প্রচ্ছদ সারাদেশ ঢাকা বিভাগ মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি, আহত ২

মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি, আহত ২

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছে দুই ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদ ও হৃদয়। তাদের দুজনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজুকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে একই ঘটনায় সজিব হোসেন নামে মানিকগঞ্জ সরকারী টেকনিক্যাল কলেজের আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকেও মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজে
ভর্তি করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুপুর ১২ টার দিকে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা ও সদর থানা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সিফাত কোরেশী সুমন গ্রুপের মধ্যে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি
অভিযোগ করেছেন তাপস ও সুমন। সিফাত কোরশী সুমনের অভিযোগ, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর
থেকে এখন পর্যন্ত তার গ্রুপের অন্তত্ব ১৫ জন কর্মীকে আহত করেছে তাপস গ্রুপ। দেবেন্দ্র কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপস গ্রুপের
বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী সজিবকে মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

অপর দিকে তাপস সাহা জানান,সুমন ছাত্রলীগের নামে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করছে। ছাত্রলীগের নামে সুমন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই প্রকৃতছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটায়। তিনি
বলেন,কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে।

এ বিষয়ে আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মী জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে আমারা ক্যাম্পাসে আসি। আচমকাই ৪০-৫০ জন লোক আমাদের ধাওয়া করতে করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌছাতে পৌছাতেই
আমাদের ধারলো অস্ত্র, গ্যাসপাইপ দিয়ে বেধরক আঘাত করতে থাকে। আহত রাজু জানায় আমি জীবন বাঁচাতে দু তলাতে অধ্যক্ষের রুমের ভিতরে ঢুকে দরজা লাগাতে গেলে দরজা লাথি মেরে সেখান থেকেই তাকে
টেনে হিচড়ে বের করে এলোপাথারি ধারলো অস্ত্র দিয়ে জখম করতে থাকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুবৃর্ত্তরা পালাতে থাকে। পরে পুলিশ আমাদের দুজনকেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি
করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ রকিবুজ্জামান জানান, সংর্ঘষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।দুই পক্ষেরই মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া
গেছে।কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।ফুটেজ দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।