প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ‘বালাকোট থেকে ৩৫টি মরদেহ সরিয়েছিল পাক সেনারা’

‘বালাকোট থেকে ৩৫টি মরদেহ সরিয়েছিল পাক সেনারা’

পাকিস্তানের বালাকোট সীমান্তে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলার পর পাক সেনার অন্তত ৩৫টি মরদেহ সরিয়েছিল বলে দাবি করছেন এক ইতালীয় সাংবাদিক। ফ্রান্সেসা মারিনো নামের ওই সাংবাদিকের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ওইসব মরদেহের মধ্যে ছিল জইশ-ই-মোহাম্মাদের যোদ্ধা, সাবেক পাক সেনাকর্তা এবং প্রশিক্ষণ নিতে আসা আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্যরা।

ফার্স্ট পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষদর্শীরা মারিনোকে জানিয়েছেন, ‘বোমাবর্ষণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পুলিশকেও ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছিলেন, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল পাক সেনাবাহিনী।’

মারিনোর দাবি, ভারতীয় বোমার আঘাতে নিহত হয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর এক প্রাক্তন অফিসার, যাকে কর্নেল সেলিম বলেই চিনতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর আহত হয়েছে আর এক প্রাক্তন সেনাকর্তা কর্নেল জারার জাকরি। ভারতীয় বোমায় নিহত হয়েছে পেশোয়ার থেকে জইশ-ই যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে যাওয়া মুফতি মইন। মারা গেছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আই-ই-ডি) ফেব্রিকেশনে অন্যতম সেরা জইশ বিশেষজ্ঞ উসমান গনিও।

মারিনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার দিয়ে তোলা ছবির মাধ্যমেই ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বালাকোটের জাব্বা টপের ঠিক নিচে পাহাড়ের গায়ে চারটি জইশ কাঠামো ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেই ছবি এখনও সামনে আনেনি ভারত।

ফার্স্টপোস্টের ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, পুলওয়ামা হামলার পরপরই নিয়ন্ত্রণরেখার আশপাশের কাশ্মীরের বিভিন্ন শিবির থেকে সরে গিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে বালাকোটের জাব্বা টপের পাশের মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিল জইশ-ই-মোহাম্মাদের সদস্যরা। ভারতের পাল্টা আঘাতের ভয়েই ছিল এই শিবির বদল। কিন্তু ভারত যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে বোমাবর্ষণ করতে পারে, সেই ধারণা ছিল না তাদের।