সালাহর হাতেই মিশরের বিশ্বকাপ স্বপ্ন

আর মাত্র ২৯ দিন পরই পর্দা নামছে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের। এটি বিশ্ব ফুটবল পাড়ায় আনন্দ উপলক্ষ্য, মাসব্যাপী চায়ের কাপে তর্ক-বিতর্ক। হাটি হাটি পা পা করে ২১তম বারের মতো মঞ্চায়নের অপেক্ষায় বিশ্বকাপ ফুটবল। তবে এই মঞ্চায়নের আগে প্রতিটি দল নিয়ে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণে মত্ত বিশ্লেষকরা। প্রতিটি দলের সম্ভবনা সমস্যা-সমাধান ফুটিয়ে তোলাই মোক্ষম উদ্দেশ্য তাদের।

সে ধারাবাহিকতায় আজ চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলবে রাশিয়া বিশ্বকাপ গ্রুপ-এ’র অফার সম্ভবনাময় দল মিশরকে নিয়ে। নানা নাটকীয়তায় ভর করে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে নীল নদের দেশ মিশর।বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আলেকজান্দ্রিয়া স্টেডিয়ামে কঙ্গো গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোটা মিশরবাসীকে উল্লাসে মাতান মোহাম্মদ সালাহ। সেদিন সালাহর জোড়া গোলেই রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে মিশর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আফ্রিকার হয়ে প্রথমেই বিশ্বকাপ মিশনে পা রাখে মিশর।

হিসেব বলছে, প্রায় ২৮ বছর পর ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে পা রাখলো মিশর। সেই ১৯৩৪ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপ খেলেছিল মুসলিম প্রধান দেশটি। ১৯৩৪ সালের ইতালি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দেয় পিরামিডের দেশটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপে সেই ইতালির মাটিতেই চমক দেখায় মিশর। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডকে জিততে দেয়নি দলটি। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে পরাজিত হয় মিশর।

বাজির ঘোড়া
মিশরের বাজির ঘোড়া মোহাম্মদ সালাহ। যদি প্রশ্ন করা হয়, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কে? নিশ্চয় মেসি-রোনালদো কিংবা নেইমারের পাশাপাশি অনেকেই বলবেনন মোহাম্মদ সালাহর কথা। বলারই কথা। ২০১৭-১৮ ইউরোপিয়ান ফুটবল মৌসুমে নিজের ক্লাব লিভারপুলের হয়ে রীতিমত চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করছেন সালাহ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার নামের পাশে লেখা লিখেছেন ৪৪টি গোল। তার হাত ধরেই ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। লিভারপুলের হয়ে আরো অনেক কিছু করে দেখানোর আছে এই মিসরীয় তারকার।

সালাহাতে স্বপ্ন দেখছে মিশর।
এছাড়াও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সালাহ জিতে নিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। এখন পর্যন্ত ৩২ গোল করে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সেরা গোলদাতা হবার দৌড়ে আছেন সবার আগে। এমনকি তিনি ইউরোপের সেরা গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন শু’ জয়ের দৌড়েও বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন।

শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও সালাহর পারফর্মেন্স সেরাদের কাতারে। রিয়েল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ১৫ গোলের পর ১০ গোল করা সালাহ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দ্বিতীয় সেরা গোলদাতা। এই মিশরীয় তারকার অনন্য পারফর্মেন্সে লিভারপুল পৌঁছে গেছে ইউরোপের সেরা ক্লাব ফুটবল আসরের ফাইনালে। শুধু তাই নয়, এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আফ্রিকা অঞ্চলের সেরা গোলদাতা ছিলেন সালাহ। এখন অবধি ৫৭ ম্যাচে ৩৩ গোল করে দেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা।

অন্যান্য তারকা

মিশর টিমে সালাহ ছাড়াও হামিদ, রামাদান শোভির মতো বেশ কয়েকজন তারকা খেলেয়াড় রয়েছেন।

