প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ হিসাব চাওয়ায় হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা উচ্ছেদের যড়যন্ত্র মণিরামপুরে

হিসাব চাওয়ায় হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা উচ্ছেদের যড়যন্ত্র মণিরামপুরে

মো:মনোয়ার হোসেন যশোর জেলা প্রতিনিধি॥  আদায়কৃত অর্থের হিসাব চাওয়া কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মণিরামপুরে হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায়। হিসেব না দিয়ে উল্টো মণিরামপুরের গরীবপুর-চাঁদপুর উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে মাদরাসায় জমিদাতার পরিবার।
জানা যায়, মাদরাসার নামে ১৭ শতক জমি নির্ধারণ করে ২০০০ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন ওই গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব ক্বারী মোমতাজ উদ্দিনসহ দুই গ্রামের লোকজন। বিভিন্ন ইটভাটা, দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ওই জমির ওপর প্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা ভবনও নির্মাণ করা হয়। গত ৬ বছর আগে ক্বারী মোনতাজের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মাদরাসাটি পরিচালনায় গ্রামবাসি দায়িত্ব দেন মরহুম মোমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও দুবাই প্রবাসী হাফেজ ইউসুপ হোসেনকে।
সোমবার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসা মাঠে সংবাদ সম্মেলনে দুই গ্রামের কয়েকশ’ জনতার উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন বয়োবৃদ্ধ ইউসুপ আলী। এসময় মাদরাসা রক্ষায় অনেকে উচ্চ স্বরে কাঁদতে থাকেন। যা দেখে উপস্থিত সাধারন জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মাদরাসার উন্নয়নে আজীবন সদস্য সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে আদায়কৃত অর্থসহ পূর্বের হিসাব চাওয়ায় টালবাহানা শুরু করেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন। এরপর থেকে শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্র। এসময় মাদরাসার ১৪ সদস্য’র পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেন ছাড়া বাকী সবাই উপস্থিত ছিলেন। মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আবুল কালাম মো:মনোয়ার হোসেন যশোর জেলা প্রতিনিধিকে জানান , এখন মরহুম মোমতাজের ছেলে মাওলানা ইসমাইল হোসেনের কাছে হিসাব চাওয়া হলে তিনি হিসাব না দিয়ে মাদ্রাসা উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছেন। এমনকি তাদের ফাঁসাতে নানা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০/৪০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় গ্রাম ছাড়াও অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় মাদরাসাটির ভবন যে জমির ওপর স্থাপন করা হয় ওই জমি খন্ড দলিল সম্মাদনের আগেই দাতা মোমতাজ আলীর মৃত্যু হয়। দাতা মোমতাজের মৃত্যুর পর মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পর তার ওয়ারেশগণ মাওলানা ইসমাইল ও হাফেজ ইউসুফ আলী ওই জমিতে মাদরাসা না রাখতে দেয়াসহ নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজী তবিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শাহীদুল ইসলাম, মাদরাসা সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, আলী হোসেন, হানেফ আলীসহ কয়েকশ’ গ্রামবাসী।