প্রচ্ছদ খেলাধুলা ভক্তের সেলফি আবদার মিটিয়েও বিতর্কে নেইমার!

ভক্তের সেলফি আবদার মিটিয়েও বিতর্কে নেইমার!

নেইমার মানেই বিতর্কের এক খনি। মাঠ এবং মাঠের বাইরে, যাই করুণ তা নিয়ে সমালোচনা হবেই। এবার যেমন এক অতিআবেগী ভক্তের সেলফি আবদার মিটিয়ে সমালোচনার ঘেরাটোপে বন্দী পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা। সমালোচনার চেয়ে অবশ্য প্রশংসিতই হচ্ছেন বেশি। প্রশংসাকারীদের মতে, এই সেলফি তোলার মাধ্যমে নেইমার তার কোমল হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু অন্য পক্ষ সমালোচনায় মুখরিত। তুলছে বিতর্কিত প্রশ্নও, এর মাধ্যমে নেইমার আসলে অবাধ্য দর্শকদের আইন অমান্য করতে অনুপ্রাণিত করেছেন!

ঘটনাটা গতকাল মঙ্গলবার পিএসজির অনুশীলনের সময়ংকার। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে এখন শীতকালীন বিরতি। ফাঁকা এই সময়ে পিএসজি অনুশীলন ক্যাম্প করেছে কাতারে। গতকাল সকালে দল বেঁধে অনুশীলন করছিলেন নেইমাররা। পিএসজির তারকা খেলোয়াড়দের অনুশীলন দেখতেই মাঠে হাজির হয়েছিল ৬ হাজার দর্শক।

তো অনুশীলনের সময় হুট করেই এক খেপাটে দর্শক নিরাপত্তাকর্মীদের ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েন মাঠে। উদ্দেশ্য প্রিয় তারকা নেইমারের সঙ্গে একটা সেলফি তুলবেন। উদ্দেশ্য সফল করতে তিনি গাপলঅ ষাড়ের মতো দৌড়ে যান নেইমারের দিকে। কিন্তু তার কাছাকাছি যেতেই তিন নিরাপত্তা কর্মী দৌড়ে গিয়ে ওই দর্শককে পাকড়াও করে ফেলে। নিজের দিকে দৌড়ে আসতে দেখে প্রথমে একটু ভয়ই পেয়েছিলেন নেইমার। ফলে ওই দর্শকদের হাত থেকে বাঁচতে জায়গা ছেড়ে সরে যান তিনি।

এরই মধ্যে নিরাপত্তাকর্মীরা ওই দর্শককে ধরে ফেলে এবং তিনজনে মিলে তাকে গ্যালারির দিকে নিয়ে যান। নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ধরা পড়া অবস্থায়ও খেপাটে দর্শকটি জোরজবরদস্তি করেন, সেলফি তোলার জন্য। তার সেই আকুতি দেখে যেন একটু মায়াই হয় নেইমারের। হয়তো ভাবেন, একটা সেলফিই তো তুলবে!

তাই ভয় দূর করে মুহূর্তেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ভক্তের আবদার মেটাবেন। তিনি এগিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীদের বাহুডোরে বাঁধা ওই ভক্তের দিকে। বেশ খানিকটা পথ হেঁটে তিনি ভক্তের আবদার মেটান। প্রিয় তারকার সঙ্গে সেলফি তুলে পরম আনন্দে গ্যালারির দিকে হাঁটতে থাকেন ওই ভক্ত। নেইমার ফিরে যান নিজের কাজে।

এই কাজে অনেকেই নেইমারের মহানুভবতাই দেখছেন। তাদের মতে, সেলফি তুলে নেইমার আসলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাকে যেমন ভক্তরা ভালোবাসে, তেমনি ভক্তদেরও তিনি ভালোবাসেন। কিন্তু অন্য পক্ষ এর মধ্যেও খুঁজে পাচ্ছে অন্য গন্ধ। তাদের কথা, নেইমার এভাবে ওই দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তুলে ভালো করেননি।

এটা মোটেই ভালো দৃষ্টান্ত নয়। এর মাধ্যমে নেইমার আসলে অন্য দর্শকদের উসকে দিয়েছেন। নিরাপত্তা-আইন অমান্য করে মাঠে ঢুকে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। এই ঘটনা দেখে ভবিষ্যতে হয়তো আরও অনেক দর্শকই এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করে মাঠে ঢুকে পড়তে চাইবে। নিন্দুকদের যুক্তিও কিন্তু যুক্তিসংগতই, অকাট্য।

তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু নেইমার যাবেন কোন পথে। এই বিতর্ক কানে যাওয়ার পর তিনি হয়তো নিজের সেই অনুযোগটাই করতে পারেন নতুন করে, ‘কিছু লোক আছে, যারা আমার সবকিছুতেই দোষ খুঁজে পান। আমি ভালো করলেও তাদের কাছে দোষ, খারাপ করলেও দোষ। আসলে তারা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করতে খুব ভালোবাসে।’