সরকার বিএনপি নিয়ে আতঙ্কিত নয়, বরং জনগণই বিএনপিকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভা-নেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপকমিটির নিয়মিত বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলন করেছে, সেই আন্দোলনে আমরা দল সমর্থন জানিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন জানিয়েছিল, সে সঙ্গে দলের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছিল তাদের পাশে থাকার জন্য।
যে স্কুলে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ লাখ টাকা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই স্কুলকে ৫ টি বাসও দিয়েছেন। এছাড়াও যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি আন্ডারপাস করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, এই শিশু কিশোরদের ওপর ভর করে বিএনপি জামায়াত ও এক শ্রেণির মহল দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার লক্ষ্যে তারা নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমে ছিল। তারা স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে ছাত্র- শিবিরের ক্যাডারদের মাঠে নামিয়েছিল। সেই সঙ্গে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদেরও মাঠে নামিয়েছে। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বের হয়ে এসেছে। এবং বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অনেকে কথা বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি দেশের মানুষ জেনে গেছে, কীভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে এই আন্দোলন ব্যবহার হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে গুজব ছড়িয়েছে, সেটা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ১৮ আগস্ট সেটা প্রচারিত হবে। বিএনপি বলছে, সরকার বিএনপি আতঙ্কে ভুগছে। আসলে বিএনপি সকল আন্দেলনে ব্যর্থ হয়ে গত সাড়ে নয় বছরে ২০১৩- ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অগ্নি-সন্ত্রাস চালিয়ে হাজার মানুষকে পুড়িয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছে। এরপর তারা অন্যের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে সরকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তারা কখনো তেল গ্যাস কমিটির আশ্রয় নিয়েছে, কখনো কোটা আন্দোলনের আশ্রয় নিয়েছে। সর্বশেষ শিশু কিশোরদের ঘাড়ে বসতে চেয়েছিল। তারা সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে, পাগলা কুকুর হয়ে গেছে। পাগলা কুকুর যেমন যেকোনো সময় যে কাউকে কামড় দিতে চায়। বিএনপির অবস্থায় সেই রকম হয়ে গেছে।
