প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ; রাজারহাটের জোবেদ আলী

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ; রাজারহাটের জোবেদ আলী

এ.এস.লিমন,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ- ইন্দোনেশিয়ায় সোদিমেদজো নামের ১৪৬ বছর সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিটি মারা যাওয়ার পর ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ’ মনে করা হচ্ছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বিএল বাড়ি গ্রামের বরকত শাহের ছেলে আলহাজ্ব আহসান উদ্দিন শাহ্কে। তিনি মারা যান ৪ জুন ২০১৮ সালে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ১২৬ বছর।আর পাবনা জেলার আহসান উদ্দিন শাহ্ ১২৬ বছরের সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিটি মারা যাওয়ার পর এখন ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ’ মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশের
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেকুরটারী, তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র মোঃ জোবেদ আলীকে।তার বর্তমান বয়স ১১৯ বছর। ফলে এখন ধারণা করা হচ্ছে মোঃ জোবেদ আলী পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। যদিও এর কোনো রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তার ১১৯ বয়স হলেও তিনি আরো বাচঁতে চান।
তিনি ১১৯বছরে পা দিলেও; চশমা ছাড়াই খালি চোখে স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা পড়তে পারেন এবং সব ধরনের কাজকর্ম করতে পারেন। যে বয়সে তার শেষ সম্বল লাঠি হাতে নিয়ে চলা ফেরা করার কথা, ঠিক সেই সময়ে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় এলাকার মানুষের কাছে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। বার্ধক্য তাকে হার মানাতে পারেনি। বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি তার কাজকর্মে। তিনি কোন কাজে মনো নিবেশ করলেই আশ-পাশের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় শুরু করে দেন।
১৯০০ সালের অক্টোবর মাসের কোনও একদিন তিনি জন্মগ্রহণ করেন।এই সাদা মনের মানুষটির জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আরো বেশী হবে।
২৪জানুয়ারী (শুক্রবার ) সকালে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ঠিক বয়স মনে নেই, তবে আইডি কাডে যা আছে তার চেয়ে বেশী হবে। আমি ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে নিজের দিঘীর মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেয়েছি।আর এই বয়সে আমার ছোট খাটো জ্ব্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যধি নেই।
তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩ জন পুএ ও ৪কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া আরো নাতি-নাতিনী, বহু বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে।তিনি আরো বলেন,কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য আল্লাহ্তাল্লার কাছে লাখো শুকরিয়া।
শরীর এখনো তাঁর ভাল আছে।তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন।তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ,পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন।এখনো তিনি রাতে ল্যাম্প অথবা ল্যান্টন জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন।
এ ছাড়া পত্রিকা পড়াই তার এখন প্রধান নেশা বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে রাজারহাট ১নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শমশের আলী(৫৫) বলেন,আমি ছোট বেলা থেকেই জোবেদ জ্যাঠোকে যেমন দেখি এখনো ওই অবস্থায় দেখে আসছি।তিনি আগের মতোই আছেন।তার কোন পরির্বতন আমি দেখি না।