প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ তেঁতুলিয়ায় কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

তেঁতুলিয়ায় কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উপজেলায় আরব (১৯ মাস) নামে এক শিশুর মৃত্যুর পর দাফনের ৬দিন বাদে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার গনাগছ কবরস্থান থেকে আরব বাবু (১৯ মাস) নামের এক শিশুর লাশ উত্তোলন করেছে।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকালে গনাগছ গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুবল চাকমার উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে ওই শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়। আরব বাবু ওই গ্রামের শাহজাহান আলীর পুত্র। শাহজাহান আলীর দুই স্ত্রী ও তিন সন্তান। প্রথম স্ত্রী রূপালী আক্তারের দুই মেয়ে সাথী ও শান্তিয়া, দিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের একমাত্র সন্তান আরব বাবু। পরিবারের সদস্যদের দাবী আরব বাবুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় নি। তাকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে বড় স্ত্রী রূপালী জরিত থাকতে পারে।
শিশুটির পিতা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনার সময় আমি ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলাম, পথমধ্যে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার পুত্র সন্তান মৃত্যুবরণ করেছে। এই মৃত্যু আমার কাছে অ-স্বাভাবীক মনে হওয়ায় আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আমার বড় স্ত্রী রূপালী প্রায় আমার ছোট স্ত্রীর একমাত্র পুত্র সন্তান আরবকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করতো।
শিশুটির দাদা জহিররুল ইসলাম মুদি জানান, আমার বাড়ির চারপাশে সক্তব্যাড়া দিয়ে ঘেরা আছে, শিশুটি সহজে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব না। কিন্তু বাড়ির পিছনে প্রায় ৫০’গজ দূরে টিউবওয়েলের পানি নিকাসনের মাত্র দুই আড়ায়ফিট গর্তে এই শিশুটি মরতে পারে না। তিনি আরো জানান, শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রমাণ শিশুটিকে হত্যার পর বাড়ির পিছনে ব্যাড়া ভেঙ্গে গর্তে ফালানো হয়েছে। যে কেউ হত্যা কন্ডেরে সাথে জড়িত হউক না কেন আমি আরবের হত্যার সুস্ট বিচার দাবি করছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার (৭ আগষ্ট) সকালে বাড়ির টিউবওয়েলের পানির গর্তে শিশু আরব বাবু পড়ে মৃত্যুবরণ করে। পরিবারের লোকজন থানায় না জানিয়ে ওই দিন শিশুটির দাফন সম্পন্ন করে। পরে শিশুটির দাদা জহিররুল ইসলাম মুদি বুধবার (৮ আগষ্ট) থানায় গিয়ে একটি ইউডি মামলা করে। আইন গত জটিলতা সৃষ্টি যেন না হয় সে লক্ষে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে গনাগছ গ্রামে শিশুটির লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। রিপোর্র্ট আসার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।