প্রচ্ছদ খেলাধুলা ভালো খেলোয়াড় মানেই ভালো অধিনায়ক নয়

ভালো খেলোয়াড় মানেই ভালো অধিনায়ক নয়

টাইগাররা হোয়াইটওয়াশের পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে মানুষের ক্ষোভ ছিল চোখে পরার মতো। আর এই ক্ষোভগুলোর কেন্দ্রে ছিলেন সাকিব ও তাঁর অধিনায়কত্ব। আনার কেউ টিম সিলেকশন নিয়ে যেমন মন্তব্য করেছেন।

একটা সময় অহংকারী কার্যকলাপের জন্য সাকিবের সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাকিব আজ নিজেকে বদলে নিয়েছে। উইকেট অথবা জয় সকল উল্লাসই এখন সে সতীর্থদদের সঙ্গে উদযাপন করেন। জুনিয়রদের মাথায় হাত রাখেন। এশিয়া কাপে ফাইনালের কান্না থেকে শুরু করে সর্বশেষ অপরাধীতে সতীর্থদদের সাথে সুর মিলানো, সব মিলিয়ে বলা যায় সাকিব এখন ততোটা অহংকারী নয় যতটা আমরা তার অতীত কর্ম দেখে নিজেদের মনে পুষে রেখেছি।

আর সাকিবের অধিনায়ক্ত্ব নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, তিনি কখনই ভাল অধিনায়ক ছিলেননা। অধিনায়কত্বের দিক দিয়ে এখনও সে বাজেদের দলে আর সাম্প্রতিক সিরিজে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সব দায় কি শুধু সাকিবের? সিনিয়র, জুনিয়র কোন প্লেয়ারটা সাকিবকে একটু সাহস দিয়েছে? একটা সমর্থন দিয়েছে?

ক্রিকেট ইতিহাসের দিকে তাকআলে দেখা যায়, একজন সফল বা ভালো ক্রিকেটার খুব কম ক্ষেত্রেই ভালো অধিনায়কত্ব করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে আমরা ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের কথা বলতে পারি। একটা সময় শচীনকেও অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু যখন দেখা গেল ভালো করছেন এবং যেটা তাঁর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। তখন তাঁকে আর অধিনায়ক পদে রাখা হয়নি। সাকিবের ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে। অধিনায়কত্ব সামাল দিতে গিয়ে তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে। আর দোষটা সাকিবের ঘাড়েই পড়ছে।

তাহলে দলের সেরা খেলোয়াড়কে কেনো আমরা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে দিচ্ছি না। তাহলে সাকিব কেনো ক্যাপ্টেন? ক্রিকেট ভক্ত থেকে শিরু করে বোর্ড, সবাই জানে সাকিব অধিনায়ক হিসেবে পারফেক্ট না। কিন্তু বিসিবি নিজেদের ভুলটা না মেনে অন্যদের মত সাকিবকে দোষারোপ করছে।

ক্রিকেটে একটা কথা আপনাকে সর্বদাই মনে রাখতে একজন ভালো ছাত্র যেমন ভালো শিক্ষক হয় না, তেমনি একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটারও সর্বদা ভালো অধিনায়ক হয় না।