প্রচ্ছদ খেলাধুলা বাংলাদেশকে পেলেই তাঁর ব্যাটে সেঞ্চুরি!

বাংলাদেশকে পেলেই তাঁর ব্যাটে সেঞ্চুরি!

পয়া? তা বলাই যায়। পছন্দের প্রতিপক্ষ? পরিসংখ্যান তাই বলে। বাংলাদেশ যেমন শাই হোপের কাছে। মুখোমুখি হলেই এই ক্যারিবীয়ানের ব্যাট চওড়া হয়ে ওঠে। হোপের কাছে বাংলাদেশ তাই পয়া দল। সাম্প্রতিককালে তো বাংলাদেশের বিপক্ষে নামলেই সেঞ্চুরি করছেন!

একটু পেছন থেকে শুরু করা যাক। গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন হোপ। যেন-তেন ইনিংস নয় অপরাজিত ১৪৬ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে আবার অপরাজিত এবং আবার সেঞ্চুরি! এবার ১০৮ রানের ইনিংস। দুটি ম্যাচেই ওপেন করছিলেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট করেছেন তিনে। চার ইনিংসে ছিল এক ফিফটি। মনে হতেই পারে ওপেন করতে না পেরেই বুঝি হোপ সেঞ্চুরি পাননি!

আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে আবারও ওপেনিংয়ে ফিরে হোপ টানা দুই ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭০ রানের পর কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে খেললেন ১০৯ রানের ইনিংস। অর্থাৎ ওপেনিংয়ে সবশেষ চার ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এ ক্যারিবীয়ান। এতে দারুণ এক রেকর্ডও হয়েছে। ওয়ানডে ইতিহাসে ওপেনিংয়ে নেমে টানা চার ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান হোপ। সঙ্গতকারণেই তাঁর এ রেকর্ডে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে থাকবে। এই চার সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটিই যে বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে হোপ এতে খুব বেশি আশা নাও দেখতে পারেন। দল না জিতলে এই সেঞ্চুরির মূল্য কি?

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে হোপের যে টানা তিন সেঞ্চুরি, এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে মাত্র দুই ম্যাচ। তাঁর ১৪৬ রানের ইনিংসটিতে শুধু জয়ের দেখা পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে ম্যাচে ১২ বলে ২২ রানের সমীকরণ থাকতে ৪৯তম ওভারে মোস্তাফিজ ১৬ রান না দিলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারত।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরের (১৩৭৭)। এ জন্য তাঁকে খেলতে ৫০ ম্যাচ। গড়ও ত্রিশের নিচে। ন্যূনতম ৭ ম্যাচ খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান গড়ে শুধু ম্যাথু হেইডেনই (১০২) হোপের (১০০.২০) ওপরে।