প্রচ্ছদ খেলাধুলা বিশ্বকাপের ২য় সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ দল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের ২য় সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ দল বাংলাদেশ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট মানেই বিশ্বের সেরা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের বোলার আর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লড়াই। এবারের বিশ্বকাপেও উপভোগ করা যাবে ব্যাট বলের ধুন্দুমার লড়াই। সবচেয়ে বড় কথা, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল থাকছে টুর্নামেন্টের অন্যতম অভিজ্ঞ দল হিসেবে। আর কেবল এই কারণেই অন্যবার শুধু ভালো খেলার লক্ষ্য থাকলেও এবার টাইগার আর টাইগার সমর্থকদের স্বপ্ন আরো বেশি। অর্থ্যাৎ ট্রফি জেতার স্বপ্নও দেখছে বাংলাদেশ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, একবিংশ শতাব্দীতে কোনো দলই ভারতের চেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। আর তাই বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল হিসেবে কোহলি বাহিনীর শীর্ষে থাকা আসলে কোনো বিস্ময়েরই সৃষ্টি করে না। কিন্তু একবার অনুমান করে বলুন তো; বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ দল কোনটি? হ্যা, দলটি অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড নয়, দলটির নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। আর ২০০৭ বিশ্বকাপ আসর থেকে ভারতকে বিদায় করে দেয়া বাংলাদেশ দলের চার জন খেলোয়াড় এখনো এই দলে আছেন। দলের পাঁচ জন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগতভাবে রয়েছে ১০০ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। আর তাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ দল হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নিতে এসে বাংলাদেশ আসলে কারো জন্যই বিস্ময়ের সৃষ্টি করেনি।

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে অভিজ্ঞতার দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা দল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতার ঝুলির পাশাপাশি দলের তরুণ খেলোয়ারদেরও রয়েছে দারুণ ট্যালেন্ট। যারা বল কিংবা ব্যাট হাতে যেকোন সময় পরিবর্তন করে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়।

এদিকে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া টাইগারদের এবারের স্কোয়াডকে বলা হচ্ছে নিজেদের ইতিহাসের সেরা স্কোয়াড। আর এর প্রমাণও রেখেছে আয়ারল্যান্ডে সদ্যসমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। ব্যাটিং আর বোলিংয়ে নিজেদের সেরার প্রমাণ দিয়ে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের ইতিহাসও গড়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ দলের নাম আসলেই প্রথমেই সবার মনে উঁকি দেয় ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বলে পরিচিত পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড়। মাশরাফি বিন মুর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- বাংলাদেশ মানেই যেন এই পাঁচজন! এই পাঁচ জনের পাশাপাশি দলে আছে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, হার্ডহিটার সৌম্য সরকার, অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ও পেসার রুবেল হোসেনের মতো খেলোয়াড়। আছে সাব্বির রহমান আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মতো দারুণ হার্ডহিটার ফিনিশার। তারা সবাই দলের প্রয়োজনে জয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে দুইজনকে নিয়ে ছিল সংশয়, তারা হলেন পেসার আবু জায়েদ রাহী ও মোসাদ্দেক হোসেন। তবে তারাও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। অভিষেকের দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে সংশয় দূর করেছেন রাহী। আর ফাইনালে দ্রুতগতিতে ফিফটি করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে নিজেকে একাদশে রাখতে বাধ্য করেছেন মোসাদ্দেক।

গত বিশ্বকাপের আন্ডারডগ বাংলাদেশ যেন এবারে তার চাইতেও বেশি কিছু। যারা যেকোন সময় মাটিতে নামাতে পারেন যেকোন দলকে। সামর্থ্য রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তবে অনেকেই আশা করছেন এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত অবশ্যই খেলবে দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগামী ২ জুন মাঠে নেমে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা।