আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন একাত্তরের বীর শহীদদের সন্তানেরাও।
সংগঠনের সভাপতি শাহীন রেজা নুর ও সহ-সভাপতি আসিফ মুনীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ’৭১ সালে দেশবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে অপরাধী দল আখ্যায়িত করে দেশের কোনো শীর্ষপদে স্বাধীনতা বিরোধীদের থাকা উচিত নয় বলে মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি রাজনৈতিক জোটের অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেখানে ওই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবর্গ ছাড়াও একাত্তরের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক আইন আদালতে প্রমাণিত এবং শাস্তিপ্রাপ্ত উত্তরসূরিরাও রয়েছেন। কোনোভাবেই যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
স্মারকলিপিকে বলা হয়, একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালনকারী যে কোনো ব্যক্তি যারা এই নির্বাচনে কোনো জোট বা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের কাউকেই আমরা রাষ্ট্রীয় কোনো পদে দেখতে চায় না।
যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নেতাকর্মী, সে সংগঠনের আদর্শে ও দর্শনে বিশ্বাসী ব্যক্তিরা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালনকারী যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশর আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার রহিত করা অবশ্য কর্তব্য বলে আমরা শহীদদের উত্তরসূরিরা মনে করি। এ বিষয়ে দৃড় পদক্ষেপ নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ রেজা নূর বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের দাবি জানিয়ে গেলাম। পরে আমরা কী পদক্ষেপ নেব, পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, সকল যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সদস্য ও আদর্শে বিশ্বাসীদের রাষ্ট্রীয় কোনো পদে দেখতে চাই না।’
এর আগে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও গৌরব ৭১ নামে কয়েকটি সংগঠন জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়ে ইসিতে আবেদন জানিয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।