প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি পেয়েছে’

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি পেয়েছে’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি পেয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারকে দোষী প্রমাণিত করতে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে যথাযথভাবে সেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পাশাপাশি কূটনৈতিক ও অন্যান্য তৎপরতা আরো বাড়ানো।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং রোহিঙ্গা সংকট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ মত দেন।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মনজুর হাসান বলেন, ‘যদিও জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান হত্যাকাণ্ডকে জাতিনিধনের দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে, কিন্তু সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রধান শক্তিগুলো তেমন তৎপরতা দেখায়নি। এই সমস্যার সমাধানে আমাদেরকেই সব থেকে বেশি সক্রিয় হতে হবে এবং সঠিকভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য যাবতীয় শান্তিপূর্ণ পথগুলোতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

সেমিনারে রোম চুক্তির বিভিন্ন ধারায় মিয়ানমারকে দোষী প্রমাণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন বিচারপতি সাঈদ রিফাত আহমেদ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ কেট ভিগনেসওয়ারেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ৭০, ৮০ এবং ৯০ এর দশকে রোহিঙ্গারা এ দেশে আসতে বাধ্য হয়েছিল, কিন্তু তখন এসব কর্মকাণ্ডের তেমন কোনো তথ্য-উপাত্ত ছিল না। এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত সবার হাতে রয়েছে।

মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার দৃষ্টি মিয়ানমারের দিকে রাখতে হবে। এই সংকট বহুদিন ধরে চলছে। এখন গণমাধ্যমের ফোকাস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের পাশাপাশি ফলোআপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের গণমাধ্যম মিয়ানমারকে চাপে রাখতে পারে।

সমাপনি বক্তব্যে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘মিয়ানমারকে যতক্ষণ পর্যন্ত আইনি বাধ্যবাধকতায় আওতায় আনা না যায়, ততক্ষণ তারা বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও জাতিসংঘকে উদ্যোগী হয়ে মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত আইসিসির চাওয়া তিনটি বিষয়ে তথ্য প্রমাণ দেওয়া।’

সেমিনারে রোহিঙ্গা সংকটে সবার করণীয় নিয়ে ১১ দফা ঢাকা ঘোষণা দেওয়া হয়।