নিজের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচের বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুইয়ের নিচে ইকোনোমি নিয়ে বল করছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নিজের করা অষ্টম ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় উইকেট হিসেবে তুলে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে। এরপর উইকেটে জেঁকে বসা মারলন সামুয়েলসকে আউট করেন রুবেল হোসেন।
শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেঁধে রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু উইকেটে জমাট হয়ে থেকে পাল্টা প্রতিরোধও গড়ছিলেন শাই হোপ ও ড্যারেন ব্রাভো। দুইজনের জুটিতে টাইগার বোলারদের চোখ রাঙানি ভালোই সামাল দিচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই জুটি ভেঙে যায় ২১তম ওভারের চতুর্থ বলে।
মাশরাফির চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলটি ব্রাভো (১৯) তুলে মারেন। কিন্তু বল ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে আকাশে উঠে যায়। অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে এক্সট্রা কাভার অঞ্চলে বলটিকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন ইনজুরি থেকে ফেরা তামিম।
এর আগে অবশ্য দুইবার জীবন পেয়েছিলেন ব্রাভো। একবার দিয়েছিলেন আরিফুল হক। অন্যবার মুশফিকুর রহীম। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ড্যারেন ব্রাভোর সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন আরিফুল। পাঁচ ওভার পর রুবেল হোসেনের বলে জীবন পান ব্রাভো। রুবেলের বলে খোঁচা দিতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি। তবে সে বল তালুবন্দি করতে পারেননি মুশফিক।
আর এক ওভার বাদ দিয়ে নিজের ষষ্ঠ ওভারে তৃতীয় বলে হোপকে মিরাজের ক্যাচে পরিণত করে তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪৩ রান করেছেন হোপ। আর পাওয়েলকে (১৪) লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করে ক্যারিবীয়দের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান মাশরাফি। আর দলীয় ১২৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রুবেলের বলে লিটন দাসের ক্যাচের পরিণত হন স্যামুয়েলস (২৫)।
এর আগে উইকেটের খাতা খোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানরেট বেঁধে রাখায় সবচেয়ে বড় অবদান তার। তার হাত গলে রানই নিতে পারছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু রান নিয়ন্ত্রণে রাখলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে শিমরন হেটমেয়ারকে বোল্ড করে উইকেটের খাত খুললেন ২১ বছর বয়সী এই স্পিনার। নিজের অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে হেটমেয়ারকে (৬) সাজঘরের পথ দেখান মিরাজ।
এর আগে দলীয় ২৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। কিয়েরন পাওয়েলকে রুবেলের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে পাঠান সাকিব।