মিশরের সম্ভাবনা

রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে মিশরের সঙ্গী স্বাগতিক রাশিয়া-সৌদি আরব ও উরুগুয়ে। গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে নক আউট পর্বে ওঠার ক্ষেত্রে স্বাগতিক হিসেবে সুবিধা ভোগ করবে রাশিয়া। অন্যদিকে দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়েও একেবারে ফেলনা নয়। সুয়ারেজ-এডিসন কাভানি ও ক্রিস্টিয়ান রদ্রিগেজের হাত ধরে চমক দেখাতে পারে দলটি। এককথায় অনেকটাই ব্যালেন্সড দল নিয়ে নামার চেষ্টা করবে দলটি।

রাশিয়া বিশ্বকাপে এমন উল্লাস দেখা যাবে তো?
তবে এক্ষেত্রে সালাহ-তারেক হামিদদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে মিশরের। কারণ হিসেব মতে দুই দলই যাবে পরের রাউন্ডে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিং- ৪৬

গ্রুপ-এ

গ্রুপে সঙ্গী যারা-স্বাগতিক রাশিয়া, সৌদি আরব, উরুগুয়ে।

প্রথম ম্যাচ-১৫ জুন। অর্থাৎ উদ্বোধনের পরের দিনই মাঠে নামবে দলটি।

প্রতিপক্ষ- উরুগুয়ে।

মিশরের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ স্কোয়াড

গোলরক্ষক – মোহাম্মদ আওয়াদ, এশাম এল হাদারি , মোহাম্মদ এল শেনাউই

রক্ষণভাগ- মোহাম্মদ আব্দেলশাফি, আহমেদ এল মোহামাদি, আহমেদ ফাতিহ, ওমর জাবের, আলি গাবর, আহমেদ হেজাজি, সাদ সামির।

মিডফিল্ডার – হোশাম আশুর, হুসেইন এল সাহাত, মোহাম্মদ এলনেনি, তারেক হামিদ, মোহাম্মদ মাগদি, আবদুল্লাহ সাইদ, মাহামুদ হাসান ত্রেজেগে।

ফরোয়ার্ড- কাহরাবা কুকে, মারওয়ান মোহসিন, মোহাম্মদ সালাহ, রামাদান শোভি, মোমেন জাকারিয়া ।

সেহরি-ইফতারে যা খাবেন

diabetes-ramadan-rtvonline-food list

বছর ঘুরে আবারও মুমিনের দুয়ারে হাজির মাহে রমজানুল মোবারক। বুধবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে রোজা। পবিত্র রমজান সামনে রেখে মানুষ তার সাধ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করে থাকেন। মানুষ তার স্বাদ ও সাধ্য অনুযায়ী এই সময়টা পার করার চেষ্টা করে থাকেন।

রমজান মাসে খাবারের ব্যাপারে সবাই একটু সতর্ক থাকেন। রোজায় অন্য সময়ের চেয়ে সবাই একটু ভালো খেতে চান। তবে খাবার কতটা মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর- সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। রমজান মাসে আগে থেকে বাজেট করে নিতে হবে কী খাবেন- কেমন খাবার আপনার পছন্দ। এসব বিষয়ে আপনাকে আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে।

ইফতারে বাজেট : পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারির মেন্যু নির্বাচন ভারি না করে হালকা ভালো। খেজুর, ফল, মুড়ি, লেবুর শরবত অথবা ফলের জুস মেন্যুতে থাকা ভালো। চাইলে মেন্যুতে দই-চিড়া রাখতে পারেন। তাছাড়া দই ও কলাও খেতে পারেন।

ইফতারে যতটা সম্ভব তেল জাতীয় খাবার বর্জন করা ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া অতিরিক্ত চা বা কফি এবং কোমল পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তা শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। তেহারি, বিরিয়ানি, হালিম না খাওয়াই ভালো। এগুলো পেট নরম করে। ফলে নানা ধরনের পেটের অসুখ দেখা যায়।

সেহরিতে খাবার : সেহরির খাবারে ভাত, ডাল, মাছ, ভাজি, মুরগির মাংস ও সবজি থাকতে পারে। পাশাপাশি প্রোটিন ও সামান্য ফ্যাট খেতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো। এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা দূর করে। খরচ কমাতে সেহরিতে ডিম রাখতে পারেন। তাছাড়া সেহরির খাবারের তালিকায় যে কোনো সবজি থাকা ভালো। ফুলকপি, পটোল, করলা, আলু, বরবটি, টমেটো, বেগুন, চিচিঙ্গা-এর কয়েকটি একসঙ্গে করে নিরামিষ অথবা যে কোনো একটা রান্না করতে পারেন।

