেটি ছিল লাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় নারী সমাবেশ এবং সেখানে নারীদের প্রতি চরম বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং নারীদের ওপর নির্যাতনের অবসান দাবি করে বিক্ষোভ হয়েছিল। তার কয়েক মাসের মধ্যেই রুশ নারীদের মনোরঞ্জনের পরামর্শ সম্বলিত এই নির্দেশিকা বের হল।

আর্জেন্টিনার সাংবাদিক নাচো কাতুল্লো বলেছেন, রাশিয়ায় বিশ্বকাপে যাচ্ছেন যারা তাদের রুশ ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য এএফএ বিনা খরচে যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। তাতে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন।

কাতুল্লো তার টুইটার অ্যাকাউন্টে স্প্যানিশ ভাষায় বর্ণনা করেছেন, তাদের হাতে কীভাবে ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয় যেখানে একটা চ্যাপ্টারে বলা হয়েছে ‘রুশ মেয়েদের কীভাবে পটাতে হবে’। তিনি পুস্তিকার ওই চ্যাপ্টার টুইটারে পোস্ট করেন। যা লোকে শেয়ার করতে শুরু করে এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীনই ইন্টারনেটে এ নিয়ে হাসাহাসি চলতে থাকে।

কাতুল্লো বলেন, ‘কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের মাঝখানে এসে নির্দেশিকা বইগুলো ফেরত নিয়ে নেন এবং ওই পাতাগুলো ছিঁড়ে নিয়ে সেগুলো আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’

বইটির এ চ্যাপ্টারেই রাশিয়ার মেয়েদের পটানোর কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। ছবি: বিবিসি

বইতে দেওয়া পরামর্শের চ্যাপ্টারটি আট ভাগে ভাগ করা ছিল এবং এতে সরাসরি কী করতে হবে তা বলা হয়েছিল।

নির্দেশিকার শুরুতেই বলা হয়েছিল, ‘রুশ মেয়েরা সুন্দরী, তাই বহু পুরুষ তাদের সঙ্গে শুতে চায়।’

‘হয়ত তারাও সেটা চায়, কিন্তু মনে রাখবেন ওরাও মানুষ, ওরাও গুরুত্ব চায়। তারা বিশেষ কেউ সেটা ভাবতে চায়। তাদের কাছে যৌনতা নিয়ে বোকার মতো প্রশ্ন করবেন না। যৌন সম্পর্ককে তারা একান্ত ব্যক্তিগত মনে করে এবং এটা নিয়ে সবার সামনে আলোচনা পছন্দ করে না।’

বইটিতে আর্জেন্টিনার পুরুষদের বলা হয়েছে, বিষয়টা শেষ মুহূর্তের জন্য ফেলে না রাখতে। বলা হয়, ‘রুশ মেয়েরা এমন পুরুষদের পছন্দ করে যারা নিজেরা প্রথম উদ্যোগ নেন। আপনার যদি আস্থার অভাব থাকে, তাহলে মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় তা নিয়ে আগে থেকে তালিম দিতে থাকুন।’

যেসব আর্জেন্টাইন পুরুষ নিজেদের নিয়ে সন্দেহে ভোগেন তাদের উৎসাহও দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পুরুষদেরকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ‘মনে রাখবেন, বেশিরভাগ রুশ নারী আপনার দেশ সম্পর্কে বেশি কিছু জানবেন না, আপনি তার কাছে নতুন এবং আলাদা, রুশ পুরুষদের থেকে এখানে আপনি কিন্তু এগিয়ে।’

পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ‘তেমন মেয়েকেই বেছে নেবেন যার আপনার দিকে ঝোঁকার একটা সুযোগ আছে।’

বলা হয়, ‘সাধারণত রুশ নারীরা একটু সিরিয়াস জিনিস পছন্দ করেন, কিন্তু অনেক মেয়েকেই পাবেন যারা অর্থ বা চটুল জিনিসও পছন্দ করেন, অনেকে আবার শুধু দেখে আপনি সুদর্শন কিনা। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, রাশিয়ায় সুন্দরী মেয়ের সংখ্যা প্রচুর এবং সবাইয়ের যে আপনাকে পছন্দ হবে তা নয়। আপনি আপনার পছন্দে বেছে নিন!’

এএফএর সূত্র থেকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিতর্কিত চ্যাপ্টারটি ইন্টারনেটের ব্লগ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ম্যানুয়াল বা নির্দেশিকায় এই চ্যাপ্টারটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল কার সিদ্ধান্তে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায় নি।

সর্বশেষ আপডেট...