এমবাপ্পের গতিতে নকআউটে বিধ্বস্তই হয়েছিল আর্জেন্টিনা। করেছিলেন দুই গোল। আদায়ও করে নেন একটি পেনাল্টি। পেলের পর দ্বিতীয় টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপে জোড়া গোলের কীর্তি করেছিলেন সেদিন। অসুস্থ পেলেও নীরব থাকেননি বিস্ময়কর এই তরুণকে দেখে। টুইটে শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও শুভেচ্ছা জানিয়ে তেলেসুরে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ‘এই ছেলেটা আমাকে মনে করিয়েছে তরুণ বয়সের ক্যানিজিয়াকে। উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ অপেক্ষা করছে ওর।’
এরপর এমবাপ্পেকে কড়া মার্কিংয়ে রাখে প্রতিপক্ষ। তার পরও নিজের দ্যুতিতে সুযোগ তৈরি করেছেন সতীর্থদের জন্য। অলিভিয়ের জিরদ নষ্ট করেছেন এর সিংহভাগ। গতকাল ফাইনালেও পল পগবার গোলের কারিগর তিনি। প্রতিআক্রমণ থেকে বল পেয়ে তাঁর বাড়ানো পাসে হয়েছে ফ্রান্সের তৃতীয় গোল। বিশ্বকাপটা হাতের মুঠোয় চলে আসে তাতে। মুঠো গলে বেরিয়ে না যাওয়াটা নিশ্চিত করেন এমবাপ্পেই। ৬৫ মিনিটে বক্সের বাইর থেকে নেন বুলেট শট। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া সেই শটে কিছু করার ছিল না ক্রোয়াট গোলরক্ষকের। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয়ে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসে ফ্রান্স। প্যারিস তখন উৎসবের নগরী। ভাগ্যিস আইফেল টাওয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল!
বিশ্বকাপে অদ্ভুত এক ঐতিহ্যও হয়তো চালু হলো এমবাপ্পের অভ্যুদয়ে। এ নিয়ে ফাইনাল খেললেন মাত্র তিন টিনএজার। তিনবারই চ্যাম্পিয়ন তাঁদের দল! ১৯৫৮ বিশ্বকাপে জোড়া গোল করে ব্রাজিলকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেন পেলে। ১৯৮২ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন ইতালির ১৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার জিওসেপ্পে বারগোমি। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ইতালি। এবার ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ে চার গোল করে অন্যতম অবদান এমবাপ্পেরও।–কালের কন্ঠ