দিশা পাটানির সঙ্গে রোমান্সে মাতবেন সালমান

শিগগিরই ‘মহাভারত’-এর কাজ শুরু করবেন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট’ আমির খান। ‘পৌরাণিক গল্প অবলম্বনে নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হতে যাচ্ছে এ ছবিটি। এটি তার ড্রিম প্রজেক্ট এবং শুধু প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীরাই এতে অভিনয় করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিনেমাটিতে দেখা যাবে সালমান খানকেও! বলিউডে গুঞ্জন, আমিরের এই সিনেমায় অভিনয় করবেন সালমান খান। কৃষ্ণ চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। সিনেমাটিতে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও সুনীল গ্রোভারকেও।

নতুন খবর হচ্ছে, এ ছবিতে যুক্ত হলেন উঠতি নায়িকা দিশা পাটানিও। এমএস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি ও বাঘি-টু সিনেমায় অভিনয় করে এরই মধ্যে দর্শকদের নজর কেড়েছেন এ অভিনেত্রী। এ ছবিতে দিশাকে ষাটের দশকের সার্কাস আর্টিস্ট হিসেবে দেখা যাবে।

জানা যায়, সালমানের যুবক বয়সের প্রেমিকার চরিত্রে তাকে দেখা যাবে। অর্থাৎ ২৫ বছর বয়সী নায়িকার সঙ্গেই রোমান্স করতে দেখা যাবে ৫২ বছর বয়সী সালমানকে।

দিশা পাটানিকে নিয়ে পরিচালক আলী আব্বাস জাফর বলেন, ‘ষাটের দশকের সার্কাসের প্রেক্ষাপটে সালমান ও দিশার জুটি খুবই আকর্ষণীয় হবে। দিশা একজন উঠতি তারকা। আমরা এমন একজনকে চাইছিলাম যে একই সাথে দেখতে শুকনো, সুন্দর কিন্তু শারীরিকভাবে একজন খেলোয়াড়ের মতো। দিশা এই চরিত্রের জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত।’

এদিকে ভারত সিনেমার জন্য নিজের প্রস্তুতি শুরু করেছেন দিশা। সিনেমার প্রয়োজনে সব ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ভারত সিনেমার অংশ হতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। সালমান স্যারের সঙ্গে অভিনয়ের ‍সুযোগ পেয়ে মনে হচ্ছে স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছ

হার্টথ্রব জলির সাথে রোমান্স করবেন নিরব

‘এই সিনেমাটির গল্প দারুণ। ছবিতে আমার চরিত্র পুলিশ অফিসারের। চরিত্রের জন্য নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছি। আর জলির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমাদের কেমিস্ট্রি ভালো লাগবে দর্শকদের। কথাগুলো বলছিলেন ‘অফিসার রিটার্নস’ ছবির নায়ক নিরব।

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এ সিনেমার শুটিং। বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত এই ছবিতে নিরবের বিপরীতে থাকছেন জলি। গতকাল সন্ধ্যায় এফডিসির জহির রায়হান ভি আই পি প্রজেকশন হলে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়।

মহরতে এ ছবিটির জন্য শুভকামনা জানান অতিথিরা। তরুণ নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশি একশন নির্ভর গল্পে নির্মিত হবে ‘অফিসার রিটার্নস’। আশা করছি দর্শক উপভোগ করবেন এমন একটি সিনেমা হবে এটি।’

জলি বলেন, ‘এই সিনেমায় কাজ করতে মুখিয়ে আছি। সুন্দর গল্প, তরুণ নির্মাতা এবং নিরবের সঙ্গে প্রথম ছবির অভিজ্ঞতা সাফল্যের হবে এই প্রত্যাশা করি।’

মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, ছবিটির প্রযোজক আব্দুল বাছেত ও এর কলাকুশলীরা।

