সুজন কুমার কর্মকার, কুষ্টিয়া ॥ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবার পর থেকে বিএনপি-জামাত বিচার বন্ধ করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। ২০১৫ সালে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য,দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস চালিয়েছিল। বহু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। কিন্ত তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপির প্রত্যেকটি দাবি জনবিচ্ছিন্ন, ব্যাক্তিগত ক্ষমআ যাওয়ার কৌশল। তাই বিএনপির দাবির প্রতি জনগনের সমর্থন না থাকায় তারা কোন আন্দোলনে গড়ে তুলতে পারে নাই।
১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের কর্মচারীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে “বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না” বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বাংলাদেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে গেছে। তারা এখন লবিষ্ট নিয়োগ করে বিদেশীদের কাছে ধন্যা ধরেছে। একমাত্র রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া হলেই কেউ লবিষ্ট নিয়োগ করে বিদেশীদের কাছে ধন্যা ধরতে পারে। এতে প্রমানিত হয়েছে এদেশের জনগনের প্রতি বিএনপির আস্থা নেই। ষড়যন্ত্রের প্রতিই তাদের আস্থা। তিনি বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তাদের এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবে না।
“খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে হানিফ বলেন, বাংলাদেশের সেরা চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করা হচ্ছে। এর বাইরে উনার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক কোন পর্যায়ে আছে যে উনি দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয় তারা চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই।
এ সময় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদের, কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।