২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রস্তাবিত এ বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যেহেতু জনগণের সরকার নয়, সংসদ সদস্যরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, তাই তাদের কাছ থেকে জনকল্যাণমূখী বাজেট আশাও করা যায় না। ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশাল ঘাটতির ঋণনির্ভর ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এ বাজেট জনকল্যাণে কোনো কাজে আসবে না। প্রস্তাবিত বাজেট গরীবকে আরও গরীব করবে, ধনীদেরকে আরও ধনী করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাজেটে ব্যাংক লুটপাটকারীদের আরও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের কর্পোরেট কর কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যাংক মালিকরা যা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী তাই করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিএনপি না চাইলেও ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। সিইসি সরকারের সাথে এক অলিখিত বশ্যতায় আবদ্ধ। আগামী নির্বাচনের ফল ক্ষমতাসীনদের পক্ষে নিতে নানা কারসাজি ও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সিইসি।