প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ পীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্কে অগ্নিকান্ড ও স্পৃষ্টে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

পীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্কে অগ্নিকান্ড ও স্পৃষ্টে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) ঃ রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি -১ কতৃপক্ষের উদাশীনতা ও ক্রটিপুর্ন বিদ্যুত বিতরন ব্যবস্থার কারনে পীরগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ও বিদ্যুত স্পৃষ্টে হতাহতের ঘটনা ঘটছে । আর এ কারনে ইতিমধ্যে পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত স্পৃষ্টে কয়েক জনের মৃত্য হয়েছে এবং ক’টি স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । অথচ এ সব দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ আদৌ তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না ।
এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বিদ্যু স্পৃষ্টে কাবিলপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম (২৫), শানেরহাট ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের হাফিজার রহমানের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩০) , মিঠিপুর ইউনিয়নের দুরা মিঠিপুর গ্রামের সাহেব আলীর এক মাত্র পুত্র মাদ্রাসার ছাত্র শামীম মিয়া (১৪), বড় আলমপুর ইউনিয়নের ছোট রসুলপুর গ্রামের আফসার আলীর পুত্র আতিয়ার রহমান (৩২) , বড়দরগাহ ইউনিয়নের বড় আমবাড়ী গ্রামের আবুল মিয়ার পুত্র আল আমিন (২৮), একই ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের সফিয়ার রহমান এর পুত্র আরিফুল ইসলাম (১৪) ও চৈত্রকোল ইউনিয়নের দানেশ নগর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র নির্মান শ্রমিক আনারুল ইসলাম বিদ্যুত স্পৃষ্টে মারা গেছে ।
অপর দিকে ক্রটি পুর্ণ বিদ্যুত বিতরনের কারনে ক’টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে । এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ইতিমধ্যে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ ইউনিয়নের গুর্জিপাড়া হাটের অনতিদুরে পশ্চিমে বড়দরগাহ- ভেন্ডাবাড়ী পাকা রাস্তা সংলগ্ন চাপাবাড়ী (নয়াপাড়া) গ্রামের এক বৃহত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে, পীরগেঞ্জর শাহ ইসমাইল গাজী (রহঃ) জুট মিলে , কাদিরাবাদ বাজারে, বদনা পাড়া , মোজাফ্ফরপুর , পরশুরামপুর, সোনাতলা, চৈত্রকোল, দশ মৌজা শাহাপুর সহ বেশ ক’টি গ্রাম ও মাদারগঞ্জ হাট সহ আরও কয়েকটি স্থানে অগ্নিকান্ডে কোটি টাকার সম্পদ ভস্মিভুত হয়েছে ।
এদিকে বৈদ্যুতিক শর্কে মৃত্যু ও অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে এলাকাবাসী ও অনেক বিদ্যুত গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে গ্রাহক বাড়ীতে বিদ্যুত সংযোগের সময় বিদ্যুত বিভাগের লোকজন ক্রটিপুর্ণ ও দায়সারা সংযোগ প্রদান করছেন। বৈদ্যুতিক খুটি থেকে সংযোগের সময় তার ঝুলিয়ে থাকছে এবং সংযোগ হচ্ছে ঢিলা । আর যে কারনে সামান্য বাতাশে সংযোগ ছিঁড়ে পড়ছে বিদ্যুতায়িত অবস্থায় । এ ছাড়া সংযোগ স্থানে অনেক সময় রাবার টেপ দিয়ে ভাল ভাবে মোড়ানো হচ্ছে না । আর এ কারনে ওই সংযোগ স্থানে অন্য কোন তার কিংবা কাঁচা গাছপালার সংস্পর্শে এসে বিদ্যুতায়িত হরে দুর্ঘটনা ঘটছে । অনেক বিদ্যুত গ্রাহক জানান বৈদুতিক তার সংলগ্ন স্থানে কোন নির্মান কাজের ক্ষেত্রে সমিতি কর্তৃপক্ষকে ক্ষনিকের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুনঃ সংযোগের জন্য অনুরোধ করা হলে তারা এ ক্ষেত্রে কালক্ষেপন করেন এবং এ জন্য গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয় । আর এ বিড়ম্বনা এড়াতে অনেক গ্রাহক নিজেরাই এ কাজ করে বসছেন । যে কারনেও অনেক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে ।
সার্বিক এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুত গ্রাহক ও সচেতন মহল মনে করেন রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এ ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে এ বৈদ্যুতিক শর্কে অগ্নিকান্ড ও হতাহতের ঘটনা অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব ।