প্রচ্ছদ জাতীয় সেনানিবাস বিল পাস

সেনানিবাস বিল পাস

 বিদ্যমান আইনে সংযোজন-বিয়োজন করে সেনানিবাস বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে ২১তম অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক।

বিলে সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা, সীমানা নির্ধারণ, এলাকার অন্তর্ভুক্তির ফলাফল, সেনানিবাস বোর্ড তহবিল ব্যবস্থাপনা, হস্তান্তরিত তহবিল ও সম্পত্তির প্রয়োগ, আইনের কার্যকারিতা ও সীমাবদ্ধতা, অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, মহাপরিচালক ও তার সাময়িক দায়িত্ব, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, অধিদপ্তরের কার্যাবলী, সামরিক ভূমির শ্রেণি, সেনানিবাস বোর্ড এবং নির্বাহী কর্মকর্তা, বোর্ডের আইনগত মর্যাদা, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা গণ্য হওয়া, নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও দায়িত্ব, সেনানিবাসের শ্রেণিবিন্যাস, সেনানিবাস বোর্ড গঠন, বোর্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়েছে।

বিলে বেসামরিক আবাসিক এলাকা, বাজার সংক্রান্ত কমিটি, প্রশাসনিক প্রতিবেদন, পরিদর্শন, নির্দেশ পালনে বাধ্য করার ক্ষমতা, সিদ্ধান্তের জন্য প্রেরিত বিষয়ে এরিয়া কমান্ডের ক্ষমতা, এ বিষয়ে সরকারের ক্ষমতা, বোর্ড বাতিলকরণ, করারোপ, আদায় ও পৌর দায়িত্বসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে উল্লিখিত ২৯২টি ধারার মধ্যে অনাবশ্যক ধারা বর্জন ও কিছু নতুন ধারা সংযোজন করে ১৬টি অধ্যায়ে ২১৮টি ধারা উত্থাপিত বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিলে বিদ্যমান কর দাবির নোটিশ ধারা-৯১ (২) এ ফি’র পরিমাণ ১ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া, বিদ্যমান আইনে ৪৩টি বিষয়ে আর্থিক জরিমানার পরিমাণ যুক্তিযুক্তভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন: তথ্য প্রদানের অবহেলা, দায় প্রকাশের বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা জরিমানার স্থলে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। দালান সমাপ্তকরণের ক্ষেত্রে সময়সীমা, জরিমানা তিনবারের অধিক বর্ধিত হলে ২০ হাজার টাকা এবং ৫ বারের অধিক বর্ধিত করার প্রতি ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন, বেগম রওশন আরা মান্নান ও নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।