প্রচ্ছদ জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে কাঁদলেন শেখ তন্ময়

সংসদে দাড়িয়ে কাঁদলেন শেখ তন্ময়

আজ ৬ মার্চ বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নাম নিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ তন্ময়। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তাছাড়া সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শেখ তন্ময় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে ছিলেন। তিনি কোন মহাদার্শনিক ছিলেন না, মহাপণ্ডিতও ছিলেন না। কিন্তু মহাদার্শনিক ও পণ্ডিতরাও যা করতে পারেননি তিনি তা করেছিলেন। যার প্রমাণ ৭ মার্চের ভাষণ, যা ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

এ সময় তিনি ১৫ আগস্ট কালরাতে নিহতদের নাম নেয়ার সময় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন। তাদের নাম নিতেও পারছিলেন না শেখ তন্ময়। শেখ তন্ময় বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমাকে ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি আবেগে আক্রান্ত।’ এরপর আবেগ কাটিয়ে শেখ তন্ময় বলেন, ‘আমাদের এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক আর কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় বলে আসা হয়, অনেকে অনেক জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে থাকেন টক শোতে।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে যখন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে সেই সময় ১ কোটি লোক মাদকে জড়িত। মাদকে আসক্ত হয়ে আছে তারা।’ ‘যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদের কোন ভাবেই নরম ভাবে দেখলে হবে না। যারা সেবনকারী তারা তো আমাদেরই ভাই-বোন। আমাদের ইশতেহার অনুযায়ী মাদকসেবীদের সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে।’