প্রচ্ছদ রাজনীতি বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে। এটা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়ই করবে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে  আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী  এ কথা বলেন।

জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান, স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ঘাতকদের মূল উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত ঘৃণিত এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই শেষ হবে না। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে আরো জোরালো ভূমিকা রেখে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বিএনপি ও জামায়াত নামের অপশক্তিকে ছাড় দিলে বাংলাদেশ আবারো অন্ধকারে তলিয়ে যাবে- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এইসব যুদ্ধাপরাধী ও ঘৃনিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এদের সমূলে উৎপাটনের জন্য আরেকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সরকারে আসতে হবে। তবেই এই দেশবিরোধী ‍ও খুনীদের বিচার করে দেশ কলংকমুক্ত হতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দু:শাসনের সময়ে জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতীকী বিচারের ডাক দেন। সেসময় অনেক বাঁধা অতিক্রম করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সারাদেশের মানুষ জমায়েত হন। জাহানারা ইমাম এর মধ্য দিয়ে বাঙালীর হারিয়ে যাওয়া চেতনা ফিরিয়ে আনেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তৃতা করেন কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির,স্মারক বক্তৃতা করেন, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন ঢাকা কমিউনিটি  হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামান, রিসার্চ ইনিসিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা এবং কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক ড: উত্তম কুমার বড়ুয়া।

শাহরিয়ার কবির বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মকে ব্যবহার করে যারা মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে তাদের ক্ষমা নেই। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এ আন্দোলন চলবেই।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি বিএনপির একমাত্র অবলম্বন। নির্বাচন কমিশন ও সরকার এদের প্রতিহত করতে কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করবে এটাই আমরা চাইছি।’

পরে, কথাশিল্পী অধ্যাপক হাসান আজিজুল হককে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান করা এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

শহীদ জননী জাহারারা ইমাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মারা যান। তার মৃত্যুবার্ষির্কী উপলক্ষে প্রতিবছর কেন্দ্রীয়ভাবে ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’, আলোচনা সভা এবং ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক’ প্রদানের আয়োজন করা হয়।