প্রচ্ছদ সারাদেশ মানিকগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণে চেক বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিলো জেলা প্রশাসন

মানিকগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণে চেক বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিলো জেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক পৌছে দিয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। আজ (রবিবার) সকালে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া-কামতা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাঁদের হাতে এই চেক তুলে দেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার। একঘন্টা সময়ের মধ্যে ১৭টি চেকের মাধ্যমে তিনি তিন কোটি ২৯ লাখ পচাত্তর হাজার ছয়শত পনের টাকা বিতরণ করেন। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো: মনজুর হোসেন এর সঞ্চালনায় চেক বিতরণপূর্বে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার বলেন, গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিস-কাম ব্যারাক ভবন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের জন্য ০২/২০২৮-২০১৯ নং এল এ কেসের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কামতা মৌজায় দুই একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

সরকারী বিধান অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণে মোট ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় সাত কোটি সত্তর লক্ষ ছিয়াশি হাজার চারশত আঠারো টাকা।

চেক বিতরণকালে তাঁর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো: মনজুর হোসেন, সাটুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা, হাইওয়ে পুলিশ সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, স্থানীয় ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আব্দুর রউফ। 

ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো: মনজুর হোসেন বলেন জেলা প্রশাসক জনাব এস এম ফেরদৌস  মহোদয়ের নির্দেশক্রমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাড়িতে গিয়ে চেক বিতরণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মোট ৪৪জন দাবীদারের মধ্যে আবেদন পাওয়া গেছে ৩৭টি। এদের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান থাকায় ১২টি আবেদনের অনূকূলে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, আটটি আবেদনে কাগজপত্রের রেকর্ডীয় মালিকানার ধারাবাহিক মিল নেই। একারণে ৩৭টি আবেদনের মধ্যে ২০টি ব্যতীত অন্য ১৭টি আবেদনের অনুকূলে তিন কোটি ২৯ লাখ পচাত্তর হাজার ছয়শত পনেরা টাকা বিতরণ করা হল্।ো ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রগুলি ঠিক হলে অন্যদেরকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।

ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে কয়েকজন বলেন, জমি অধিগ্রহণের সময় বিভিন্ন লোকের কাছে গিয়েছিলাম। যাতে জমি না নেয়।শুনেছিলাম টাকা পাইতে অনেক ঘুরতে হয়। আমাদের সেই ভুল ভেঙ্গেছে। বাজারে জমির যে দাম আছে তার চেয়ে অনেক বেশী পেয়েছি। ছারেরা বাড়িতে এসে টাকা দিবেন তা কখনও ভাবিনি।