মাদক পাচার রোধে সীমান্ত আইন কঠোর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেশব্যাপী কিয়স্ক (এলইডি ডিসপ্লে ডিভাইস) এর মাধ্যমে মাদক বিরোধী প্রচার কার্যক্রমের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক পাচার রোধে সীমানা নিয়ন্ত্রণ আইন আরো কঠোর করা হচ্ছে, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ কর্মক্ষম যুবক। আমরা যদি তাদের ধরে রাখতে না পারি তাহলে আগামীতে দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। যুব সমাজ যদি সমাজের মূল স্রোত থেকে হারিয়ে যায়, তাহলে দেশ কোথায় গিয়ে দাড়াবে ভাবতে পারেন।
আমরা থেমে নেই, কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষক, ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকার প্রধানকেও আমরা বলেছি তাদের দেশ থেকে মাদক পাচার বন্ধ করার জন্য। তারা বলেছে, আমাদের ডিমান্ড কমিয়ে আনতে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার ক্ষেত্রে মাদকের ডিমান্ড শুণ্যে নিয়ে আসতে কাজ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচলিক বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ আমাদের দেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা মাদকের চাহিদা হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকের চাহিদা হ্রাস কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মাদক বিরোধী নিরোধ শিক্ষামূলক গতানুগতিক প্রচার থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আঙ্গিকে প্রচার এর সূচনা করতে যাচ্ছে। কিয়স্ক এর মাধ্যমে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা এরই একটি অংশ। এই এলইডি ডিসপ্লে ডিভাইস এর মাধ্যমে মাদক বিরোধী নাটক, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
তিনি বলেন, এখানে মাদকের যে কোনো আপডেট পাবেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল স্থানে এই ডিজিটাল যন্ত্র স্থাপন করে জনসাধারণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ডিজিটাল প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সাথে এটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।