প্রচ্ছদ সারাদেশ খুলনা বিভাগ নড়াইলে বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ বাড়ছে দামে হতাশ চাষিরা

নড়াইলে বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ বাড়ছে দামে হতাশ চাষিরা

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: ইতোমধ্যে নড়াইলের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সুপারি যাচ্ছে নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্তত ২০টি জেলায়। গত বছরের তুলনায় এ বছরে সুপারির দাম কম হওয়ায় চাষিদের মনে কোন আনন্দ নেই। তাদের অভিযোগ মূলধন খাটিয়ে সারা মৌসুমে কষ্ট করে সুপারির চাষ করলেও এবছর সুপারির দাম অনেক কম। এতে তাদের খরচও উঠবেনা। তাদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তাদের নায্য দাম থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করছেন। নড়াইলে বাণিজ্যিকভাবে সুপারির চাষ বাড়ছে। বর্তমানে বাগান থেকে সুপারি সংগ্রহ করে সেই সুপারি হাটে নিয়ে বিক্রয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর সুপারির ভাল ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে চাষিদের অভিযোগ। এ্যাড়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী নয়ন শেখ, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর সুপারির দাম কিছুটা কম। তবে কিছুদিন পর দাম একটু বাড়তে পারে বলে তার ধারনা। তিনি জানান, স্থানীয় ভাবে ২০০ পিস সুপারিতে এক কুড়ি হয়। বর্তমান বাজারে প্রতি কুড়ি সুপারি ১৭০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। চাষিরা জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সুপারি চাষে তুলনামূলক খরচ অনেক কম। চারা লাগানোর প্রথম ২-৩ বছর একটু কষ্ট করতে হয়। ৫-৬ বছর পর গাছে ফল আসে। একবার ফল আসলে একাধারে অন্তত ৪০ বছর ফল পাওয়া যায়। তবে এ বছর বাজারে সুপারির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ তারা।
লোহাগড়া উপজেলার এ্যড়েন্দা গ্রামের সুপারি চাষি মিলন শেখ, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, সুপারির ফলন মোটামুটি ভাল হয়েছে। তবে বাজারে সুপারির দাম অনেক কম। তার অভিযোগ বাজারের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকের করে সুপারির দাম কোমাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দিন দিন চাষিরা এই চাষ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক চিন্ময় রায়, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, এখানকার মাটি সুপারি চাষের জন্য খুব উপযোগী। এবছর ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে এ চাষ করা হয়েছে। এক হেক্টর জমিতে ভাল ফলন হলে ২.৬৮ মেঃ টঃ সুপারি উৎপাদন হয়। একটি গাছ থেকে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ বছর একভাবে ফল (সুপারি) পাওয়া যায়।আমরা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। দিনে দিনে এ চাষের পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।