প্রচ্ছদ বিনোদন সংসার করার কোন পরিকল্পনা নেই: বুবলি

সংসার করার কোন পরিকল্পনা নেই: বুবলি

এবারের ঈদেও মুক্তি পাচ্ছে বুবলীর ছবি। তাই বরাবরের মতো যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত তিনি। ঈদের ছবি এবং অন্যান্য সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে বুবলীর সঙ্গে কথা বলেছে একটি পত্রিকা-সেটি তুলে ধরা হলো

কেমন আছেন?

হুম… বেশ ভালো আছি। আজ (গতকাল) দুপুরে কক্সবাজার থেকে ফিরলাম। ‘ক্যাপ্টেন খান’র শুটিং ছিল সেখানে। গত মার্চে এফডিসিতে এ ছবির শুটিং শুরু হয়। এখন দ্বিতীয় লটের কাজ শেষ করলাম কক্সবাজারে। আর ছবিটির গানের শুটিং হবে ঈদের পর।

গানের শুটিং কোথায় হবে, দেশে না দেশের বাইরে?

লোকেশন এখনো ঠিক হয়নি, ঈদের পর সবকিছু ঠিক করা হবে।

কেউ কেউ বলছেন ‘সুপার হিরো’ ও ‘ক্যাপ্টেন খান’ একই ধাঁচের ছবি…

একদমই না। ‘সুপার হিরো’ অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার দেশপ্রেমনির্ভর ছবি। ছবিটির জন্য আমাকে ফাইট শিখতে হয়েছে। একেবারেই ভিন্নধারার ছবি সুপার হিরো। আর ‘ক্যাপ্টেন খান’ সুপার হিরোর পুরোই বিপরীত। গল্পটাও ভিন্ন, আমাকেও ভিন্নভাবে দেখা যাবে।

এবারের ঈদেও আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে, ঈদের ছবি মানেই বুবলী…

‘সুপার হিরো’ ঈদকে টার্গেট করেই বানানো হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা জানতাম বিষয়টা। সম্পাদনার কাজও চলছে। আমি এখনো আশাবাদী যে, সুপার হিরো ঈদে আসবে। তবে ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ ছবিটির সেন্সর হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুত ঈদে মুক্তির জন্য। এটি কমেডি-রোমান্টিক ঘরাণার। এই প্রথম কোনো কমেডি ঘরানার ছবি করলাম। এ জন্য আমাকে কষ্ট করতে হয়েছে। শিখতে হয়েছে আঞ্চলিক ভাষা। ঈদের এই ছবিতে অন্যরকম বুবলীকে দেখবেন দর্শকরা।

‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া’ হিসেবে শাকিব খান…

শাকিব খান নিঃসন্দেহে বড় মাপের অভিনেতা। এর আগে তিনি অন্যান্য অঞ্চলের ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ ছবিতেও শাকিব খান খুব ভালো করেছেন। অভিনেতা হিসেবে সবসময় তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন, এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ছবিতেও দর্শকরা তাকে আরও একবার পছন্দ করবে।

অন্যদিকে, আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী হলেও জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকায়। তাই চরিত্রটি একটু বেশিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সবার ধারণা, আমার বাড়ি তো নোয়াখালী, আমি পারব। আসলে ব্যাপারটা তা ছিল না। ভাষাটি রপ্ত করতে আমারও সময় লেগেছে। যখন সংলাপ বলছিলাম সেটের সবাই খুব হাসছিল ও মজা পাচ্ছিল।

বিশ্বকাপ চলাকালীন ছবি মুক্তি পাচ্ছে, কিছুটা শংকিত কি?

ভালো কথা বলেছেন। ঈদের আমেজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপও শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ উৎসবপাগল। সবাই খুব উদযাপন করতে পছন্দ করে। তবে আমার যেটা মনে হয়, দেশের প্রতি আমাদের আবেগ কাজ করে। দলের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে অনেকে ঝগড়া করছে, তর্ক করছে, ভুলবোঝাবুঝি হচ্ছে। বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। আমরা সাপোর্ট করতেই পারি। কিন্তু সবকিছু যদি একটু সুন্দরভাবে করা যায় তাহলে ভালো হয়। কারণ সবার আগে আমাদের দেশ-আমাদের মানুষ। অনেক অর্থ ও শ্রমে এ ছবিগুলো তৈরি হয়েছে, এটা আমাদের দেশের বিষয়। খেলার জন্য যদি আমাদের ছবিগুলো মিস করি, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমি আশাবাদী দর্শক খেলা দেখবেন, আবার হলে গিয়ে ছবিও উপভোগ করবেন।

ফুটবল বিশ্বকাপে আপনি কোন দলের সমর্থক?

টিনএজ পর্যন্ত ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থক ছিলাম। তাদের খেলা ভালো লাগে। কিন্তু অতটা পাগল ভক্ত না। বুঝতে শেখার পর মনে হয়েছে এখানে তো আমার দেশ অংশ নিচ্ছে না। তাই যে দল ভালো খেলে তাদের প্রতিই আমার সমর্থন থাকে। ভক্তদের মাঝেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সাপোর্টার আছে। আমি চাই না আমার দর্শকরা ভাগ হয়ে যাক, হা. হা.. হা…।

যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজের ইচ্ছা আছে কি?

কেন নয়, অবশ্যই। আমার মনে হয় শিল্পীদের সব ধরনের ছবিতে কাজ করা উচিত। যে ছবি আমার দেশকে সম্মান করে সেটা যৌথ প্রযোজনার হোক বা নিজস্ব কোনো প্রোডাকশনের তাতে কাজ করতে রাজি আছি।

শিগগিরই ঘর বাঁধার পরিকল্পনা আছে?

আপাতত নেই। এখন শুধু কাজ নিয়েই থাকছি। আর আমরা মানুষ, এক মিনিট পরে বেঁচে থাকব কী না তাই জানি না। যে কোনো সময় চলে যেতে পারি। সৃষ্টিকর্তা যখন নির্ধারণ করে রেখেছেন তখনই হবে। কখন হবে সেটা সময়ই বলে দেবে।–বাংলাদেশ প্রতিদিন