প্রচ্ছদ জাতীয় বিআরটিএ’তে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়

বিআরটিএ’তে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি-বিআরটিএ’র কার্যালয়গুলো। ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের ফিটনেস আর কাগজপত্র নবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন চালক-মালিকরা। আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি আবেদন জমা পড়ছে বিআরটিএ’তে। যদিও দালালদের দৌরাত্ম নিয়ে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে সতর্ক অবস্থান থাকার কথা জানিয়েছে বিআরটিএ।

এ এক অন্যরকম বাংলাদেশ। স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে রীতিমত কাবু লাইসেন্সবিহীন চালক, আর ফিটনেসবিহীন গাড়ি। প্রায় সপ্তাহ ধরে চলা এ কর্মযজ্ঞ শেষে ঘর ফিরলো শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে ঘোষণা হলো পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহ। আর এতেই টনক নড়ে উঠেছে শহরের যানবাহন সংশ্লিষ্টদের। গত দুই দিন ধরে বিআরটিএ কার্যালয়ের উপচে ভিড় জানান দিচ্ছে সেই বার্তাই।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কিংবা যানবাহনের কাগজপত্র নবায়ন করতে হঠাৎই বেড়েছে আবেদনের হিড়িক। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর যারা আলস্য ভেঙ্গে লাইসেন্সে নিতে এসেছেন, অনুপ্রেরণা হিসেবে তারা তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা।

বিআরটিএ কার্যালয়ে লাইসেন্সের জন্য আসা একজন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যা করে দেখিয়েছে তার প্রতিফলন আজকে বিআরটিএতে এসে আমি পাচ্ছি।’

অপর একজন বলেন, ‘আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সটা নেয়া উচিৎ। যেহেতু তারা আন্দোলন করেছে। এটা সঠিক। আমি অরিজিনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এসেছি।’

আরেকজন বলেন, ‘দেশের যে অবস্থা হয়েছে। আসলে তো লাইসেন্স না রাখাটা অনৈতিক।’

যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা কিংবা নিবন্ধন কার্যক্রমেও চলছে বেশ তোড়জোড়।

প্রাইভেট কারের এক ড্রাইভার বলেন, ‘রাস্তায় নতুন নেম প্লেট লাগানোর জন্য গাড়ি ধরছে। এইজন্য আজকে নিয়ে এসেছি।’

বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গাড়িটি যান্ত্রিকভাবে ত্রুটিমুক্ত কিনা, এর হেডলাইট, ইনডিকেটর লাইট, ব্যাকলাইট ইত্যাদি আমরা দেখি।’

এরমধ্যেও রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম আর সেবা দানে ধীরগতির অভিযোগ।

বিআরটিএ কার্যালয়ে লাইনে দাঁড়ানো একজন বলেন, ‘আমি যেখানে দাড়িয়ে আছি এখানে গত পাঁচ ঘণ্টা ধরে দাড়িয়ে আছি।’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা লাইনে দাড়িয়ে আছি। অথচ সামনে থেকে দালালেরা কাজ করে চলে যাচ্ছে।’

তবে বিআরটিএ বিআরটিএ’র উপপরিচালক মাসুদ আলম বলছেন, সতর্ক অবস্থানে থেকেই পরীক্ষা করা হচ্ছে গাড়ীর ফিটনেস, দেয়া হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

চলমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বিআরটিএ’র সকল কার্যক্রম।