প্রচ্ছদ রাজনীতি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা : রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা : রিজভী

এমন সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে কবে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, খুলনার ভোটারদের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ তামাশা।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নতুন মডেলের চমৎকার খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে আগামী নির্বাচনও হবে খুলনা মডেলে। সুতরাং, প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রমাণ করলেন তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন হলে তা হবে বিরোধীদলগুলোর জন্য আত্মঘাতী।

এমপি-মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে না, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এটা যে কতটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার তার আরও একটি উদাহারণ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন।

সেখানে নির্বাচন প্রভাবিত করতে রোববার গাজীপুরের টঙ্গীতে এক স্থানীয় এমপির বাসায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এমপি-মন্ত্রীদের বৈঠক হয়।

ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধূরীসহ মন্ত্রী এমপিরা। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহলের এক গভীর নীলনকশার বীভৎস আভাস ফুটে উঠছে।

এসময় রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজকে নির্যাতনের জন্য আবারো রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তরুণ সমাজকে ভীত করার জন্যই এটি করা হয়েছে। এই দু’জন ছাড়াও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।