ফ্রান্স শক্তিশালী দল। টানা দুই ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে তারা। ডেনমার্ক চার পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে শেষ ষোলোর পথে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে ম্যাচটি। কারণ এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে এড়ানো যাবে ডি-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়াকে।
সেদিক দিয়ে ম্যাচে এগিয়ে থাকবে ফ্রান্সই। উড়ছে ক্রোয়েশিয়াও। আর্জেন্টিনার মতো দলকে হেসেখেলে হারিয়েছে তারা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আইসল্যান্ডের লড়াই খুব একটা জমবে না। মডরিচের নেতৃত্বেই আক্রমণ বেশি হবে। উইং দিয়ে অ্যাটাক করে দ্রুত গোল তুলে নেবে ক্রোটরা। তা সামলাতে হিমশিম খাবে আইসল্যান্ড।
এদিকে আরও একটি হ্যারি কেন-ঝড় দেখলাম আমরা। পানামাকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন টটেনহ্যাম তারকা। বিশ্বকাপে এর আগে প্রথমার্ধে এক দলের পাঁচ গোল দর্শকরা দেখেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। আক্রমণে গেলেই গোল পেয়েছে ইংলিশরা।
হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করে সর্বাধিক গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে এখন হ্যারি কেন। এ যেন হারিকেন ঝড়। খেলা দেখে মনে হয়েছে, সেটপিস নিয়ে বেশি কাজ করেছে ইংল্যান্ড। তাদের ছয় গোলের চারটিই এসেছে সেটপিস থেকে। ইংলিশ অ্যাটাকাররা কৌশলী। তারা পেনাল্টি আদায় করতে জানেন।
সেনেগালের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে জাপান। আরও বেশি গোল দিলেও অবাক হতাম না। চমকে গেছি গোল হজম করে জাপানের শোধ করার উদ্দীপনা দেখে। হাল ছাড়েনি তারা। অভিজ্ঞ ফুটবলার হোন্ডা অসাধারণ খেলেছেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষা জাপানের।
ওই ম্যাচে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে এশিয়ার দেশ। অনেক বিশেষজ্ঞের মতামত ছিল, পোল্যান্ড জিতবে। তাদের চমকে দিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছেন রদ্রিগেজরা। দীর্ঘদিন পর কলম্বিয়ার ভালদারামাকে দেখলাম। গ্যালারিতে বসে উত্তরসূরিদের খেলা উপভোগ করেছেন। উৎসাহ দিয়েছেন।