প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ শীতের আমেজ শুরু ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইলের লেপ-তোষকের কারিগররা

শীতের আমেজ শুরু ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইলের লেপ-তোষকের কারিগররা

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■:আজ-(২৩,অক্টোবর)২৭৪: ইতোমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে নড়াইল শহরের রুপগঞ্জ তুলাপট্টিতে ভাই ভাই বেডিং হাউজের মালিক আব্দুর সালাম জানান, লেপ-তোষকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৬ শতাধিক মানুষ। প্রায় ১০ প্রকার তুলা দিয়ে এই লেপ-তোষক তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি তুলার দাম ২০- ২শ টাকা পর্যন্ত। চাহিদার ৯০ ভাগ তুলা ঢাকার বিভিন্ন তুলাপট্টি থেকে আসে। বাকি ১০ ভাগ তুলা জেলাতেই উৎপাদিত হয়। জেলার ছোট-বড় অন্তত ৬০টি হাট-বাজারে এই লেপ-তোষক তৈরি করা হয়। নড়াইলে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। একারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক কারিগররা। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষক তৈরিতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিযোগ করেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরাও দিনরাত কাজ করেন এসময়টাতে। ব্যবসায়ী আলমগীর শেখ, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, প্রতিটি লেপ তৈরিতে ৫-৬ কেজি তুলা ব্যবহার করা হয়। আকার ভেদে ৭শ-২ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একটি তোষক তৈরি করতে ৮-১৫ কেজি তুলা লাগে, বিক্রি হয় ৬শ থেকে ১৫শ টাকায়। একটি জাজিম তৈরিতে ৩০-৫০ কেজি তুলা ও নারিকেলের খোসা প্রয়োজন হয়। আকার ভেদে তা বিক্রি হয় ১৫শ থেকে ৪ হাজার টাকায়। কারিগর মোহাম্মদ জাহিদ ভূঁইয়া, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, শীতের সময় কাজের অনেক চাপ থাকে। গড়ে প্রতিদিন একজন কারিগর ৩-৪টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারে। ক্রেতারা জানান, গত-শীতের তুলনায় বিভিন্ন প্রকার তুলা ও কাপড়ের দাম অনেক বেড়েছে। প্রতিটা লেপ-তোষাকে আকার ভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। নড়াইল বেডিং হাউজ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফুল হক শামিম, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, তুলা-কাপড়ের দাম আর কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সহনীয় দামে মালামাল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।