প্রচ্ছদ খেলাধুলা ব্রাজিলের হারের নেপথ্যে ফ্রান্সের সেই ঘাতক’ অঁরি

ব্রাজিলের হারের নেপথ্যে ফ্রান্সের সেই ঘাতক’ অঁরি

ব্রাজিল সমর্থকদের বুকে বিঁধে থাকার কথা ২০০৬ বিশ্বকাপের ফ্রান্সের থিযেরি অঁরি গোলটি। এবারের মতোও সেবার ফেভারিটের তকমা নিয়ে জার্মানিতে গিয়েছিল ব্রাজিল। কে ছিলেন না সেই দলে রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকা, কাফু, রবিনহো, রবার্তো কার্লোসের মতো এক ঝাঁক বিশ্বসেরা তারকা। তবে এবারের মতো ঠিক কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোনো সম্ভব হয়নি ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
প্রথমার্ধে গোল শূন্যভাবে ব্রাজিল ও ফ্রান্সের সেই ম্যাচটি শেষ হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটের মাথায় থিয়েরি অঁরি এক পায়ের টোকায় ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। সমতায় ফিরতে নেইমারদের মতো দ্বিতীয়ার্ধে মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছিল রোনালদিনহো ও রোনালদোরা।

কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। এমনকি শেষ দিকে ব্রাজিলের গোলরক্ষকও ওপরে উঠে গিয়েছিলেন গোলের আশায়। কিন্তু ফ্রান্সের জমাটরক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি ব্রাজিলের পক্ষে। ফলে তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়েও এবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে তা বেলজিয়ামের কাছে ব্রাজিলের হারের নেপথ্যে সেই অঁরি এলেন কিভাবে? একটু খুলে বলা যাক। ফুটবল মাঠে খেলে ১১ জন। কিন্তু ছকটা তৈরি করে দেয় কোচ। তাই লড়াইটা মাঠে নেইমার-হ্যাজার্ডদের হলেও ছকটা তৈরি হয়েছিল তিতে আর মার্টিনেজের টেবিলেই। দুই কোচের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে জিতে গেলেন মার্টিনেজ। কারণ তিনি ব্রাজিলের ছকটা ধরতে পেরেছিলেন। ব্রাজিল যে প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে খেলিয়ে ক্লান্ত করে তোলে, এটা জানা ছিল মার্টিনেজের। তিনি এ সুযোগটাই নিলেন।

জয়ের কাজটা সেরে নিলেন প্রথমার্ধেই। তবে একা মার্টিনেজের কথা বললে থিয়েরি অঁরির প্রতি অন্যায়ই করা হবে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বজয়ী ফরাসি তারকা অঁরি এখন বেলজিয়ামের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তাই মার্টিনেজের ছকে তারও যে অবদান ছিল-এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এদিন ম্যাচ চলাকালীন তাকে দু’একবার ক্যামেরা খুঁজে পায়। আর ম্যাচ শেষে তিনি শিষ্যদের অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান মাঠে। এ সময় নেইমারদেরও সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় অঁরিকে।