জাতিসংঘ ভেঙে পড়েছে : এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ ও সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর রেডিও তেহরানের

গত সোমবার সব আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে মার্কিন সরকার তেল আবিব থেকে দূতাবাস বায়তুল মুকাদ্দাসে স্থানান্তর করেছে। এর প্রতিবাদে সেদিন গাজার মানুষ ব্যাপক বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ ও অন্তত তিন হাজার ব্যক্তি আহত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এরদোগান বলেন, জাতিসংঘ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। ভালো বন্ধুত্ব থাকার পরও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য কোথাও এমন হত্যাযজ্ঞ ঘটলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনেক বেশি সক্রিয় হতো।

ওআইসি’র সভাপতি হিসেবে এরদোগান আগামীকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে ওই সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

রমজানে নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করবেন ৪০ ম্যাজিস্ট্রেট

রমজানে জনসাধারণ যেন ন্যায্যমূল্যে নির্ভেজাল পণ্য ও ইফতারসামগ্রী কিনতে পারেন সেজন্য মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। মাসজুড়ে চলবে এ অভিযান। কোথাও পুলিশি পোশাকে, কোথাও সাদা পোশাকে চলবে এ নজরদারি।

ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে এবার একসঙ্গে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, র‌্যাব ও পুলিশ। ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন রাজধানীসহ সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজানে প্রতিদিনই অভিযান চালাবে র‌্যাব। মূলত অভিযানগুলো হবে ইফতার ও খাবারকেন্দ্রিক। অভিযানের সময় সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কেউ যাতে ইফতার সামগ্রীতে কেমিকেল কিংবা রঙ ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পাশাপাশি যৌক্তিক মূল্য না নিয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। এছাড়া হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোও নজরদারিতে থাকবে।’

প্রতিবারের মতো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) সঙ্গে নিয়ে এবারও অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ইফতার তৈরির পরিবেশ, খাবারের পরিমাণ-দাম, ওজনে কারচুপিসহ নানা বিষয়ে নজরদারি করবেন তারা।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রমজানজুড়ে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, ধানমন্ডিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে এমন সব অভিজাত এলাকায় অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন দুটি করে অভিযান চলবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা যাবে না, খাদ্যে ভেজাল দেয়া যাবে না। এজন্য রমজানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সামগ্রী তৈরির বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হবে। এছাড়া ভেজালপণ্য বিক্রি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ওজনে কারচুপি, অতিরিক্ত মূল্য আদায়সহ ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলেই আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে ছোলা, ডাল, তেল, চিনি ও খেঁজুরের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মিল ও আড়তে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এটি চলবে।

এদিকে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর বাইরে কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালাবে।

বিএসটিআই জানায়, রমজানে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর মুড়ি, খেজুর, কলা, সফট ড্রিংক পাউডার, ফ্রুট জুস, ফ্রুট ড্রিংকস, ভোজ্য তেল, ঘি, নুডলস, লাচ্ছা সেমাই, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট ইত্যাদি ধরনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন। বাজারে এগুলোর মান যাচাই করা হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানে ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ ঘোষণা’ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত সোমবার রমজানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও ইফতারে খাদ্য ভেজাল নিয়ে জরুরি বৈঠক করে ডিএমপি। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ জানায়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র মাহে রমজান ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে এবং খাবারে যে কোনো ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করবে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে রমজানে জনভোগান্তি কমাতে ইতোমধ্যে বাজার মনিটরিং শুরু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। সংগঠনের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের উপ-সচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। রমজানে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’

পবিত্র রমজানে জনসাধারণ যাতে নিরাপদে ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে জন্য ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং, শপিং মলের সামনে বা আশপাশে যানবাহন পার্কিং বন্ধ রাখা, ফুটপাত হকারমুক্ত রাখা, ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং না করা এবং মোটরসাইকেল চলতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।

এছাড়া ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সেবাদানকারী সংস্থাগুলোকে নতুন করে রাস্তা না খোঁড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কমিশনার। গত সোমবার ডিএমপি সদর দফতরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি ‘মিথ্যেবাদী দল’ : জয়

