প্রচ্ছদ লাইফস্টাইল শুকনো কাশি মানেই কী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া?

শুকনো কাশি মানেই কী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া?

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শুকনো কাশিসহ গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ক্লান্তি এবং শরীরে ব্যথা করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। খুব কম মানুষেরই ডায়রিয়া, বমি এবং নাক দিয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো কয়েক দিনের মধ্যে দেখা যায় না। প্রাথমিকভাবে মনে হয় ফ্লু হয়েছে। কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারে যে তার শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে, ততক্ষণে সম্ভবত আরও কিছু মানুষকে তিনি সংক্রামিত করে ফেলেছেন।এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব জরুরি হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ জ্বর এবং শুকনো কাশি। তবে যদি আপনি সাধারণ ফ্লু এবং করোনা সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতে চান তখন বলতে হবে, প্রধান উপসর্গ শুধুই শুকনো কাশি।ঋতু পরিবর্তনের সময় যে সমস্যা দেখা দেয় সেই কাশি শুকনো হয় না। চিকিৎসকদের মতে, এই সংক্রমণে শুকনো কাশি দেখা দেয়।

শুকনো কাশি :

. শুষ্ক কাশি একটানা হতে থাকে।
. এই জাতীয় কাশি গলা, চুলকানি বা জ্বলন সৃষ্টি করতে পারে।
.  শ্বাসতন্ত্রের ফোলাভাব বা জ্বালা প্রায়শই শুষ্ক কাশির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
. ভেজা কাশির পরিবর্তে ফ্লু নিরাময়ের পরে শুকনো কাশি কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে।শুকনো কাশি ভালো হতে সময় নেয়। কখনও কখনও এটি একটি দীর্ঘ সময়ও লাগে।

ভেজা কাশি :

. ভেজা কাশিতে শ্লেষ্মা থাকে।
. নাক এবং গলা থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসতে পারে।
. মূলত শ্লেষ্মা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক উপাদান।
. অনেক ক্ষেত্রে ক্লান্তি, মাথা ব্যথার মতো লক্ষণগুলোতেও ভেজা কাশি দেখা যায়।

শুষ্ক কাশি মানেই করোনাভাইরাসের লক্ষণ নয়। তবে যদি আপনার শুকনো কাশির পাশাপাশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হয় বা আপনি সম্প্রতি যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন, বিদেশ সফর করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।সূত্র: এনডিটিভি