প্রচ্ছদ রাজনীতি মানিকগঞ্জ জেলা রাজনীতির প্রিয়মুখ মুক্তা ভাই কেমন আছেন?

মানিকগঞ্জ জেলা রাজনীতির প্রিয়মুখ মুক্তা ভাই কেমন আছেন?

dav

এস সুপ্রিয় জামান, স্টাফ রিপোর্টার-

ইকবাল আহম্মেদ মুক্তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দল (বিএনপি)-র মানিকগঞ্জ জেলার একজন জনপ্রিয় নেতা, যিনি ১৯৭৮ সাল থেকে স্বক্রিয় ভাবে মাঠ পর্যায়ে জেলার রাজনীতিতে অন্যতম এক সুপরিচিত মুখ। সকলের সাথে বন্ধুত্ব তার।

একজন ভালো মানুষ হওয়ায় সবাই তাকে ভালবাসে। তিনি ছিলেন সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, এছাড়া ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ২ বার যুবদলের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। ১৯৭৮ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। ১৯৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি।  ১৯৭৮ থেকে রাজপথ কাঁপানো ব্যাক্তিটাকে  হঠাৎ ই মিস করছে সকলে। কি হয়েছে বা কোথায় সে..? ২০১১ সালে তার খাদ্যনালী তে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিক কাজ করতে পারলেও এরপর থেকে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় শয্যাশায়ী হয়ে পরেন।

তার সহধর্মিণী আয়শা আক্তার এই রিপোর্টারকে বলেন, ‘লিভারে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ায় আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি’। তাদের সমীকরণ অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায় ২০-৩০ লাখের বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। গড়ে দৈনিক তার চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৩০০০ টাকা খরচ হয়। যা জোগাড় করা তাদের পরিবারের জন্য এখন কষ্টসাধ্যের ব্যাপার। তিনি বলেন, জীবনের প্রায় অনেকটা সময়ই দলের জন্য ব্যায় করেছেন তার স্বামী। দলের সকলের সহযোগীতা তিনি কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, ‘তার স্বামীর এই দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছেন তার দলের সতীর্থরা। বর্তমান মানিকগঞ্জ জাতীয়তাবাদ দলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক থেকে শুরু করে সকল তৃনমূল পর্যায়ের নেতারা।তার এই দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দলের শীর্ষ নেতারা’। ইকবাল আহম্মেদ মুক্তা এর ছেলে সারদ বলেন, ‘বাবা হলো একটি ছায়ার মতো। বাবা অসুস্থ থাকায় আমাকে কিশোর বয়সেই বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয়।পরিবারের অনেকটা হাল ধরতে হয়েছে।বয়স অনুযায়ী যা অনেক চাপের’। তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাবার সতীর্থরা সবসময় পাশে থাকলে, ইনশাআল্লাহ তিনি আবার সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসবেন’।