আক্রমণভাগে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফিলিপে কৌতিনিয়ো, নেইমার ও উইলিয়ানের ওপর ভরসা রেখেছেন তিতে। তাই আবারও বেঞ্চে থাকতে হচ্ছে ফিরমিনোকে। মিডফিল্ডে আগের মতোই আছেন কাসেমিরো ও পাউলিনিয়ো। মেক্সিকোর আক্রমণভাগকে থামাতে রক্ষণভাগে লুইস ছাড়াও আছেন মিরান্দা, সিলভা ও ফ্যাগনার।
এদিকে মেক্সিকো তাদের একাদশে রেখেছেন তাদের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার রাফা মারকেস। মিগুয়েল লাইউনের জায়গায় এসেছেন ৩৯ বছর বয়সী তারকা। গত বছরের কনফেডারেশন্স কাপের পর এবারই প্রথম একাদশে মারকেস। গ্রুপে দুটি হলুদ কার্ড দেখায় নিষিদ্ধ এক্তর মোরেনোর জায়গায় একাদশে হুগো আয়ালা।
কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে এগিয়ে ব্রাজিলই।। শেষ ষোলোর লড়াই নিয়ে ৪১ বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। যেখানে জয়ের পাল্লাটা ভারি ব্রাজিলের। ২৩টি ম্যাচ জিতেছে সেলেসাওরা। মেক্সিকোর জয় মাত্র ১০টিতে। বিশ্বকাপের চার লড়াইয়েও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি মেক্সিকো। সবশেষ ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষ হয়েছে গোলশূন্যতে।২০১৫ সালে এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল মেক্সিকোকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। তাই পরিসংখ্যানের বিচারে দলটা এগিয়ে। এরপরেও মেক্সিকো ছেড়ে দিতে চাচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই দলটিকে। মেক্সিকো কোচ কার্লোস ওসোরিও মনে করেন তেমনটা, ‘মেক্সিকো ফুটবলের এটাই সুবর্ণ সুযোগ, যারা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। নিজেদের সবটুকু দিয়েই খেলতে হবে।’ তাই মিডফিল্ডারদের ওপরই আস্থা তার, ‘আমাদের মিডফিল্ডাররা আক্রমণ আর সুযোগ তৈরি করতে পটু।’
উল্টো দিকে একের পর এক ফেভারিটরা বিদায় নিচ্ছে বিশ্বকাপ থেকে। নকআউট থেকে সবশেষ বিদায় নিয়েছে স্পেন। এমন অবস্থায় চাপ থাকারই কথা ব্রাজিল কোচ তিতের ওপর। যদিও তিতে বলেছেন, চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় ব্রাজিল। খেলতে চায় নির্ভার থেকেই, ‘নকআউটের চাপ আমরা গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই নিচ্ছি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে আমাদের কাছে এখন প্রতিটা ম্যাচই নকআউট। তাই নির্ভার হয়েই মাঠে নামবো।’
ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন বেকের, থিয়াগো সিলভা, মিরান্দা, কাসেমিরো, ফিলিপ লুইস, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, নেইমার, ফিলিপে কৌতিনিয়ো, পাউলিনিয়ো, উইলিয়ান ও ফ্যাগনার।
মেক্সিকো একাদশ: গিলের্মো ওচোয়া, হুগো আয়ালা, কার্লোস সালসেদো, রাফা মার্কেস, কার্লোস ভেলা, হাভিয়ের এর্নেন্দেস, হেক্তর এরেরা, আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো, এদসন আলভারেস, আরভিং লোসানো ও জেসুস গায়ার্দো।