খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়েই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলে কোনো দল এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে, আর ইচ্ছে না হলে করবে না। এটা সেই রাজনৈতিক দলের বিষয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। তবে সংসদে যাদের অবস্থান নেই তাদের নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে আসারও কোনো সুযোগ নেই। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা আদালতের বিষয়। সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তই মেনে নেব।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের হুমকী দিয়ে কোনো লাভ নেই। আন্দোলনের নামে আবার যদি আগের মত জ্বালাও-পোড়াও কিংবা আগুন সন্ত্রাসের মত কোনো পথ বিএনপি বেছে নেয় তবে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। এ নিয়ে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। তবে নির্বাচন বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যই আমাদের বিজয়কে তরান্বিত করবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ সরকারের আমলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অতীতের কোনো সরকার এত উন্নয়নমূলক কাজ করে নাই। এ সরকারের আমলে দেশের উৎপাদন বেড়েছে। মানুষের আয় রোজগার বেড়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে। আর কমেছে মাতৃ-মৃত্যুর হার। যে কারণে বিশ্বের ১০জন নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন।
স্থানীয় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল হুদা মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি শফিউল আযম খান বারকুর, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সিদ্দিক, রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী, সাবেক চেয়ারম্যান মো.সলিম উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।