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে খালেককে অভিনন্দন জানান তিনি। একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিয়ে দলটিকে ‘মিথ্যেবাদী দল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই স্ট্যাটাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাবে বলে বিএনপি যে মন্তব্য করেছিল তারও জবাব দিয়েছেন জয়।

‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনে গতকালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র তালুকদার খালেককে অভিনন্দন।

বিএনপি পুরোদস্তুর একটি মিথ্যেবাদী দল। তারা প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করে আর ভাবে মানুষ এতটাই বোকা যে তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করবে।

তারা এখন খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে, যদিও তাদের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় প্রায় অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছেন। মোট ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র তিনটি অর্থাৎ ১ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে এবং ওই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রেখেছিল। বিএনপি কর্মীরাই বরং কেন্দ্রগুলো ভাঙচুর করেছে, আবার এখন তারাই এটা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।

আসলে, বিএনপি-ই এতদিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। সকল নির্বাচনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হতো তাহলে ভোট জালিয়াতি অসম্ভব হয়ে পড়তো। তারপরেও তারা এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়েও তারা ব্যাপক মিথ্যাচার করছে। প্রথমে তারা বোঝানোর চেষ্টা করলো। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের দেশের তথ্য বিদেশিদের কাছে পাচার হয়ে যাবে। এই ধারণা একমাত্র অশিক্ষিত, মূর্খ লোকদেরই হতে পারে। এখন আমরা অন্য দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করছি। এই স্যাটেলাইটগুলো বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এখন আমাদের নিজেদের স্যাটেলাইট থাকার কারণে বরং আমাদের তথ্য আরও নিরাপদ থাকবে।

দ্বিতীয়ত, তারা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মালিকানা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ কমিউনিকেশনস স্যাটেলাইট কোম্পানির মালিকানাধীন, যা টেলিটক, বিটিসিএল এর মতো শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটার মালিকানা অন্য কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কথাটা আসলে টেলিটক বা বিমান বাংলাদেশকে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেওয়ার মতোই। আইনগতভাবে যা অসম্ভব। আবারও, শুধুই মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষেরাই এই ধরনের কথা বলতে বা বিশ্বাস করতে পারে।

বঙ্গবন্ধু-১ একটি বাণিজ্যিক টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট। এটা অতিরিক্ত ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যাতে আমরা ট্রান্সপন্ডার বিক্রি করতে পারি এবং বাংলাদেশ সরকার এর থেকে আয় করতে পারে। যে কোনো প্রতিষ্ঠান এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার কিনতে পারবে। এটা অনেকটা বিটিসিএল বা টেলিটক এর কাছ থেকে সংযোগ ক্রয় করার মতো।

অবশ্য, যারা এতিমের টাকা চুরি করে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি। খালেদা জিয়ার বিচার হয়েছে, তিনি এখন জেল খাটছেন। তার জায়গায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন মনোনীত করেছে আরেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে। তাদের কোনো লজ্জা বা সততা নেই।

তারা শুধুই একদল বাটপার।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পান।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপণ্ন করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা শুরু করে নানামুখী ষড়যন্ত্র। বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন জীবন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের শহরে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। ঝড়-বৃষ্টি লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সারাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা।

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃহত্যার বদলা নেব’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হৃত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ফিরে আসার দিন থেকে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম জীবন শুরু হয়। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বারবার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন,পরিণত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মানন্নোয়ন করে এক সময়ের মঙ্গা কবলিত, দুর্ভিক্ষ জর্জরিত বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৩৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এ পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়। কিন্তু তিনি নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। বাঙালির ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে তৃতীয়বারের ন্যায় রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ মে দুপুর ২টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি। এছাড়া আরও আলোচনা করবেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও জাতীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিবৃতিতে দেশ ও জাতির কল্যাণে, গণতন্ত্রের উন্নয়নে ও আধুনিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় অসামান্য অবদান রাখার জন্যে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী (ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে) দোয়া, মিলাদ মাহফিল, বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ও দেশের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখোমুখি লড়াইয়ে ভাই-বোন

