প্রচ্ছদ সারাদেশ মানিকগঞ্জ  আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬০ বছরের এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ  আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬০ বছরের এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ :

মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন ৬০ বছরের এক অজ্ঞাত নারী। আজ (বুধবার) সকাল সোয়া সাতটার দিকে তিনি মারা যান।হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ৬ জুন এক ব্যক্তি ওই অজ্ঞাত নারীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাঁর শারীরীক অবস্থা পর‌্যবেক্ষণের পর কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। চিকিৎসক ও নার্সরা যথাযথভাবে তাঁর সেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরীরক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে সকালে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, গত ৬ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে মৃত্যর আগ পর্যন্ত কেউ তাঁকে দেখতে আসেননি। ভর্তির সময় তাঁর স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন লেখা হয়। তাঁর সাথে যোগাযোগ করার জন্য যে মোবাইল নাম্বার ছিলো সেই নাম্বারটি সুমন মোল্লা নামের এক ব্যক্তির। তিনি সিংগাইর উপজেলার বিন্যাডাঙ্গি বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই নারীকে স্থানীয় বিন্যাডাঙ্গি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ৩দিন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকেত দেখে পুলিশের সহায়তায় ৬ জুন তাঁকে প্রথমে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে গোলাইডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখান থেকে দিনশেষে রাত ২টার দিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অজ্ঞাত নারী হিসেবে তাঁকে দাফন করা হবে।

তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। গত শুক্রবার (১২ জুন) তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভারে অবস্থিত প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখনও সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভার প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। প্রতিদিনই শতাধিক নমুনা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, গত ৫ দিন ধরে কোন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ ১২ জুন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র বিকল হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।     

সর্বশেষ ১২ জুন প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ৪০৪ জন। এদের  মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১২ জন, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় রয়েছেন ৮১জন করে, ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ৫৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৩, শিবালয় উপজেলায় ২৭ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১১জন।