প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ : স্পিকার

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ : স্পিকার

 স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায়।

প্যারিসে ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ আয়োজিত মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।

শনিবার জাতীয় সংসদের পরিচালক জনসংযোগ মো. তারেক মাহমুদ এ তথ্য জানান।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সীমান্ত খুলে দিয়ে মানবতার এ নব দিগন্তের উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্পিকার বলেন, আইপিইউ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এবং তাদের মানবাধিকার সংরক্ষণে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা গৃহীত হয়।

তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করায় বিশ্বের অন্যান্য পার্লামেন্টেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। এজন্য তিনি ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।

শিরীন শারমিন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি সম্মান রেখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সজাগ দৃষ্টি ও অকুণ্ঠ সমর্থন কামনা করেন।

সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, আইনবীদ, সমালোচক ও সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আলোচকরা রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান করায় বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ফ্রান্স-গাম্বিয়া মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ফ্রাংকোয়ে বায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তৃতা করেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অবনো, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, তুন খিন, রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, ন্যা সাঁ লুই, প্রফেসর সি আবরা ও প্রফেসর ইউসুফ বালসি।