প্রচ্ছদ খেলাধুলা রোনালদোর পেনাল্টি মিস, পর্তুগাল শেষ ষোলোয়

রোনালদোর পেনাল্টি মিস, পর্তুগাল শেষ ষোলোয়

প্রত্যাশিত জয়ের পথে ছিল পর্তুগাল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টি মিসের পরও ইরানের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। কিন্তু চিত্রনাট্যের শেষটা বাকি ছিল।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর ৪ মিনিট বাড়তি যোগ করেন রেফারি। তাতেই অঘটন হলো!  ডি বক্সের ভেতরে উচুঁতে আসা বল বুক দিয়ে নিচে নামাতে গিয়ে সেডরিক সোয়ারেসের হাতের স্পর্শ পায়। তাতেই পেনাল্টির আবেদন ইরানের। রেফারি প্রথমে বল থ্রোয়িংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সিদ্ধান্ত দিলেন পেনাল্টির।

ইউরোর চ্যাম্পিয়নদের জিততে না দেওয়ার পণ করে নামা ইরানের শেষ সুযোগ ম্যাচে ফেরার। ৮০ মিলিয়ন ইরানিয়ানের স্বপ্ন করিম আনসারিফার্ডের কাঁধে। হতাশ করলেন না এ ফরোয়ার্ড। কোনাকুনি শট নিয়ে গোল রক্ষকের ধরা ছোঁয়ার বাইরে বল পাঠালেন। গোল, তাতেই উল্লাস। ৪৫ মিনিটে রিকার্ডো কোয়ারেসমারের দেওয়া গোলটির শোধ তো দেওয়া হল।

এর পাঁচ মিনিট পরই রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেন।

২০০৬ বিশ্বকাপে এই ইরানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল লুইস ফিগোর দল। ফিগোর উত্তরসূরী রোনালদোর দল ড্র করল ১-১ গোলে। ড্র করলেও কোনো অঘটন ঘটল না। স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র, মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ে এবং ইরানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ে পর্তুগাল নাম লিখাল শেষ ষোলোতে।

তবে প্রি-কোয়ার্টার রাউন্ডে পর্তুগাল রানার্সআপ হয়ে উঠল। চ্যাম্পিয়ন ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী দল স্পেন। আরেক ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে স্পেন। পয়েন্ট আর গোল পার্থক্য সমান হলেও স্পেনের চেয়ে গোল কম করায় রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে গেছে পর্তুগাল।

সারানস্ক স্টেডিয়ামে অঘটন না ঘটলেও বাজে দিন কাটিয়েছেন রোনালদো। প্রথমে পেনাল্টি মিস, পরবর্তীতে পর্তুগীজ অধিনায়ক হজম করেন হলুদ কার্ড। দুইয়ে মিলিয়ে রোনালদো ছিলেন নিষ্প্রভ। ইরানের বিপক্ষে ২০০৬ বিশ্বকাপে গোল করে বিশ্বমঞ্চে গোলের খাতা খুলেছিলেন রোনালদো। আজ প্রিয় পক্ষকেও পেয়েও গোল মিস! অবশ্য বিশ্বমঞ্চে বড় তারকাদের পেনাল্টি মিস নতুন নয়। রাশিয়ায় ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির পর রোনালদো নাম লিখালেন সেই তালিকায়।

রোনালদোকে আজ বাঁচিয়ে দিয়েছেন সতীর্থ রিকার্ডো কোয়ারেসমার। বারবার সুযোগ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হওয়ার পর বড় শটের পরিকল্পনা নেয় পর্তুগাল। প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে একাধিক আক্রমন চালায় তারা। ফল পায় ৪৫ তম মিনিটে।

বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার সময়ে আন্দ্রে সিলভাকে পাস দেন কোয়ারেসমার। ফিরতি পাসে আবার বল পান কোয়ারেসমার। দুবার বলে টোকা দিয়ে সামনে এগিয়ে ডানপায়ে শট। তার হাওয়ায় ভাসানো বল খুঁজে পায় ইরানের জাল।

এরপর রোনালদো এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি। কিন্তু করিম আনসারিফার্ডের স্পট কিকে ইরান শেষ দিকে মুগ্ধতা ছড়ায়। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বাছাই পর্ব পেরুলেও মূল পর্বের শুরুতেই বিদায় নিতে হল তাদের।