প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ হরিরামপুরে রাস্তার বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

হরিরামপুরে রাস্তার বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সায়েম খান,হরিরামপুর(মানিকগঞ্জ): 

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেড়ী গ্রামে কান্তাবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগ হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) রাস্তার প্রায় ২০০ ফিট রাস্তাটি দীর্ঘ নয় বছর অাগে ভেঙে যায়। এরপর অার রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে দিনে দিনে রাস্তাটি অারও ভেঙে যাচ্ছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানায়, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হরিরামপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়াধারা, পাড়াগ্রাম, কাছিধারা, ঈশাখাঁবাদ, কোঠাধারা ও পাড়াগ্রামসহ সাত-অাটটি গ্রামের কয়েক হাজার লোকজনসহ রিক্সা-ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল করে।

এছাড়াও এই এলাকা থেকে ঝিটকা খাজা রহমত আলী ডিগ্রী কলেজ, ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয় ও কৌড়ি এম এ রউফ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। হরিরামপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঝিটকা বাজারে কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র রাস্তা এটি। মৌসুমের সময় এ রাস্তা দিয়ে পার্শবর্তী শিবালয় উপজেলা থেকেই প্রতিদিন ১০০-২০০ মন কাঁচা মরিচ ও ১০০ মনেরও বেশি পেঁয়াজ ঝিটকা বাজারে নিয়ে অাসে কৃষকেরা।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তাতে কোনো সুফল মেলেনি। বেড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও গালা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য অাব্দুল অাজিজ খান বলেন, রাস্তাটিতে অামরা এলাকাবাসী বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ফেলে কোনোরকম চলাচল করছি। এ রাস্তা দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনে লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এখন অন্তত রাস্তার একপাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে মাটি ভরাট এবং রাস্তায় এইচবিবি করা হলে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়।

পার্শ্ববর্তী শিবালয় উপজেলার ফেচুয়াধারা গ্রামের রজ্জব অালী ও পাড়াগ্রাম গ্রামের অাব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, অামরা এই রাস্তা দিয়ে ঝিটকা হাট-বাজারে কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করি। কৃষিপণ্য পরিবহনে অামাদের অনেক ভোগান্তি হতে হয়। গালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিক বিশ্বাস বলেন, ঐ রাস্তা মেরামতের যে পরিমাণ বাজেট দরকার তা পরিষদ থেকে করার সুযোগ নেই। তবে, এই রাস্তার অনেকটাই ভাঙা ছিলো, পরিষদ থেকে কয়েকবারে সংস্কার করা হয়েছে। অাশা করি বাকি কাজটুকুও হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই রাস্তার ব্যাপারে আমাকে কখনও জানানো হয়নি বা মেরামতের জন্য কোনো অাবেদনও করা হয়নি। আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি পরিদর্শন করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।