নতুন শিক্ষাক্রমে এস এস সি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার এশিয়া : জাতিসংঘ
বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় এ অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। ফলস্বরূপ এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
ডব্লিউএমও বলছে, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে একদিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়গুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানি নিরাপত্তা ব্যাপক সংকটের মুখে পড়বে।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেছেন, ‘এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের বেশির ভাগই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’
ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, গত বছর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া ও পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের এই প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
মাসের এখনও বাকি সপ্তাহখানেক, এরই মধ্যে কয়েক দফায় হিট এলার্ট জারি হয়েছে দেশে। মাসের মাঝামাঝি এসে প্রতিদিন মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা।
টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, গত এক দশক থেকেই এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২। তবে এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের আগে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এপ্রিল মাস দেশের উষ্ণতম মাস। তবে কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হলে ওই দিন বা তার পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি সেভাবে হয়নি, ফলে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। সামনে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে চলমান তাপপ্রবাহ সহসাই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত আমরা দেখছি না।’
এদিকে জলবায়ুর এ বিরূপ পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর সবশেষ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ‘আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’
Mufti Ruhul Amin Mahmudi is the leader of Islamic culture propagation
Correspondent bdreport24.com :
Mufti Ruhul Amin Mahmudi is a prominent figure in the Islamic society of Bangladesh. This discussed Islamic thinker has played an important role in various matters including tafseer, writing, research on Islamic religion. Born in Jabra village of Ghior upazila of Manikganj district, Mufti Ruhul Amin Mahmudi enriched himself in Islamic education by obtaining honors and masters degree in Arabic literature. During his career, Mufti Ruhul Amin Mahmudi is serving as the President of the National Mufassir Parishad of Bangladesh and is serving as the President of Bangladesh Dai Ilallah Foundation.
He is widely admired as the author of a book due to his extraordinary intelligence, responsibility and strong will. The remarkable book written by him “Sunnatei Najat” is considered by the conscious citizens of the country as a helper for the young generation to practice Islam and acquire knowledge. This young Islamic researcher of extraordinary erudition has contributed significantly to the spread and promotion of Islamic education. Under the successful initiative and leadership of Mufti Ruhul Amin Mahmudi, a new dawn is seen in the spread of Islamic knowledge and culture in social and religious development of Bangladesh.
ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন রুহুল আমিন মাহমুদী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের ইসলামী সমাজে এক আলোচিত ব্যক্তিত্ব মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী। তাফসীর, লেখালেখি, ইসলামী ধর্ম নিয়ে গবেষণাসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন আলোচিত এই ইসলামী চিন্তাবিদ।
মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার জাবরা গ্রামে জন্ম নেয়া মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী আরবি সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে ইসলামী শিক্ষায় নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন।
কর্মজীবনে মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী বাংলাদেশের জাতীয় মুফাসসির পরিষদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশ দাঈী ইলাল্লাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও দায়িত্বশীলতা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলে একটি গ্রন্থের লেখক হিসাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
তার লেখা উল্লেখযোগ্য বই “সুন্নাতেই নাজাত” তরুণ প্রজন্মকে ইসলাম ধর্ম চর্চা ও জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করেন দেশের সচেতন নাগরিকেরা।
অসাধারণ পান্ডিত্যের অধিকারী এই তরুণ ইসলামী গবেষক ইসলামী শিক্ষার বিস্তার ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদীর সফল উদ্যোগ এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামাজিক এবং ধর্মীয় উন্নতির ক্ষেত্রে ইসলামী জ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারে এক নতুন সূর্যোদয় দেখা যাচ্ছে।
মানিকগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল এলজিইডির প্রকৌশলীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ পৌর শহরের বেউথা এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার আরোহী এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পৌর শহরের এলজিইডি জেলা কার্যালয়ের সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আব্দুল মজিদ শিবালয় উপজেলার কাতরাশিন এলাকার মৃত হাশেম আলীর ছেলে। তিনি ঘিওর উপজেলা পরিষদের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে তিনি বাজার করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তার শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। জেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, এ বিষয়ে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির আশায় ‘ইসতিসকার’ নামাজ আদায়
ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ৬ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ছয়টি প্রস্তাব রেখে বিশ্বকে রক্ষায় যুদ্ধে ব্যবহৃত অর্থ সেক্ষেত্রে ব্যয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি কথা না বলে পারছি না এই যুদ্ধে অস্ত্র এবং অর্থ ব্যয় না করে সেগুলো জলবায়ু পরবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় যদি ব্যয় করা হত তাহলে বিশ্ব রক্ষা পেত।’
সোমমার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলণ কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪’ এবং ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি)’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে সকলকে সাথে নিয়ে আরো নিবিড়ভাবে এই ধরিত্রীকে রক্ষায় আমরা কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য আমি আপনাদের বিবেচনার জন্য সংক্ষেপে কয়েকটি পয়েন্ট উত্থাপন করতে চাই।’
প্রথমত, প্রধান কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১ শ’ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে।
তৃতীয়ত, উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
চতুর্থত, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত।
পঞ্চমত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী-ভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সকল দেশকে ভাগ করে নিতে হবে এবং
সবশেষে প্রধান অর্থনীতিসমূহকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী সকল অংশীদারদের সাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে নিয়ে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশীপ-বিসিডিপি’ গঠন করা হয়েছে। এতে সকল পক্ষ ঐকমত্য হয়েছে। আমি আশা করি, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান, ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন ও বাংলাদেশের রুপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিডিপি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) ২০২২-২০৫০ প্রণয়ন করেছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে এটি এইএনএফসিসিসি-তে দাখিল করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় আমরা ১১টি জলবায়ু ঝুঁকিযুক্ত এলাকাতে ৮টি খাতে ১১৩টি অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম চিহ্নিত করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ২৭ বছরে ন্যাপ-এ গৃহীত কর্মপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। এজন্য সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে আমি ধনী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, উন্নত দেশসমূহ ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে অধিক ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর সভাপতি থাকাকালে অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত প্রতিবছর ১ শ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়ন করার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। ‘আমার প্রত্যাশা, উন্নত দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় সেজন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, কপ-২৬ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সালের মধ্যে অভিযোজন-অর্থায়ন ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণ করার কথা। এটি বাস্তবায়নে আমি ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, যে সকল দেশ ইতোমধ্যে ন্যাপ প্রণয়ন করেছে, তারা যেন ন্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউএনএফসিসিসিসহ অন্যান্য সকল উৎস হতে সহজে এবং দ্রুততার সাথে আর্থিক সহযোগিতা লাভ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সম্ভাব্য ক্ষতি হ্রাসে অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে ইউএনএফসিসি-এর লস এন্ড ড্যামেজ তহবিল হতে অর্থ প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে’ বলেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতিসঙ্ঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিয়েল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি)’ এর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনাও প্রদর্শিত হয়।
ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরাইলি গোয়েন্দাপ্রধানের পদত্যাগ
বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হ্যালিভা পদত্যাগ করেছেন। ওয়াইনেট নিউজ সাইট আজ সোমবার তার পদত্যাগের ঘোষণা প্রচার করেছে। তবে পরবর্তী প্রধান নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে বহাল থাকবেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার দায়দায়িত্ব তিনি স্বীকার করেছেন। এই ব্যর্থতার দায় নিয়েই তিনি সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা প্রতিরোধ করতে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে দেশটিতে এখন তদন্ত চলছে। জুনের প্রথম দিকে আইডিএফ প্রধান লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
ইসরাইলকে মার্কিন সামরিক সহায়তার নিন্দা করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, তারা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে শনিবার ইসরাইলকে বিলিয়ন ডলারের নতুন সামরিক সহায়তার অনুমোদনকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সহায়তার এই অর্থ ‘গাজা উপত্যকায় এবং পশ্চিম তীরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির হতাহতের সংখ্যায় রূপান্তরিত হবে।’ এ কথা উল্লেখ করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা বলেছেন, এটি আগ্রাসনের ‘বিপজ্জনক তীব্রতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ’।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং এএফপি