প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

 

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনোয়ারা বেগমের নামে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৪ মে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেন।

লিখিত অভিযোগে মো. মোজাফফর হোসেন উল্লেখ করেছেন, মনোয়ারা বেগম ২০২০-২১ অর্থবছরে তার নিজের নামে ও তার ভাসুরের ছেলের স্ত্রী ডলি খাতুনের নামে ভিজিডি কার্ড করিয়ে চাল আত্নসাৎ করছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তার স্বামীর বড় বোন ফিরোজা বেগম যিনি ঢাকায় থাকেন এবং তার জা সাজেদা বেগম যিনি বিদেশে থাকেন, তাদের নামে ভিজিডি কার্ড করে তিনি চাল অাত্মসাৎ করেন। মনোয়ারা বেগম তাঁর সুস্থ মেয়ে দোলনা অাক্তারের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে টাকা আত্নসাৎ করছেন। তাঁর স্বামী পেশায় ইটের ভাটায় শ্রমিক সরবরাহকারী হলেও তাঁর স্বামীর নামে তিনি জাটকা অাহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল উত্তোলন করেছেন।

অভিযোগে অারও উল্লেখ করা হয়েছে, গফ্ফার সরদার নামের এক ব্যক্তির প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তিনি অাটকে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে গফ্ফার সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ছেলে জানান, “ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম তাদের বলেছেন কার্ডে ডাক্তার নাকি কার যেন একটা স্বাক্ষর বাকি অাছে। স্বাক্ষর হয়ে গেলে বই দিবে। অামাদের কাছে কোন টাকা পয়সা দাবি করেনি।” এছাড়াও, ঈদ উপলক্ষ্যে অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার ৪৫০ টাকার তালিকায় অাকমাল হোসেন, জিয়াসমিন ও অালম হোসেনের নাম দিয়ে তিনি নিজে টিপসহি দিয়ে টাকা উত্তোলন করে অাত্মসাত করেছেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অাকমাল হোসেন জানান তিনি টাকা পাননি। অালম ও জিয়াসমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কল ধরেননি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মো. মোজাফফর হোসেন এ সকল অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে অাইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অভিযুক্ত মনোয়ারা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের নামে ভিজিডি কার্ড করার কথা স্বীকার করে “ইউপি সদস্য হিসেবে নিজের নামে একটা ভিজিডি কার্ড করেছি। এতে যদি অামার শাস্তি হয় হোক” বলে তিনি কল কেটে দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল ধরেননি।

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. অাব্দুল কুদ্দুস বলেন, মনোয়ারা বেগমের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্তের রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করার জন্য। সে সরেজমিন তদন্ত করবে। পাশাপাশি অামিও অামার অফিসে ডেকে উভয়পক্ষের কথা শুনবো। দুইটার ফলাফল যা দাড়ায়, সেটাই অামরা উপরে লিখে পাঠাবো।”