সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখেই আফগানিস্তানের জাতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় দেশটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৫০টি আসনের জন্য নির্বাচনে লড়ছেন আড়াই হাজারের বেশি প্রার্থী, যাদের অনেকেই নারী। খবর বিবিসি ও এএফপির
এদিকে ভোটের মাত্র দুইদিন আগে সন্ত্রাসী হামলায় কান্দাহারের পুলিশপ্রধান নিহত হওয়ায় প্রদেশটিতে নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষে আফগানিস্তানজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ৫৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মী।
সাড়ে ৩ কোটি মানুষের দেশ আফগানিস্তানে এবার নিবন্ধিত ভোটার ১ কোটি ৪০ লাখ। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী তৎপরতা।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন পতনের পর দেশটিতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে। তালেবান জঙ্গিরা শুরু থেকেই এ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে আসছে। নির্বাচনী প্রচার চলার মাঝে দেশজুড়ে হামলায় এরই মধ্যে অন্তত ১০ প্রার্থী নিহত হয়েছেন। ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রগুলোতেও হামলা হয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিলে একটি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৬০ জন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা আড়াই হাজার প্রার্থীর বেশিরভাগই স্বতন্ত্র। ক্ষমতাসীন সরকারের শরিক পিপলস ইসলামিক ইউনিটি পার্টি অব আফগানিস্তান, ন্যাশনাল ইসলামিক মুভমেন্ট অব আফগানিস্তান এবং জমিয়াত-ই-ইসলামীর প্রার্থীরাও আছেন নির্বাচনী মাঠে। লড়ছেন রেকর্ড চারশ’ নারী প্রার্থী।