প্রচ্ছদ হেড লাইন ভারত-বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল

ভারত-বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই আরেকটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। হর্ন অব আফ্রিকার দেশগুলোতে তাণ্ডব চালিয়ে এখন দক্ষিণ এশিয়ার দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের দ্য হিন্দু জানিয়েছে, দেশটির সরকার ‘দুটি সম্মুখ সমরের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। একটি হচ্ছে- করোনাভাইরাস এবং আরেকটি হচ্ছে পঙ্গপালের সম্ভাব্য হামলার কারণে তৈরি হওয়া খাদ্য সঙ্কট।ওই সূত্র জানিয়েছে, আমরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হানা দিচ্ছে। এদের একটি ঝাঁক ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে হানা দিচ্ছে। এগুলো ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমির কৃষিজমিতে আক্রমণ করছে।

অন্য দলটি ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে। এর ফলে মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যু হতে পারে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, এই পঙ্গপালের ধ্বংসাত্মক শক্তি রয়েছে। তারা বলছে, এক ঝাঁক পঙ্গপাল এক বর্গ কিলোমিটার থেকে কয়েকশ’ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকতে পারে। সংস্থাটি বলছে, এক বর্গ কিলোমিটারের একটি ঝাকেঁ প্রায় চার কোটি পঙ্গপাল থাকে, একজন ব্যক্তি যদি একদিনে ২.৩ কেজি খাবার খায়, সে হিসেবে ওই ঝাঁক দিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার সাবাড় করে দিতে পারে।

এফএও বলছে, পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ইরানে এই বসন্তে প্রজনন করেছে পঙ্গপাল, যা আফ্রো-এশিয়া অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তাকে ব্যাপক হুমকির মুখে ফেলবে।

ইরানের বন্দরনগরী জাস্ক, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে পঙ্গপালের দুটি গতিবিধি ধরা পড়েছে। পাকিস্তানে বেলুচিস্তানে এবং ভারতীয় উপত্যকার পাঞ্জাবে পঙ্গপালের প্রজনন ক্ষেত্র পাওয়া গেছে। ভারতের সীমান্তেও সীমিতাকারে প্রজনন ঘটিয়েছে পঙ্গপাল। ভারতীয় ওই সূত্রটি জানিয়েছে, আমরা আশা করছি যে নিজেদের দেশে এই সঙ্কট মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান, যা ভারত ও অন্যান্য দেশে পঙ্গপালের হানা সীমিত করবে।