নানান জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা শেষে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় সম্পন্ন করেছেন সোনম কাপুর। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রেমিক আনন্দ আহুজাকে বিয়ে করেন বলিউডের এই হার্টথ্রুব নায়িকা। হাতে মেহেদীর রং এখনো শুকায়নি। চলে গেলেন কান চলচ্চিত্র উৎসব মাতাতে।

আসছে এ নায়িকার নতুন ছবি ‘বীরে ডি ওয়েডিং’। এর চেয়ে বড় খবর নিজের ভাই হর্ষবর্ধন কাপুরের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের সামনে সোনম। একই দিনে মুক্তি পাবে হর্ষবর্ধনের ভবেশ জোশি। গতকাল টুইটারে সিনেমাটির নতুন একটি পোস্টার প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছেন হর্ষবর্ধন। ফলে বক্স অফিসে মুখোমুখি লড়াইয়ের সামনে অনিল কাপুরের কন্যা ও পুত্র।

সোনম অভিনীত ‘বীরে ডি ওয়েডিং’-এ অভিনয় করছেন কারিনা কাপুর খান, স্বরা ভাস্কর, শিখা তালসানিয়া, সুমীত ব্যাস। এটি পরিচালনা করেছেন শশাংক ঘোষ। এরই মধ্যে সিনেমাটির ট্রেইলার ও গান প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১ জুন সিনেমাটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করেছেন নির্মাতারা।

এদিকে একই দিনে মুক্তি পেতে যাওয়া হর্ষবর্ধন অভিনীত ‘ভবেশ জোশি’ পরিচালনা করেছেন লুটেরা সিনেমাখ্যাত নির্মাতা বিক্রমাদিত্য মতওয়ানি। এতে হর্ষবর্ধনকে সুপারহিরো চরিত্রে দেখা যাবে।

সুস্থভাবে রোজা রাখতে ১০ পরামর্শ

রোজা প্রায় চলে এসেছে। রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর উপায়ে রোজা থাকতে কিছু পরামর্শ

১. রোজায় পানিশূন্যতা বেশি হয়। এ সমস্যা সমাধানে ইফতার ও সেহরিতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হবে। ইফতার থেকে সেহরির মাঝখানে বারবার পানি পান করতে হবে।

২. ইফতার ও সেহরিতে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে পানির পিপাসা বাড়ে। এ সময় ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। তাই আদর্শ, সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে দেশি ফল, ফলের শরবত ও শাকসবজি খান।

৩. হঠাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে ইফতার করবেন না। বেশি ঠান্ডা পানি রক্তনালি সংকোচন বাড়িয়ে হজমে সমস্যা করে। এ সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করুন।

৪. রোজায় খাদ্য তালিকায় ক্ষতিকর চর্বিজাতীয় খাবার রাখবেন না। চর্বিজাতীয় খাবার শরীরকে গরম করে। এতে শরীর থেকে পানি বের হয়ে গিয়ে পানিশূন্যতা তৈরি হয়।

৫. ইফতার ও সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাবার খান। এ ছাড়া রোজার মাসে নিয়মিত ডিম, দুধ, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এতে ক্ষুধা কম লাগবে। এ ছাড়া অনেকক্ষণ শক্তিও থাকবে।

৬. রোজায় চা, কফি, কোমল পানীয় পান করবেন না। এগুলো পানিশূন্যতা বাড়িয়ে তোলে।

৭. রোজার সময় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলো শরীরকে পানিশূন্য করে।

৮. সেহরিতে কম না খেয়ে নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর খাবার খান। কোনো সেহরি বাদ দেওয়া যাবে না। মাঝরাতে সেহরি না খেয়ে শেষ মুহূর্তে সেহরি খেতে হবে। এতে সারা দিন শরীরে শক্তি থাকবে।

৯. রোজায় নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন, গোসল করুন, পরিষ্কার কাপড় পরুন। সুতির সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরুন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। দিনের বেলা রোদের ভেতর প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। বাইরে বের হলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।

১০. রোজায় অস্বাস্থ্যকর খাবার পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। তাই গরম গরম খাবার খান। খাদ্য রান্না ও সংরক্ষণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন। এ ছাড়া রোজার দিনগুলোতে পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।