প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মাশরাফির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী

মাশরাফির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনা ভাইরাসের এই সঙ্কটময় সময়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা। যা নজর কেড়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভিডিও কলে মাশরাফির প্রশংসা করেছেন তিনি।

আজ (১২ই এপ্রিল) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পরিচালিত ভিডিও কনফারেন্সে নড়াইল থেকে অংশ নেওয়া মাশরাফির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তুমি ভাল কাজ করছো। মুক্তিও (নড়াইল-১ সাংসদ) ভাল কাজ করছে। দুজনে ভাল কাজটা চালিয়ে যাও। তাহলে নড়াইলের ভাল হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মাশরাফি বলেন, ‘আজকের এই আয়োজনে আমি সবচেয়ে নবীন। এখানে অনেক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন। আপনি এখানকার সংসদ সদস্য ছিলেন।

এই আসন আপনার। এই আসনের দিকে আপনি অবশ্যই মনোযোগ দেবেন। নড়াইল সদর হাসপাতালে আড়াইশ বেডের হাসপাতালে একটি আইসিইউ দিলে নড়াইলবাসী আরও উপকৃত হবেন। এছাড়া ১০ টাকার চাল আরও বেশি বরাদ্দ দিলে জনগণ উপকৃত হবেন।’

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এখানেই নয়, ভাগে ভাগে চাল বরাদ্দ করা হচ্ছে। রোজাকে সামনে রেখে আবারও চাল দেয়া হবে। আর এখানকার যারা সংসদ সদস্য আছেন এবং জনপ্রতিনিধি আছেন তারা মানুষের জন্য কাজ করছেন। আগামীতেও মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। মানুষের যেন কোনো কষ্ট না হয়, সে দিকটা খেয়াল রাখবেন-এটাই আমি কামনা করি।’

মাশরাফির উদ্যোগে গত ১০ই এপ্রিল নড়াইল সদর হাসপাতালের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা হয়। হাসপাতালে কেউ প্রবেশ করা বা বের হওয়ার সময় এই চেম্বারে নিজের বহিরাবরণ জীবাণুমুক্ত করতে পারবেন। শুধু নড়াইল সদর হাসপাতালেই নয়, জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা হবে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা পুলিশের দপ্তরেও। এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে মাশরাফির প্রতিষ্ঠিত নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।

এর আগে মাশরাফি নিজ উদ্যোগে ১২০০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। বিতরণ করেছেন ৫০০ পিপিই। রোগীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে চালু করেছেন ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যাতায়াতের সুবিধায় অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেছেন মাশরাফি। এছাড়াও ক্রিকেটারদের গড়া তহবিলে নিজ বেতন থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন তিনি।