প্রচ্ছদ জাতীয় ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প’

‘জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প’

এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দাকর মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাজধানী জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার ৩৬টি বেদখল ও বিলুপ্ত প্রায় খাল পুণরুদ্ধার ও খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত ২০১৮-২০১৯ সালের বাজেটে উত্থাপিত মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাটাই প্রস্তাবের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

৩৪ নম্বর দাবির ছাটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সেলিম উদ্দীন, নুরুল ইসলাম মিলন, ফকরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর ও স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। পরে কণ্ঠভোটে তাদের ছাটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ছাটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলসহ অনেক সদস্য ঢাকায় জলাবদ্ধতার কথা বলেছেন। হ্যা। এটা একটা সমস্যা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় এটা হচ্ছে। তবে আমরা ২ বছর যাবত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারে কাজ করে চলেছি। পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াশা যৌথভাবে এ কাজ করে চলেছে। এ কাজের জন্য পানি নিষ্কাশন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করি আগামী বছর থেকে এ জলাবদ্ধতা দূর হবে।

রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাস্তা এক বছরে ভেঙে যায় এ অভিযোগ ঠিক নয়। তবে হাইওয়ে ও গ্রামীণ রাস্তার স্টান্ডার্ড এক রকম নয়। এসব রাস্তার লোড নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু সমস্যা এই যে, ছোট ছোট রাস্তায় বেশি লোডের গাড়ি ঢুকে পড়ে রাস্তা নষ্ট করে ফেলে। তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে, সব রাস্তা হয়তো সমান মানের হয় না। অনেক সময় দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে কাজের মান নিম্ম মানের হয়ে যায়।

এসময় তিনি এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করে মন্ত্রণালয়ের নজরে আনার আহ্বান জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় এখনো স্বাবলম্বী নয়। দেশে আমাদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট রাস্তা ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৬২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৫২৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। বাকি রাস্তা এখনো কাচা বা ইট বসানো। তাই জনগণের চাহিদা উত্তোরোত্তর বাড়ছে। তাদের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছি।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ পর্যন্ত ১৯৪৪টি প্রকল্প চলমান। বিদেশি সাহায্যপুষ্ঠ অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উপযুক্ত অর্থের প্রয়োজন।

সম্পদের সুষম বণ্টন হয় না এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যে এলাকা বড় ও জনসংখ্যা বেমি সেখানে বেশি বরাদ্দ দিতে হয়। আবার কোনো কোনো এরিয়া ছোট সেখানে হয়তো কম বরাদ্দ করা হয়। তবে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওয়ায় রয়েছে। খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করেন মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। এটি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য কাজ চলছে।

দেশের মানুষের সুপেয় পানি দেবার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।