প্রচ্ছদ জাতীয় হিজরাদের দৌরাত্ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

হিজরাদের দৌরাত্ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, হিজড়ারা যাতে রাস্তাঘাটে জোর করে অর্থ আদায় বা কারো বাসা-বাড়িতে গিয়ে উৎপাত না করতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা এমপি নুর জাহান বেগম ও কাজী রোজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।  সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী জবাব দেন।

নুর জাহান বেগম জানতে চান, রাস্তায়, যানবাহনে হিজরা জোর করে মানুষের কাছে টাকা দাবি করে এবং মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে। তাদের এই দৌরাত্ম বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা? কাজী রোজি জানতে বলেন, হিজরা রাস্তায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা দাবি করে, বিশেষ করে কারো সন্তান জম্মালে তারা সেখানে হানা দেয় এবং চাঁদা চায়। কেউ দিতে না পারলে তারা নানা ধরনের হুমকি দেয়। একবার রাস্তায় আমি এক হিজরাদের টাকা দিতে না চাইলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। খারাপ ভাষায় কথাও বলে এবং বিশ্রি অঙ্গভঙ্গি করে।

জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাস্তায় হিজরারা টাকা দাবি করে এটা আমার জানা নেই। তবে হিজরাও মানুষ, তাদের সহযোগীতার জন্য আমাদের সবাইকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এ ধরণের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে বলবো যাতে তারা বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে দেখেন। আইন-শঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে বলবো- এ ধরণের ঘটনা থেকে হিজরাদের বিরত রাখার জন্য যাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজে যেসব অসহায় মানুষ আছে তাদের সাহয্যের জন্য, পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। হিজরাদের জন্যও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক সংসদকে দেখতে হবে তাদের এলাকায় কোনো হিজরা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকলে তাদেরকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা।

ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, হিজরাদের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পরিকল্পনা আছে। সে অনুয়ায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হলে আবার অনেকে চলে যায়। তারা যাতে চলে না যায়, সে জন্য কাউন্সিলিংয়ের ব্যবন্থা করা উচিত।

স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ব্যয় ৭৫৯ কোটি টাকা
সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদিন খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।  ৫‘শ টাকা হারে ভাতা দিতে এ টাকা ব্যয় হয়।  চলতি অর্থবছরে এই কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।